ভূগোল কি- আধুনিক বিজ্ঞান হচ্ছে মূলত এমন একটি ক্ষেত্র যা বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে গঠিত। বিজ্ঞানের যে সমস্ত দিক রয়েছে সেসব দিকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একটি হলো ভুগোল। ভূগোল হলো বিজ্ঞানের এমন একটি ধারণা যা পৃথিবী সম্পর্কিত ধারণাকে নির্দেশ করা হয়।
তাই জীব ও পরিবেশের বিভিন্ন গঠন এবং ক্রিয়া জেনে নেওয়ার উত্তম মাধ্যম হলো ভূগোল। তাই আমাদের এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তাই আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে ভূগোল কি, ভূগোল কাকে বলে, ভূগোলের প্রকারভেদ, ভূগোলের গবেষণা পদ্ধতি কয়টি, পরিবেশ ভূগোল কাকে বলে ইত্যাদি সহ ভূগোল নিয়ে আরও অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তো আপনি যদি ভূগোলের এগুলো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন। তাহলে আশা করছি ভূগোল নিয়ে যতগুলো অজানা তথ্য রয়েছে তা জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই ভূগোল কি তা জেনে নেওয়া যাক।
ভূগোল কি
ভূগোল শব্দটি এসেছে মূলত গ্রিক শব্দ ‘Geo’ (অর্থ: পৃথিবী) এবং ‘Graphos’ (অর্থ: লেখা বা বর্ণনা) থেকে। সুতরাং, ভূগোল হল পৃথিবীর বর্ণনা মাত্র। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভূগোল হল পৃথিবীর সম্পর্কে জানার একমাত্র বিজ্ঞান। যা সভ্যতার উষালগ্নে মানুষের বুদ্ধি, জ্ঞান বিকাশের প্রথম ধাপ হিসেবে পরিচিত।
ভূগোল কাকে বলে
ভূগোল নিয়ে অন্যান্য তথ্যাদি জেনে নেওয়ার আগে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে ভূগোল বলতে আমরা কি বুঝি? ভূগোলের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে মূলত “Geography” যা গ্রীক শব্দ “geographia” থেকে এসেছে। গ্রীক এই শব্দটি দ্বারা পৃথিবী সম্পর্কিত ধারণাকে নির্দেশ করে। তাহলে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন যে ভূগোল দ্বারা আসলে পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়।
এই বিশালা পৃথিবীর সব স্থান একইরকম নহে। কোন কোন জায়গা সমতল ভূমি, কোথাও পাহাড় আবার কোন কোন জায়গা জলরাশি। আবার এসকল স্থানের গঠন প্রক্রিয়াতেও রয়েছে প্রভেদ। ভূগোল মূলত এই সকল প্রভেদ নিয়েই তথাকথিত আলোচনা করে।
📌আরো পড়ুন 👇
পৃথিবীর গঠন থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের বা স্তরের বিন্যাস, আবহাওয়াজনিত নানান প্রকারের তারতম্য এবং জীব এসকল তারতম্যের সাথে খাপ খাইয়ে জীবন নির্বাহ যেভাবে করছে এ সমস্ত কিছু নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকেই ভূগোল বলে।
প্রাকৃতিক ভূগোল কাকে বলে
প্রাকৃতিক ভুগোল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সেই শাখা যেটি প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল অংশগুলো, যেমন: বায়ুমন্ডল, বারিমন্ডল, জীবমন্ডল, ভূমন্ডল গুলোর গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে।
মানব ভূগোল কাকে বলে
মানবীয় ভূগোল হচ্ছে সমাজ বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যা পৃথিবী, তার অভিবাসীদের বসবাসের স্থান এবং সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করে। একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক বিষয় হিসাবে ভূগোল প্রাকৃতিক ভূগোল এবং মানবীয় ভূগোল নামক দুটি শাখায় বিভক্ত।
ভূগোলের প্রকারভেদ
আমরা ইতিমধ্যে ভূগোল সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার বা মূল ধারণা জানতে পেরেছি। এবার এই জ্ঞানের ক্ষেত্রকে আরও বিস্তার বা বিকশিত করতে জানা প্রয়োজন ভূগোলের প্রকারভেদ বা শাখা-প্রশাখা কয়টি। ভূগোলের প্রধান শাখাকে ২ ভাগে ভাগ করা হয় যথাঃ
- ১। প্রাকৃতিক ভূগোল এবং
- ২। মানবীয় ভূগোল।
ভুগোলের প্রধান ২টি শাখার সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ👇
১। প্রাকৃতিক ভূগোল
প্রথমে প্রাকৃতিক ভূগোল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রাকৃতিক ভূগোল হচ্ছে মূলত ভূগোলের এমন একটি দিক যেখানে পৃথিবীর সমস্ত প্রাকৃতিক এবং আবহাওয়াজনিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
পৃথিবীর উৎপত্তি থেকে শুরু করে এর অভ্যন্তরীণ নানান উপায়ে তথাকথিত অংশ, পৃথিবী কীভাবে তৈরী হয়েছে সেসকল প্রক্রিয়া, পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের গাঠনিক একক এবং কাঠামো ইত্যাদি এই সকল বিষয় প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্গত।
প্রাকৃতিক ভূগোল নিয়ে যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়া এবং ভূমিরূপের পার্থক্য, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণ এবং প্রকৃতির খেয়াল খুশি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এই প্রাকৃতিক ভূগোলের বেশ কয়েকটি উপক্ষেত্রও রয়েছে যথাঃ
- ভূরূপবিজ্ঞান
- জলবায়ুবিজ্ঞান
- সমুদ্র ভূগোল
- জীব ভূগোল
- মৃত্তিকা ভূগোল
- উপকূলীয় ভূগোল
- পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা
- জলবিদ্যা
- প্রত্নভূগোল ইত্যাদি
প্রাকৃতিক ভূগোল বিষয়টি এসকল বিষয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। আর ভূগোলের প্রতিটা বিষয় সঠিকভাবে কিংবা পরিস্কারভাবে বুঝতে ভিন্ন ভিন্ন করে প্রত্যেকটি উপক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে।
তবে এই প্রত্যেকটি উপক্ষেত্র আবার একে অপরের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে। যেমন আবহাওয়ার একটি চলক বা প্রথার সাথে আরেকটি সম্পৃক্ত। একটি বাড়লে আরেকটিও আনুপাতিক হারে বাড়বে অথবা ব্যস্তানুপাতিক হারে কমবে।
ভূগোলের এই সমস্ত বিষয়ের কারণেই যে ভিন্ন ভিন্ন উপক্ষেত্র রয়েছে তারা একে অপরের সাথে জড়িত।আবহাওয়াজনিত বিষয়গুলোও মূলত এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।
২। মানবীয় ভূগোল
উপরের অংশ থেকে আমরা প্রাকৃতিক ভূগোল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানলাম। এবার আসুন মানবীয় ভূগোল সম্পর্কে আমরা জানব। মানবীয় ভূগোল হচ্ছে মূলত ভূগোলের এমন একটি প্রকার যেখানে পৃথিবীর ভৌগোলিক ব্যাপ্তির সাথে মানুষ সম্পর্কে নানান দিক সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মানুষের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক দিকসমূহ, পরিবেশগত খাপ খাওয়ানো ইত্যাদি এই সবকিছুই মানবীয় ভূগোলের অন্তর্গত। এছাড়াও মানব সমাজ ভিন্ন ভিন্ন এলাকা জুড়ে গেথে আছে।
শুধু তাই নয়, এই সমাজের মধ্যে বেশ কিছু আকৃতিগত পার্থক্য লক্ষ করা যায়। একইসাথে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকদের মাঝে দেখা যায় যে তাদের চেহারা এবং শারীরিক গঠনগত পার্থক্য দেখা যায়। আর এসব পার্থক্য কীভাবে গঠন হয়েছেমানবীয় ভূগোল এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা করে।
প্রাকৃতিক ভূগোলের মতো মানবীয় ভূগোলেরও বেশ কয়েকটি উপক্ষেত্র পাওয়া যায় যথাঃ-
- উন্নয়ন ভূগোল
- অর্থনৈতিক ভূগোল
- সাংস্কৃতিক ভূগোল
- স্বাস্থ্য ভূগোল
- জনসংখ্যা ভূগোল
- ঐতিহাসিক ও কালিক ভূগোল
- রাজনৈতিক ভূগোল
- ধর্ম ভূগোল
- পরিবহন ভূগোল
- ধর্ম ভূগোল
- নগর ভূগোল
- সামাজিক ভূগোল ইত্যাদি
এসব কিছুর নিয়ে মানবীয় ভূগোলের বিষয় সমূহ আলোচনা করা হয়। তবে এই বিষয়গুলোও একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। যেকোনো একটির কোনো দিক বর্ণনা করতে গেলে অপর দিকগুলোর আলোচনাও এর মধ্যে চলে আসে। তো আশা করছি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ভূগোলের গবেষণা পদ্ধতি কয়টি
ভূগোলের মূলত অনেক ধরণের শাখা রয়েছে। এই সমগ্র শাখাকে ৪টি পদ্ধতিতে গবেষণা করা হয়। এই গবেষণা পদ্ধতিগুলো হলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- স্থানিক বিশ্লেষণ
- এলাকা পঠন
- মানব-ভূমি সম্পর্কিত পঠন
- ভূ-বিজ্ঞান
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আমরা নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যদি সেগুলো বিষয় জেনে নেন তাহলে আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।
স্থানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি
স্থানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি মূলত প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে হলে সে স্থান কোন অক্ষে অবস্থিত, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অবস্থান এবং কীভাবে বিস্তৃত এসকল বিষয় সম্পর্কে প্রথমে জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক।
এলাকা পঠন পদ্ধতি
স্থানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির পরের পদ্ধতি হচ্ছে এলাকা পঠন পদ্ধতি। একটি অঞ্চলের মধ্যে যতগুলো বিষয় বস্তু বা তথ্যাদি রয়েছে তার সম্পর্কিত। ঐ এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ কেমন, আবার সেখানকার বিভিন্ন আবহাওয়াজনিত বিষয়াদি নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে এ পদ্ধতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মানব-ভূমি সম্পর্কিত গঠন
মানব-ভূমি সম্পর্কিত গঠনে ভূগোলের ২ টি শাখা মানে প্রাকৃতিক ভূগোল এবং মানবীয় ভূগোল উভয়ই জড়িত। অর্থাৎ ভূমিরূপ অনুযায়ী উক্ত স্থানেই জনবল কেমন, তাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন দিকে ঐ প্রাকৃতিক আবহাওয়ার প্রভাব এবং সামগ্রিক বিষয়ে তাদের নিবিড়তা পর্যবেক্ষণ এ পদ্ধতিতে সুস্পষ্টভাবে করা যায়।
ভূ-বিজ্ঞান
সর্বশেষ আমরা ভূ-বিজ্ঞান পদ্ধতি নিয়ে সংক্ষেপে আলচনা করব যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি এত গুরুত্বপূর্ণ বলার কারণ হল ভূ-বিজ্ঞানে একটি অঞ্চলের মাটি এবং এ সম্পর্কিত বিষদ বিশ্লেষণ করা হয়। মাটির গঠন এবং গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা পেলে ঐ জায়গার অনেক তথ্য আহরণ করা সম্ভব বলেই ভূ-বিজ্ঞান পদ্ধতি এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ ভূগোল কাকে বলে
পরিবেশ ভূগোল হচ্ছে মুলত ভূগোলেরই একটি অংশ যেখানে শুধুমাত্র পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আসলে আমরা সাধারনত যে পরিবেশে বসবাস করি তার নানান ধরনের দিক রয়েছে। পরিবেশের উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, দূষণ এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয় নিয়ে ভূগোলের যে অংশে আলোচনা করা হয় তাকেই পরিবেশ ভূগোল বলা হয়।
📌আরো পড়ুন 👇
এছাড়াও পরিবেশের বিভিন্ন ক্রিয়ার ফলে যেসব প্রতিকূল অবস্থা বা দূর্যোগের সৃষ্টি হয় সেগুলো সৃষ্টির কারণ এবং তার ফলাফলও এই অংশের আলোচ্য বিষয়।
পরিবেশ ভূগোলকে আবার ২ ভাগে বিভক্ত করা হয় সেগুলো হলো-
১। ভৌত পরিবেশ
এখানে ভৌত পরিবেশ ভূগোল বলতে প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়াজনিত কয়েকটি বিষয়কে বোঝানো হয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে উঠে। এগুলো বিষয়ের মধ্যে আবার বায়ুমন্ডল সম্পর্কিত বিষয়গুলোও জড়িত।
২। সামাজিক পরিবেশ
উপরের অংশে আমরা ভৌত পরিবেশ নিয়ে জানতে পারলাম। এবার আসুন, সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। সামাজিক পরিবেশ বলতে মানুষ সম্পর্কিত পরিবেশেকে বোঝানো হয়।
যদি আরও পরিস্কার ধারনা দেয় তাহলে মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের খাদ্যের সংগ্রহ করে চাহিদা মেটায়। আর এটি সামাজিক পরিবেশেরই অংশ হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এখানে মানুষ এবং পরিবেশের মিথস্ক্রিয়া দেখানো হয়েছে।
মানুষ মূলত প্রকৃতির বিভিন্ন জিনিসের উপর ভিত্তি করে যার ফলে তাদের বেঁচে থাকার প্রবণতা থাকে। আবার মানুষের কিছু কার্যকলাপ রয়েছে সেগুলো প্রকৃতিকে প্রভাবিত করে। এই বিষয়টির মাধ্যমে বোঝা যায় যে এটি নিশ্চই সামাজিক পরিবেশের অন্তর্গত। মানুষের একসাথে এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত।
ভূগোলের প্রধান কাজ কি
ভূগোলের প্রধান কাজ হচ্ছে মূলত কার্যকারণ উদঘাটন করা। আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের সঠিক, সুবিন্যস্ত ও যুক্তিসঙ্গত বর্ণনা ও ব্যাখ্যা প্রদান করাই ভূগোলের প্রধান কাজ।
ভূগোল সম্পর্কে লেখকের মতামত
আজকে তাহলে আমরা ভূগোল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিতভাবে জানলাম। আসলে ভূগোল হলো এমন একটি বিষয় যা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে।কেননা আমরা যে এলাকায় বসবাস করি তার ছাপ আমাদের শারীরিক গঠনে এবং জীবিকা নির্বাহে স্পষ্ট।
একারণেই ভূগোল আমাদের জীবনের সাথে এতটা নিবিড়ভাবে জড়িত। আর এজন্যই ভূগোল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক। আমরা ইতিমধ্যে আজকের সমপন্ন আর্টিকেলজুড়ে পরিবারে সাধারন ধারণা, পরিবারের প্রকারভেদ এবং পরিবার এর গুরুত্ব গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে ভূগোল সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।