সামাজিকীকরণ কি – আপনি কি তা জানতে চাচ্ছেন? সামাজিকীকরণ হচ্ছে মূলত আমাদের সকল মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজের নিয়ম-মূল্যবোধ, আচার-আচরন এবং বিধি-বিধান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা লাভ করতে পারে ।
সামাজিকীকরণ কে কেন্দ্র করে আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন মনে ঘুরপাক করে থাকে। যেমন সামাজিকীকরণ কি বা কাকে বলে, রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কাকে বলে, সামাজিকীকরণের উপাদান কয়টি ও কি কি, সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য ও মাধ্যম সমূহ, সামাজিকীকরণের গুরুত্ব কি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাই। তাই সামাজিকীকরণ সম্পর্কে উল্লিখিত বিষয়াদি বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
সামাজিকীকরণ কি
সামাজিকীকরণ বলতে সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজে বসবাসের নিয়ম কানুন শিখে এবং সমাজের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আচরণগত প্রথা সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। এটা আমরা সবাই জানি, মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করতে পছন্দ করে। আর একজন শিশু জন্ম মুহূর্ত থেকে কখনোই কোন কিছু শিখে আসে না বরং সে থাকে একদমই সহজ সরল এবং অসহায়।
কিন্তু জন্মের পর পরবর্তী সময়ে পরিবার এবং আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সে সামাজিক হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। মানে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একজন শিশু নিজেকে সামাজিক করে তোলে, আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে সামাজিকীকরণ।
সামাজিকীকরণ কাকে বলে
সামাজিকীকরণ হচ্ছে মূলত এমন একটি প্রক্রিয়া যা সমাজের সাথে একাত্ম বা পরিবর্তনশীল সামাজিক পরিবেশের সাথে একত্তভাবে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা। এটাকে আবার আপনি বলতে পারেন সেই প্রক্রিয়া যেখানে শিশুর জন্ম মুহূর্ত থেকে শুরু হয় আর সারা জীবন পর্যন্ত চলমান থাকে।
📌আরো পড়ুন 👇
সামাজিকীকরণ নিয়ে আরও বিস্তারিত সংজ্ঞায়িত করতে চাইলে বলা যায় যে মাধ্যমে মানুষ একটি সমাজে একত্রে বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, আচার-আচরণ এবং একে অপরের সাথে সম্পর্কের নীতি শেখে, ব্যক্তি সমাজের সাংস্কৃতিক এবং আচরণগত নীতি মূল্যবোধ ও অভ্যাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে এ সমস্ত বিষয়েকেই সামাজিকীকরণ বলা হয়।
বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিকগণ রয়েছে যারা ইতোমধ্যে সামাজিকীকরণ নামক এর গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়কে অনেক ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আসুন তাদের সংজ্ঞাগুলো জেনে নেই:
- ওগবার্ন এবং নিমকফ বলেছেন– সামাজিকীকরণ হচ্ছে মূলত এমন এক প্রক্রিয়া যা মানুষক তার গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ও আচার-আচরনের সাথে পরিচিত লাভ করে।
- ব্রগার্ডাস বলেছেন– সামাজিকীকরণ হচ্ছে মূলত এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যাক্তি কল্যাণের জন্য একত্রে নির্ভরযোগ্য আচরণ করতে শেখে।
- জে.এস. রস বলেছেন– সামাজিকীকরণ হচ্ছে মূলত এমন এক প্রক্রিয়া বোধ অনুভূতির সাংগঠনিক বিকাশ এবং তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন।
- ডুর্খহেইম বলেছেন– শিক্ষা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজায়ন প্রক্রিয়া গঠিত হয়। শিক্ষা প্রক্রিয়া শিশুকে সার্বিকভাবে সমাজ উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহায়তা করে সামাজিকীকরণ।
অতএব উপরের উল্লিখিত সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করেও একটি বিষয় বার বার চলে আসে– একটি শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে তার বেড়ে ওঠা এবং তার প্রাপ্তবয়স্ক থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি মূলত সমাজের, পরিবারের এবং পরিবেশের সাথে মিশে থাকার জন্য যে নিয়ম-কানুন রীতিনীতি করতে শেখে সেই প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় যেটি প্রচলিত বহন করে তাই সামাজিকীকরণ।
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কাকে বলে
রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যক্তিরা তাদের রাজনৈতিক মূল্যবোধ, মতামত, আচার-আচরণ এবং গঠন করে তাকেই রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কাকে বলে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অংশ যথা
- পরিবার,
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
- গণমাধ্যম,
- বন্ধুদের দল,
- অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
ইত্যাদি ব্যক্তির রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং অভ্যাসে প্রভাব ফেলে। আশা করছি আপনারা এতক্ষণে সামাজিকীকরণ কি বা কাকে বলে এবং রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কাকে বলে তা জানতে পেরেছেন।
তবে কেবল এতটুকু জানলেই হবে না, বরং সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য সমূহ, সামাজিকীকরণের উপাদান ও গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে সামাজিকীকরণের এগুলো বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য সমূহ আমরা জানবো।
সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য
সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন দিক থেকে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলো সংযুক্ত করছি।
১। পারস্পরিক সুসম্পর্ক
সামাজিকীকরণের প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হচ্ছে পারস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরি। কেননা সামাজিকীকরণ পারস্পরিক সুসম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
২। সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ
সামাজিকীকরণ শিক্ষণের একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে মূলত সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ।
৩। পরিবর্তনশীলতা
পরিবর্তনশীলতা হচ্ছে সামাজিকীকরণের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। কেননা এই মাধ্যমটি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি সময়ের সাথে সাথে সামাজিকতার পরিবর্তনের সাথে সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
৪। গতিশীলতা
এটি এক ধরণের গতিশীল প্রক্রিয়া। যা মূলত স্থির বা অপরিবর্তন প্রকৃতির না হয়ে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে সামাজিকীকরণ গতিশীল বা প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যক্তির প্রকৃতির হয়ে থাকে।
৫। সহযোগিতার মনোভাব
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে সমাজে অবস্থানরত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পারস্পরিক একটি সহযোগিতা্মূলক মনোভাব তৈরি করে।
৬। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যমুখী
সামাজিকীকরণের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হিসেবে অন্যতম বৈশিষ্ট্য সামাজিকীকরণ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যমুখী প্রক্রিয়া।
৭। জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া
এটি মূলত সারা জীবন চলমান প্রক্রিয়া যা সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য হিসেবে অন্য বিষয় তুলে ধরা যায় আর সেটিই হচ্ছে জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া।
৮। মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন
সামাজিকীকরণের আরেকটি বৈশিষ্ট্য মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়ন হিসেবে পরিচিত যা আত্মপরিচয় গঠনে ব্যক্তিকে সহায়তা করে এবং সামাজিক দক্ষতা কঠোরভাবে সাহায্য করে।
৯। ধারাবাহিক প্রক্রিয়া
সামাজিকীকরণ অনেক সময় ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। আর মূলত এটি কখনই থেমে থাকে না বরং সর্বদা চলমান প্রক্রিয়া ও পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে একত্রে বিরাজমান থাকে। এর পাশাপাশি ব্যক্তিকে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এর ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে।
সামাজিকীকরণের উপাদান কয়টি ও কি কি
সামাজিকীকরণ আসলে কোন জন্মসূত্রে প্রাপ্ত কোনো ফলাফল নয়। এটি প্রতিটা মানুষকে অর্জন করার বিষয়। এজন্য অনেকেই হয়তো খুব সহজেই বলতে পারেন যে বলা হয় তরুলতা সহজেই তরুলতা, আর পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ সহজেই মানুষ বলা যাবে না।
📌আরো পড়ুন 👇
সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সামাজিক মানুষে পরিণত হয়। মানবদেহ যেমন রক্ত, মাংস, পানি ইত্যাদি দিয়ে গঠিত তেমনি সামাজিকীকরণও কিছু উপাদান দিয়ে গঠিত। সামাজিকীকরণের উপাদান ৭টি যথাঃ
- ১. অনুকরণপ্রিয়তা
- ২. শিক্ষণ
- ৩. আবেগপ্রবণতা
- ৪. মিথষ্ক্রিয়া
- ৫. ভাষা
- ৬. সহানুভূতি
- ৭. অভিভাবন
সামাজিকীকরণের গুরুত্ব
এককথায় বলতে গেলে সামাজিকীকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মূলত একজন শিশু সামাজিকীকরণের মাধ্যমেই বেড়ে ওঠে। সমাজের পরিবেশের উপর ভিত্তি করে সেই শিশু তার আচার-আচরণ বা ব্যবহারের উপর প্রভাব পড়ে। এইজন্য আমাদের প্রতিটা মানবজাতির উচিত সামাজিকীকরণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা।
আপনি যদি সামাজিকীকরণের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কি তা জানতে চাইলে এর প্রয়োজনীয়তার কিছু মূল দিক রয়েছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- সামাজিকীকরণ সামাজিক মূল্যবোধ ও আচার-আচরণ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করে।
- সামাজিকীকরণের মাধ্যমে একজন মানুষের সম্পর্ক অনেক বেশি সুন্দর ও পাকাপক্ত হয়।
- সামাজিকীকরণের মাধ্যমে মানুষ তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ প্রকাশ করতে পারে।
- সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সামাজিক সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এছাড়াও এর মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা অর্জন করা অনেক সহজতর হয়।
- সামাজিকীকরণের মাধ্যমে বুদ্ধি ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটে এবং মানসিক সুস্থতা বিরাজ করে।
- সামাজিকীকরণ মানবজাতিকে নীতিশীল, ন্যায়পরায়ণ ও সর্বোত্তম ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিণত করে।
সামাজিকীকরণ এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানুষ শিশু ক্রমশ ব্যক্তিত্বপূর্ণ সামাজিক মানুষের পরিণত হয়। আর মূলত এজন্যই এই মাধ্যম ব্যতিত মানুষ তার ব্যক্তিত্ব লাভ করতে পারে না এবং সমাজে নিজেকে যোগ্য ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অক্ষম হয়। তাহলে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন এটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কি সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন না বিধায় এ বিষয়ে তারা জ্ঞান অর্জন করতে চাই। তো আপনি যদি সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে পোষ্টের এই অংশটি পড়ে ফেলুন।
সামাজিকীকরণে মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে নৈতিক গুণাবলির শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ভূমিকা রাখে। একটি শিশু যখন প্রথম শিক্ষাগারে প্রবেশ করে, তখনই তার আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার প্রতিরক্ষামূলক দীক্ষিতকরণ শুরু হয় এবং সে সমাজে প্রচলিত আদবকায়দা এবং আচার-আচরণের সাথে পরিচিত হয়।
তার সহপাঠীরা নানান রকম পরিবেশ ও পরিবার থেকে শিক্ষালয়ে আসে। কাজেই বৃহত্তর পটভূমিকায় সে সমাজের মূল্যবোধ, সমাজ অনুমোদিত আচার-আচরণ এবং সমাজে যেসকল কাজকর্ম নিষিদ্ধ রয়েছে সে সকল কাজ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। শিক্ষকদের নৈতিক বাণীও তার সামাজিকীকরণে সাহায্য করে। আর এসমস্ত ভূমিকা পালনের উদ্দ্যেশ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিকীকরণে ভূমিকা রাখে।
সামাজিকীকরণ সম্পর্কে লেখকের মতামত
পরিশেষে বলব, সামাজিকীকরণ এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানুষ শিশু ক্রমশ ব্যক্তিত্বপূর্ণ সামাজিক মানুষের পরিণত হয়। আর মূলত এজন্যই এই মাধ্যম ব্যতিত মানুষ তার ব্যক্তিত্ব লাভ করতে পারে না এবং সমাজে নিজেকে যোগ্য ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অক্ষম হয়। তাহলে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন এটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমরা ইতিমধ্যে সামাজিকীকরণ বলতে কি বুঝ নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্য, সামাজিকীকরণের গুরুত্ব এবং সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি সামাজিকীকরণ সম্পর্কে এসকল বিষয়ে আপনি ক্লিয়ার হয়েছেন।
সামাজিকীকরণ সম্পর্কিত আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাঝে কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো তথ্যমূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে বা বিভিন্ন জরুরি তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।