স্মার্ট হোম কি – স্মার্ট হোম কাকে বলে ও স্মার্ট হোম এর সুবিধা

আপনি কি স্মার্ট হোম কি এবং স্মার্ট হোম এর সুবিধা কি তা জানতে চাচ্ছেন? ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন অনেকেই স্মার্ট হোম বানানোর চিন্তা ভাবনা করছেন। এই যুগে এখন বলতে গেলে সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গিয়েছে। এজন্য, প্রায় সকলেই হাতের নাগালেই সবকিছু চায়।

আজকের ব্লগে আমরা স্মার্ট হোম কি এবং স্মার্ট হোম এর সুবিধা সহ স্মার্ট হোম  নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো। মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে স্মার্ট হোম এর লাইট, ফ্যান, দরজা, জানালা, এমনকি নিজের বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

উপস্থাপনা – স্মার্ট হোম

স্মার্ট হোম কি তা নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে এই পোষ্টটি শেষ অবদি মনযোগ দিয়ে পড়ুন। স্মার্ট হোম এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে শক্তি ব্যয়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তাহলে চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক নিচে আমরা স্মার্ট হোম এবং এর সুবিধা অসুবিধ এবং কেন প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি।

স্মার্ট হোম কি

স্মার্ট হোম হচ্ছে এমন একটি বাসস্থান যেখানে মূলত রিমোট কন্ট্রোল (Remote control) বা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ডিভাইস ব্যবহার করে বাসা বাড়ির লাইটিং তাপমাত্রা, কুলিং, লাইটিং এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্মার্ট হোম কি তা সহজভাবে বলতে গেলে এটি এমন একটি বাসস্থান যেখানে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও রিমোট কন্ট্রোল বা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘরের তাপমাত্রা, আলো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এমনকি হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব স্মার্টফোন এর মাধ্যমে। ফলে, ঘরে না থেকেও আপনি আপনার বাড়ির বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আশা করছি স্মার্ট হোম কি তা জানতে পেরেছেন।

স্মার্ট হোম কাকে বলে

সহজ ভাষায় স্মার্ট হোম হচ্ছে মূলত এমন একটি বিল্ডিং যেখানে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বাড়ির বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এগুলো নিয়ন্ত্রণ এর মাধ্যম হতে পারে মোবাইল ফোন, ল্যাপ্টপ ট্যাবলেট বা কম্পিউটার। স্মার্ট হোম ডিভাইসগুলোর সাহায্যে জীবনকে সহজ এবং স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব।

যখন একটি বাড়িতে হোম অটোমেশন (Home Automation) এর বিভিন্ন সিস্টেম চালু থাকে তখন তাকে স্মার্ট হোম বলে। এই পদ্ধতিতে ঘরের দরজায় স্মার্ট লক দিতে হয়। যার ফলে, আপনি পিন কোড দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার ঘরের দরজা- জানালা লাগাতে ভুলে যান তবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে ঘরের দরজা বন্ধ করতে পারবেন।

স্মার্ট হোম এর সুবিধা

স্মার্ট হোম হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা মূলত পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে নিজের বাড়ির প্রতিতা জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একটি আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই দূরে অবস্থান করেও হঠাৎ কেউ যদি আপনার বাসায় আসে তাহলে তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন।

স্মার্ট হোম কি

আপনার বাড়িতে কোন মেহমান আসতে চাইলে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে সেখান থেকেই দরজার লক খুলে দিয়ে অতিথির আগমন নিশ্চিত করতে পারবেন। স্মার্ট হোম এর মাধ্যমে আপনি যে শুধু ঘরের দরজা জানলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেবন বিষয়টা এমন নয়।

ঘরের আলো নিভাতে বা জ্বালাতে, থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ করতে এমনকি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এছাড়াও স্মার্ট হোম এর আরও প্রধান সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ যোগ্য

স্মার্ট ফোনে ঘরে থাকা বিভিন্ন সরঞ্জাম অতি সহজ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভয়েজ কমান্ড এর সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ঘরের আলো-বাতাস থেকে শুরু করে তাপমাত্রাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

২. শক্তির ব্যবহার কমাতে পারে

আপনার বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে শক্তির অন্যান্য উৎসগুলি যেকোন স্থান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই শক্তির ব্যবহার অনেকাংশে কমে যায় এজন্য আপনার ঘরে জালানো লাইট, ফ্যান, টিভি চালু করা থাকলে আপনি দূর থেকে তা বন্ধ করতে পারবেন।

৩. ঘর বাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করে

স্মার্ট হোম এ নিজের বাড়ি রক্ষার করা জন্য স্মার্ট লক ব্যবহার করা হয়। দরজা কিংবা জানলায় এই লক থাকলে এটি খুবই নিরাপদ রাখবে, ফলে অপরিচিত মানুষের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে আসে।

৪. দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

কম্পিউটার এবং মোবাইল সফটওয়্যার এর সাহায্যে আপনি যেকোন প্রান্তে বসে প্রত্যেকটি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনার বাড়িতে বহিরাগত কোন ব্যক্তির আগমনে বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন প্রয়োজন নাই কেননা আপনি চাইলে শুধুমাত্র লকগুলো চেক করে নিবেন তাহলেই হবে।

৫. আরামদায়ক জীবন নিশ্চিত করে

আবার আপনি যখন বাড়িতে আসবেন তখন আপনার বাড়িতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে উঠবে, আপনার ঘরে যখন যেমন তাপমাত্রা প্রয়োজন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকবে। এভাবেই স্মার্ট হোম এর মাধ্যমে আপনার আরামদায়ক জীবন নিশ্চিত হয়।

৬. সময় বাঁচায়

স্মার্ট হোমে আপনি চাইলে আগে থেকেই সবকিছু নির্ধারণ করতে পারবেন যেমন: কখন ঘরের বাতি ও ফ্যান চলবে , কখন ব্রেকফাস্ট তৈরি হবে, কখন কফি তৈরি হবে ইত্যাদি। এমন অধিকাংশ কাজে আপনাকে সময় অপচয় করা লাগবে না আপনার সময় এমনিতেই বেচে যাবে

স্মার্ট হোম এর অসুবিধা

আমরা ইতোমধ্যে উপরের অংশে স্মার্ট হোম এর অনেকগুলো সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তবে আমরা জানি যে প্রতিটা জিনিসেরই সুবিধা থাকার পাশাপাশি সামান্য পরিমাণ হলে অসুবিধা থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্মার্ট হোম এর কি কি অসুবিধা রয়েছে?

📌আরো পড়ুন 👇

চলুন, তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে আমরা স্মার্ট হোম এর কিছু অসুবিধাগুলি উল্লেখ করেছি, এই অংশটুকু একটু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন তাহলেই জানতে পারবেন। স্মার্ট হোম এর অসুবিধা নিম্নরূপঃ

  • স্মার্ট ডিভাইস গুলো সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় যেকোনো সময় বিচ্ছিন্ন প্রজাতির মাধ্যম দ্বারা আক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • একটি মূলত একটি ঘর সাজাতে যত টাকা খরচ হয় স্মার্ট হোম সেটাপ করতে তার অন্তত তিনগুণ বেশি টাকা খরচ হয়।
  • প্রত্যেকটি ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত তাই নেট কানেকশন বন্ধ হলে বা কারেন্ট চলে গেলে সব ধরণের ডিভাইস অকেজো হয়ে যায়।
  • স্মার্ট হোম এর  প্রত্যেকটি ডিভাইস পরিচালনা করতে হলে আপনার যথেষ্ট প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার যদি ভালো জ্ঞান না থাকে তাহলে এটি কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়।
  • স্মার্ট হোম এর জন্য তুলনামূলক একটু বেশি জটিল সেটআপ এর দরকার পড়ে। তাই এক্ষেত্রে যারা বিস্তারিত জানেন না তাদের স্মার্ট হোম এড়িয়ে চলতে হইবে।

স্মার্ট হোমের সেবাসমূহ

একটি সুন্দর স্মার্ট হোম গড়ে তুলতে হলে আপনার সর্বপ্রথম একটি সুন্দর ইকোসিস্টেমের প্রয়োজন হবে। প্রতিটা স্মার্ট এবং ইকোনমিক ডিভাইসকে একে অন্যের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত করার অন্যতম মাধ্যম হল ইকো সিস্টেম। অ্যাপল হোমকিট, অ্যামাজন ইকো, গুগল নেস্ট ইত্যাদি এর মধ্যে যেকোন একটি ইকো সিস্টেম আপনার স্মার্টফোনের জন্য সিলেক্ট করতে পারেন।

স্মার্ট হোম কি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করার ফলে এই ইকো সিস্টেমগুলি তৈরি করা হয় এবং মোবাইল ডিভাইসে একটি অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাইক্রোফোন এবং স্পিকার রয়েছে এমন ছোট ডিভাইস ঘরে রেখে তাতে ভয়েস কমান্ড দিয়ে আপনার ঘরের সকল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ভয়েস কম্যান্ড (Voice command) এর সাহায্যে আপনি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ করবেন সেটি আপনার মূলত একজন সহকারি হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট হোম এর প্রধান সেবা গুলো নিম্নে উল্লেখ হলো:

স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট (Smart thermostat)

স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট মূলত স্মার্ট হোমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত ওয়াইফাই বা মোবাইল ডেটার সাথে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন বা স্মার্ট ডিভাইস এর সাথে যুক্ত করে রাখতে পারেন। থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অ্যাপলিকেশন রয়েছে যার সাহায্যে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুনিয়ার যেকোন স্থান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

স্মার্ট হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট (Smart home assistant)

আপনার আদেশ অনুযায়ী আপনার বাড়ির প্রতিতা ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্মার্ট হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করা হয়। আপনি ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে ঘরের বিভিন্ন জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

📌আরো পড়ুন 👇

ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে লাইট চালু বা বন্ধ করা সম্ভব। স্মার্ট হোম সহকারির এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে হল আপনার বাসা বাড়িতে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ ঘটতে দেখলে আপনার হাতে থাকে মোবাইল ফোনে একটি সতর্কতা ম্যাসেজ বা নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। থাকে।

স্মার্ট লাইটিং (Smart lighting)

স্মার্ট লাইটিং হচ্ছে এমন একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা আপনি যেকোন স্থান থেকেই খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। স্মার্ট লাইটিং মূলত ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট  অথবা অ্যামাজন অ্যালেক্সা ব্যবহার করে এর মাধ্যমে স্মার্ট লাইটিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

স্মার্ট এনার্জি ম্যানেজমেন্ট (Smart Energy Management)

স্মার্ট এনার্জি ম্যানেজমেন্ট মূলত বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ব্যবহার করা হয় যেমন সেন্সর, সফটওয়্যার এবং অ্যালগরিদম। যার ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাসা বাড়ি, শিল্প কারখানা এবং গাড়ির শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়। এটি শক্তি ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করে এর সাথে শক্তিকে অপটিমাইজ করতে সহায়তা করে থাকে।

স্মার্ট ইরিগেশন (Smart irrigation)

স্মার্ট ইরিগেশন হচ্ছে এমন একটি মাধ্যমে যা ব্যবহার করে আপনার বাড়িতে থাকা গাছ গাছালি বা বাগানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি দিতে পারবেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে মূলত আপনার বাড়ির মাটির কেমন আদ্রতা রয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া কেনন এবং গাছের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে এই মাধ্যমটি পানি পরমাণমতো পানি দিতে সক্ষম। মোট কথা পানি কখন বা কতটুকু দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে পারে।

স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স (Smart Appliances)

স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স এর মাধ্যমে আপনি স্মার্ট লাইটস্মার্ট ওয়াশিং মেশিন, স্মার্ট ফ্রিজ, স্মার্ট ওভেন ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমে যায়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব কাজ করা যায় এবং সময় বাঁচে।

স্মার্ট হোম সেটআপ

স্মার্ট হোম সেটআপ করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় স্মার্ট ডিভাইস এবং এক্সেসরিজ রয়েছে যেগুলি আপনার বাসা বাড়ির কাজে বেছে নেওয়া খুবই জরুরী। স্মার্ট হোম সেটআপ করার জন্য আপনার বাড়িতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে এক্সেসরিজ গুলো প্রয়োজন পড়বে তা নিম্নে তুলে ধরা হল:

  • স্মার্ট লাইট: অটোমেটিক আলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
  • স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট: অটোমেটিক ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
  • স্মার্ট স্পিকার: ভয়েস কমান্ড এর সাহায্যে কাজ করার জন্য
  • স্মার্ট ক্যামেরা: ঘরে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য
  • স্মার্ট প্লাগ: যেকোনো ডিভাইস স্মার্ট করার জন্য
  • স্মার্ট ডোর বেল: অতিথিদের সহজে রিকগনাইজ করার জন্য
  • স্মার্ট লক: ঘরের মেইন ফটক নিরাপদ রাখার জন্য
  • স্মার্ট ব্লাইন্ডস: ঘরের আলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য

স্মার্ট হোম এর জন্য বাজেট পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোম অটোমেশন তৈরি করার আগে নিজের বাজেট নিয়ে ইন্টেরিয়রকে এ বিষয়ে আগেই অবগত করুন। কেননা এখানে প্রায় সকল ধরণের ডিজিটাল বা আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এজন্য এর দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

মাঝারি পরিসর থেকে শুরু করে উচ্চ মানের জিনিসপত্র দিয়ে স্মার্ট হোম সাজানো যায়। এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরে খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১৫ হাজার, মধ্যম স্তরে খরচ হতে পারে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ এবং সর্বোচ্চ স্তরে খরচ হতে পারে ২ লাখ টাকার বেশি। তবে আপনি চাইলে বেসিক কিছু ডিভাইস কিনে শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে সবচেয়ে ভালো ডিভাইস কিনেও আপনার বাড়ি সাজাতে পারেন।

স্মার্ট হোম সম্পর্কে লেখকের মতামত

প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে আপনার জেনে রাখা জরুরী যে বর্তমান বিশ্বে প্রায় সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গিয়েছে, তাই পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তি বিপ্লব শুরু হয়েছে। স্মার্ট ফোন, টিভি, ওয়াচ সহ ঘরের যাবতীয় সব জিনিস যদি স্মার্ট উপরে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে বিষয়টা খারাপ হয় না।

যেমন: রিমোট কন্ট্রোলার দিয়ে জায়গা থেকে না উঠেই টিভি কন্ট্রোল করা যায়। স্মার্ট হোম ঘরে থাকা প্রতিটা যন্ত্রপাতির মত ঘরের দরজা-জানলা সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র এই স্মার্ট ডিভাইস এর মাধ্যমেই খুব সহজেই দূর থেকে কন্ট্রোল করা যায়।

যখন একটি ঘরের যাবতীয় সরঞ্জাম স্মার্ট সিস্টেমে দূর থেকে কন্ট্রোল করা যায় তখন তাকে স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেম বলা হয়। আমরা ইতিমধ্যে স্মার্ট হোম কি, স্মার্ট হোম কাকে বলে, স্মার্ট হোম এর বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়েন, তাহলে স্মার্ট হোম কি সেই সম্পর্কে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি জানতে পারবেন। এখন মানুষ প্রযুক্তির উপর বেশি ঝুঁকে পড়ছে শুধুমাত্র এই প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে । তাই পরিশেষে বলা যায় যে, এই স্মার্ট হোম এর মতো দিনের পর দিন এমন আরও অনেক প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে যা আমাদের সকলের জীবনকে আরও সহজ করে তুলছে।

স্মার্ট হোম কি সেই সম্পর্কে আপনাদের মনে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এতক্ষন সময় নিয়ে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment