আপনি কি রোবটিক্স কি? রোবটের প্রকারভেদ জানতে চাচ্ছেন? আজকে আমরা শিক্ষনীয় ক্যটাগরি থেকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আমরা অনেকেই হয়তো রোবোটিক্স সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু বর্তমান যুগে বসবাস করতে হলে আপনাকে রোবটিক সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কেননা বর্তমানে মানুষের কাজকে সহজ থেকে সহজতর করার জন্য রোবটিক্সের ভূমিকা অপরিসীম।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অফিস, আদালত ও ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বিনোদন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল জায়গাতে রোবোটিক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রোবটিক্স আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কঠিন অ জটিল কাজগুলো সহজেই দ্রুত সমাধান করতে পারে। তাহলে আসুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে রোবটিক্স কি? রোবটের প্রকারভেদ, ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উপস্থাপনা – রোবটিক্স
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রোবটিক্স কি রোবটের প্রকারভেদ, ব্যবহার সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে। আপনি যদি রোবটিক্স নিয়ে জেনে না থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। এবং আপনার পরিবারের সদস্যদেরও এ বিষয়ে অবগত করতে পারবেন।
তাই আমার মনে হয় এই বিষয়ে অবহেলা না করাই উচিত। এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এগুলো বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। তাহলে চলুন, আর কথা না বাড়িয়ে রোবটিক্স কি তা নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমরা রোবট শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে জানবো।
রোবট শব্দটির উৎপত্তি
আচ্ছা, আপনারা কি কখনও ভেবেছেন এই ‘রোবটিক্স’ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে? মূলত এই শব্দের মধ্যেই এর উত্তর লুকানো রয়েছে। রোবট থেকেই রোবটিক্স শব্দটি এসেছে। কিন্তু আবার এই ‘রোবট’ শব্দটি কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে তা বলতে পারেন? রোবট শব্দটি মূলত চেক শব্দ ‘Robota’ বা ‘Roboti’ থেকে এসেছে।
যার অর্থ হল এক ধরণের আধুনিক ‘শ্রমিক’। তাহলে আপনারা হয়তো নিশ্চয় ধারণা করে নিয়েছেন যে মানুষের শ্রমকে কমিয়ে আনার জন্য এবং এর পাশাপাশি মানুষের জীবন-যাত্রা সহজ করার জন্যই এই রোবটিক্সের উৎপত্তি হয়েছে। মূলত আজকে এই রোবটিক্সের আদ্যোপান্ত নিয়েই আলোচনা থাকবে।
রোবটিক্স কী – রোবটিক্স কাকে বলে
রোবোটিক প্রযুক্তি হচ্ছে মূলত এমন মেশিনের ব্যবহার যা সহজ থেকে জটিল বিস্তৃত কাজ সম্পাদনের জন্য নানান ধরণের প্রোগ্রামিং করা হয়, যে কাজের জন্য অবশ্যই মানুষের মতো একটি বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হতে পারে। এই মেশিন মানুষের হস্তক্ষেপ ব্যতিত নির্দিষ্ট ফাংশন সম্পাদন করতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন 👇
মেশিন ডিজাইন, নির্মাণ এবং পরিচালনা করার জন্য এটি কম্পিউটার বিজ্ঞান এর পাশাপাশি পদার্থবিদ্যা সহ বিভিন্ন শাখা ওতপ্রতভাবে জড়িত। রোবোটিক্স প্রযুক্তিতিতে বিভিন্ন সেটিংস রয়েছে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, অন্বেষণ উৎপাদন, বিনোদন ইত্যাদি। এগুলো বিভিন্ন রোবটের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
সাধারণত, রোবোটিক সিস্টেমে বেশ কয়েকটি হার্ডওয়্যার থাকে, যেমন সেন্সর, অ্যাকুয়েটর এবং পাওয়ার সাপ্লাই। এছাড়াও সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম রয়েছে যা মেশিনগুলিকে সসঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বুদ্ধিমান মেশিন তৈরি করা যা কর্মের সর্বোত্তম পথ নির্ধারণ করতে পারে এবং জটিল কাজগুলি নির্ভুলতা এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারে।
রোবটিক্সের ইতিহাস
রোবটিক্স মূলত কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল হলেও, কম্পিউটার আবিষ্কারের বহু আগে এই রোবটিক্সের ধারণা করা হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ সালেই একজন গ্রীক গণিতবিদ ছিলেন যার নাম হচ্ছে আর্কিটাস। তিনি একটি বাষ্পচালিত যান্ত্রিক পাখি আবিষ্কার করেন। যার নাম দিয়েছিলেন ‘The Pegion’।
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ১৯৫০ সালের দিকে আবিষ্কার হওয়া নোটবুকগুলোতে পাওয়া যায় এর মাথা, চোয়াল নাড়াতে ও বসতে পারা এবং যান্ত্রিক মানবের নকশা। এরপর বহু বছর পেরিয়ে গেছে, তারপরে কম্পিউটার এর মতো যুগান্তকারী যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে।
বিংশ শতাব্দিতে অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে, জর্জ ডেভল প্রথম ডিজিটাল রোবট তৈরি করেন কম্পিউটার প্রোগ্রামকে কাজে লাগিয়ে। যার নাম দিয়েছিলেন ‘ইউনিমেট’ (Unimate)। এই ডিজিটাল রোবটিক্সের বিশ্বের প্রথম সফল হিসেবে কাজ ছিলো জিনিসপত্র ওঠানামা করানো ও সরানো।
তারপর বিশ্বের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ১৯৬৬ সালে আবিষ্কার হয় যাকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট ‘শেকি রোবট’ হিসেবে জানি। এই রোবট স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কৃত হয়েছিল। যা বিশেষত্ব ছিলো মূলত চলার পথে আসা বাঁধাকে এড়ানো এবং। চারপাশের বাঁধা বিপত্তি দেখে চেনা।
এরপর রোবটিক্সের যাথা শুধুমাত্র সামনের দিকে এগিয়ে চলা। মানুষের মতোই বুদ্ধিমান এই রোবট এর যাত্রা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসা রোবট ‘সোফিয়া’কে দেখেই আপনারা হয়তো বুঝেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সেন্সর ও ক্যামেরা ব্যবহার করে বিভিন্ন নতুন নতুন ক্ষমতা আছে তার।
রোবটের প্রকারভেদ
ছোট্ট থেকে শুরু করে বড় সব রোবটেরই নিজস্ব ভিন্নতা রয়েছে। যার ফলে নির্দিষ্ট করে রোবটের প্রকারভেদ বলা এতো সহজ নয়। তবুও কিছু বৈশিষ্ঠের উপর ভিত্তি করে রোবটকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করাই যায়।
১. অটোনমাস মোবাইল রোবট
মূলত মানুষের সাহায্য ছাড়াই বিরতিহীনভাবে প্রোগ্রাম করে দেয়ার পর সরাসরি যেকোন নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে এই অটোনমাস মোবাইল রোবট। বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিং করা, প্যাকিং, ড্রিলিং, পরিস্কার করা, ভারী জিনিসপত্র ওঠা-নামা করানোর মতো কাজ করা। মানুষের পরিবর্তে এই ধরণের কাজগুলিতে রোবট ব্যবহার করা হয়। এদের গতিবিধি ফিক্সড থাকে।
২. অটোমেটেড গাইডেড ভেহিকল
এটি অটোনমাস মোবাইল রোবটের মতো কাজ করলেও, এর ভিন্নতা রয়েছে সেটি হল এটি চাকার সাহায্যে মার্ক করা লাইন, রেডিও ওয়েভ ও ম্যাগনেটকে অনুসরণ করে চলাচল করতে পারে। শিল্পকারখানায় এটি প্রচূর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ভারী মালামাল ওঠানামা করা থেকে শুরু করে, পরিবহণ ও স্থানান্তরের কাজও করানো হয়। এই রোবটগুলো সমতল জায়গাতেই অনেক ভালো চলাচল করতে পারে।
৩. আর্টিকুলেটেড রোবট
শিল্পক্ষেত্রে বহুল ব্যবহার করা হয় এমন আরেকটি রোবট এর নাম হল আর্টিকুলেটেড রোবটচ (Articulated Robotach)। মূলত শিল্পক্ষেত্রে এই রোবট অন্যান্য রোবটের চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী ও কার্যকরী। এর মূখ্য কারণ হচ্ছে এর প্রত্যকটা স্টেপে জয়েন্টযুক্ত শরীর।
আরো পড়ুন 👇
জয়েন্ট থাকার ফলে এটি বলা যায় একেবারে মানুষের হাতের মতো নড়াচড়া করতে পারে। এই সুবিধা বেশি থাকার কারনে এটি মূলত অটোনমাস মোবাইল রোবট এর থেকেও অনেক বেশি ভারী জিনিস তুলতে পারে।
৪. হিউম্যানয়েড
হিউম্যানয়েড রোবট হচ্ছে মানবদেহের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ রোবট। মেশিন লার্নিংয়ের সহায়তায় এতে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এদের এ আই এতোটাই উন্নত যে, এরা নিজে থেকে চিন্তা করে খুব সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, অপরের সাথে কথা বলতে পারে এবং উত্তর দিতে পারে। হিউম্যানয়েড রোবট কথা মাথায় আসলে সোফিয়াচ কথা মনে পরে যায়। এই বুদ্ধিমান রোবট নাকি ‘মা’ হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
৫. কোবট
এই ধরনের রোবটগুলো মানুষের সাথে খুব সহজেই কোলাবরেট করে কাজ করতে পারে। শিল্পকারখানায় বা নানান ধরণের জটিল কাজের ক্ষেত্রে এই ব্যবহৃত হয়। কোবট আকারে অনেকটাই ছোট ও কম গতি হলেও মানুষের পাশাপাশি থেকে কাজ করা নিরাপদ। ধাতু ঢালাই ও মোটরগাড়ি শিল্পে কাজে এর ব্যবহার বেশি।
৬. হাইব্রিড
হাইব্রিড রোবট (Hybrid Robots) হচ্ছে সাধারনত কাজের ক্ষমতার মান বাড়ানোর জন্য দুই বা তার বেশি ভিন্ন ভিন্ন রোবট এক সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি নতুন রোবট প্রস্তুত করার কাজ করে। যেমন উদাহরণস্বরূপ একটি অটোনমাস মোবাইল রোবটের সাথে যদি আর্টিকুলেটেড রোবটের জয়েন্টযুক্ত রোবটিক হাত যুক্ত করে দেওয়া হয় তাহলে এর কাজের ক্ষমতা দ্বিগুণ বেরে যায়।
রোবটিক্স এর বৈশিষ্ট্য
এআই (Artificial intelligence), মেশিন লার্নিং (Machine learning) এবং এর পাশাপাশি কম্পিউটার ভিশন এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে রোবোটিক্সের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। রোবটিক্স এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে দেয়া হলো-
- রোবটিক্স নির্ভুলতা, গতি এবং দক্ষতা অভিযোজনযোগ্যতা।
- রোবটগুলি বিভিন্ন রকমের পরিবেশে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, সার্জিক্যাল স্যুট থেকে শুরু করে মেঝে পরিষ্কার পর্যন্ত।
- রোবট নির্ভুলভাবে জটিল কাজগুলি পুনরাবৃত্তিযোগ্যতার সাথে সম্পাদন করতে সক্ষম।
- রোবটিক্স বিপজ্জনক কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপত্তা দিয়ে উন্নত করতে পারে।
- রোবটগুলি twenty four hours কাজ করতে পারে, উৎপাদন বাড়াতে এবং শ্রম খরচ কমায়।
- বিভিন্ন শিল্পে রোবটিক্স এর নির্ভরযোগ্যতা এবং বহুমুখীতা একটি অপরিহার্য হাতিয়ার।
রোবট কীভাবে কাজ করে
রোবট হচ্ছে মূলত কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে রোবট কিভাবে কাজ করে। তাই আমরা এই পাঠে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছি। রোবট সাধারনত মানুষের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে। রোবটের যান্ত্রিক সংগঠনের সাথে এক ধরণের ডিভাইস বা একটি চিপ সংযুক্ত করা থাকে। এই চিপে সকল ধরণের প্রোগ্রাম সেট আপ করা থাকে। এসব প্রোগ্রাম মোতাবেক রোবটের দেহের বিভিন্ন অংশ গতিশীল বা নরাচরা করতে পারে। এবং নিয়ম মাফিক কাজ করে থাকে।
রোবটিক্স এর ব্যবহার
বর্তমান সারবিশ্বেজুড়ে নানান জটিল ও ভাড়ি কাজের ক্ষেত্রে রোবটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন–
- মহাশূন্যের ছবি সংগ্রহে
- ক্ষতিকর বিস্ফোরক সনাক্তকরণে
- গৃহস্থালীর কাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে
- শিল্পের বিপজ্জনক ও কঠিন কাজে
- মহাকাশ গবেষণায় রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে
- বড় বড় মেশিনের কষ্টদায়ক যন্ত্রপাতির সংযোজন করার কাজে
- বিভিন্ন খনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ উত্তোলন করার কাজে
- বহুদূরত্বে শত্রুর উপস্থিতির প্রমাণ করার কাজে
- শিল্প কারখানায় দ্রুত উৎপাদন করার ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার হচ্ছে ইত্যাদি।
রোবটের সুবিধা – Advantages of Robot
বর্তমান বিশ্বে নানান সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে রোবট ও রোবটিক্স। তাদের মধ্যেই কয়েকটি নিয়ে জেনে নেওয়া যাক। রোবটের সুবিধাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- বিরক্তিকর ও একঘেয়ামি কাজের ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়।
- বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়।
- দুর্গম জায়গার কাজের ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়।
- বিনোদন, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়।
- যেসব জিনিসপত্র মানুষের পক্ষে ওঠানামা করানো বা স্থাপনের জন্য অনেক জটিল বা কঠিন সেসব ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়।
- কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, জিনিসপত্র প্যাকিং এবং পরিবহন ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করলে কাজ অনেক সহজতর হয়ে যায়।
- যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা যুদ্ধযানে রোবটকে ব্যবহার করা যায়। রোবট এই সমস্ত জটিল কাজ নিয়ন্ত্রন করতে খুব সহজেই পারতে।
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোবট সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
রোবটের অসুবিধা – Disadvantages of Robot
রোবট মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ ও সুবিধাজনক করতে পারলেও , এরও রয়েহচে নানান অসুবিধাজনক দিক। আপনারা হয়তো মনে মনে প্রশ্ন করতে পারেন কী সেগুলো?
- মানুষের মতো পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাজ করতে পারে না। এবং নিজের কোন বুদ্ধি খাটাতে পারে না যার ফলে ইচ্ছামতো বিভিন্ন কাজ করা যায় না।
- রোবটিক্স যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় পড়ে যা সকলের জন্য এটি ব্যবহুল।
- রোবটকে সচল রাখতে সবসময় অধিক বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হয় যা ব্যবহুল।
- রোবট ব্যবহারের ফলে নানান ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে।
রোবটিক্স সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অফিস, আদালত ও ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বিনোদন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল জায়গাতে রোবোটিক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রোবটিক্স আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কঠিন অ জটিল কাজগুলো সহজেই দ্রুত সমাধান করতে পারে। তাই বলা যায় এর ভূমিকা অপরিসীম।
আজকে আমরা রোবটিক্স কি? রোবটের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি রোবটিক্স সম্পর্কে আজকের ব্লগটি উপকারি মনে হলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না আর আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার মতামতের উত্তর দেওয়ার যথাযথভাবে চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।