পরিবারের প্রকারভেদ, পরিবারের শ্রেণিবিভাগ ও পরিবারের গুরুত্ব কি?

আপনি কি পরিবারের প্রকারভেদ, ও পরিবারের শ্রেণিবিভাগ তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকেই এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মূলত একটি সুসম্পন্ন পরিবার। এটি মানুষের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক বন্ধনের মূল ভিত্তি।

ছোটবেলা থেকেই আমরা পরিবার থেকে ভালো-মন্দ শেখি, আচার-ব্যবহার গড়ে তুলি এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করি। কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়, ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং দায়িত্বের এক বিশাল বন্ধন হলো পরিবার। মানুষের জীবনযাত্রা সুন্দর ও সহজ করার জন্য পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম।

উপস্থাপনা – পরিবার

আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে পরিবারের প্রকারভেদ ও পরিবারের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পাশাপাশি পরিবারের সাধারণ ধারণা এবং পরিবারের গুরুত্ব গুলো কি কি সেই বিষয়েও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আমার মনে হয় অবহেলা না সম্পন্ন আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়া।

তো আপনি যদি পরিবারের উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন। তাহলে আশা করছি পরিবারের প্রকারভেদ ও শেণীবিভাগ নিয়ে যতগুলো অজানা তথ্য রয়েছে জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই পরিবারের সাধারণ ধারণা জেনে নেওয়া যাক।

পরিবারের সাধারণ ধারণা

সাধারণভাবে পরিবার বলতে বোঝায় কয়েকজন ব্যক্তির সমষ্টিকে যারা মূলত একই সাথে বসবাস করে এবং যাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও আন্তরিকতা বিরাজ করে। একটি সামাজিক গোষ্ঠী (Social Group), অর্থাৎ  বিবাহ, রক্ত সম্পর্ক ও আত্মীয়তা সূত্রের বন্ধনে যে আবদ্ধ গোষ্ঠী গঠিত হয় তাকেই বলা হয় পরিবার।

📌আরো পড়ুন 👇

আরও সহজভাবে বলতে গেলে পরিবার হচ্ছে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, আন্তরিক ও মুখোমুখি সম্পর্কযুক্ত (Face to face relationship) একটি মৌলিক সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়। যেখানে একান্তই নিজের পরিবার এর ব্যক্তি উপস্থিত থাকে পরিবারের বাইরের কোনো ব্যক্তির স্থান নেই।

তবে পরিবার বহির্ভূত ব্যক্তিকে দত্তক গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তখন সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি আর অন্য কোন পরিবারের সদস্য থাকে না, বরং হয়ে যায় সেই পরিবারভুক্ত।

পরিবারের প্রতিটা সদস্যদের মাঝে প্রতিনিয়ত একটি পারিবারিক মেলবন্ধন ও পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া চলতে থাকে। প্রত্যেক পরিবারের নিজস্ব আদর্শ, ঐতিহ্য, প্রথা থাকে যা সেই পরিবারের সদস্যরা বজায় রাখে, সযত্নে লালন পালন করে এবং সেই মোতাবেক তাদের আচরণকে যথাক্রমে নিয়ন্ত্রণ করে।

পরিবারের ধারণা বিচার বিশ্লেষণ করে বলা যায়, নারী-পুরুষের বিবাহের মাধ্যমে সন্তান প্রজনন ও বংশ রক্ষা করার আকাঙ্ক্ষা থেকে একটি পরিবার গঠিত হয়; তাই বলা যায় যে পরিবার হচ্ছে মূলত একটি জৈব একক (Biological Unit) হিসেবেও অভিহিত করা যায়।

পরিবারের প্রকারভেদ

একটি সমাজের ক্ষুদ্রতম সংঘ হচ্ছে পরিবার। পরিবেশ থেকে শুরু করে, ঐতিহ্য, দেশ এবং কালের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের প্রকারভেদ নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন পরিবারের প্রকারভেদ এক বিষয় আর পরিবারের শেণীবিভাগ আরেক বিষয়। তবে আমরা প্রথমে পরিবারের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করব।

পরিবারের প্রকারভেদ, পরিবারের শ্রেণিবিভাগ

পরিবারের প্রধান কয়েকটি রূপ রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হল:

  • বহুপতি পরিবার
  • গোষ্ঠী পরিবার
  • একক পরিবার ও যৌথ পরিবার
  • একগামী ও বহুগামী পরিবার
  • পিতৃ শাসিত ও মাতৃ শাসিত পরিবার
  • পিতৃ আবাসিক ও মাতৃ আবাসিক পরিবার
  • মাতৃ বংশানুক্রমিক ও পিতৃ বংশানুক্রমিক পরিবার
  • এক পত্নীক পরিবার ও বহু পত্নীক পরিবার
  • অন্তঃগোত্রীয় এবং বহুগোত্রীয় বিবাহ ভিত্তিক পরিবার

পরিবারের উল্লিখিত প্রকারভেদ নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে পরিবারের প্রকারভেদ সম্পর্কে এক নজরে যাবতীয় তথ্য জেনে নেই:

১। বহুপতি পরিবার

একজন নারী যখন একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবার গড়ে তোলে তখন তাকে বহুপতী পরিবার বলা হয়। তবে আমাদের সমাজে এই ধরণের পরিবার মানে বহুপতি পরিবার খুব একটা চোখে ধরে নাহ। হাতেগুনে হয়তো কয়েকটা দেখা যাবে। তবে সেটি অবশ্যই বিরল। কেননা এই দেশে এই জাতীয় বিবাহকে অনৈতিক এবং অসামাজিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

২। গোষ্ঠী পরিবার

একটি পরিবারে যখন একাধিক প্রজন্মের মানুষ বসবাস করে তখন তাকে গোষ্ঠী পরিবার বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দাদা-দাদী, চাচা-চাচি, মামা-মামি, খালা-খালু, ফুপা-ফুপি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ যখন একই সাথে একই সংসারে বসবাস করলে তখন তাকে গোষ্ঠী পরিবার বলা হয়।

৩। একক পরিবার ও যৌথ পরিবার

যখন শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের নিজের সন্তানদের নিয়ে একটি পরিবার গঠিত হয় তখন তাকে একক পরিবার বলা হয়। একক পরিবারের আকার বা পরিমাণে কম সংখ্যক বা তুলনামূলক খুবই ছোট হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তিবিদ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সমাজে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে একক পরিবার তৈরি করা হচ্ছে।

যখন শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের নিজের সন্তানদের ছাড়াও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যেসব পরিবারের গঠিত হয় তখন তাকে যৌথ পরিবার বলা হয়। মোটকথা নিজের সন্তানদের ব্যতিত যেসব সদস্য রয়েছে তাদেরকে নিয়ে যে পরিবার গঠন করা হয় সেটিই যৌথ পরিবার হিসেবে পরিচিত। যৌথ পরিবারের আকার তুলনামূলক বড় যার ফলে, পরিবারের কোন সদস্যে মৃত্যু হলেও কোনরকম মৌলিক পরিবর্তন ঘটে না।

৪। একগামী ও বহুগামী পরিবার

যখন কোন পুরুষ একজন নারীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি পরিবার গড়ে তোলে তখন তাকে একগামী পরিবার বলা হয়। পরিবারের একজন পুরুষ শুধুমাত্র তার স্ত্রীর সাথেই মেলামেশা করে পারবে।

অপরদিকে, বহুগামী পরিবার বলতে যখন কোন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি সংসার গড়ে তোলেন তাকেই বোঝানো হয়। বহুগামী পরিবারে একাধিক পুরুষ এবং একাধিক নারীর সাথে মেলামেশা করে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ রয়েছে।

৫। পিতৃ শাসিত ও মাতৃ শাসিত পরিবার

যখন একটি পরিবারে শুধুমাত্র একজন পিতার সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত হিসেবে গণনা করা হয় তখন তাকে পিতৃ শাসিত পরিবার বলে। অপরদিকে, যখন একটি পরিবারে শুধুমাত্র একজন মায়ের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত হিসেবে  বিবেচনা করা হয় তাকে মাতৃ শাসিত পরিবার বলে। পিতৃ শাসিত পরিবারে পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাধান্য পায় এবং মাতৃ শাসিত পরিবারে মায়ের কথা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।

৬। পিতৃ আবাসিক ও মাতৃ আবাসিক পরিবার

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে যদি কন্যা তার স্বামীর গৃহ প্রবেশ করে এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে, তখন তাকে পিতৃ আবাসিক পরিবার বলে। এই ধরনের পরিবারে মূলত তার পিতার পরিচয়েই সন্তানরা পরিচিত হয়। অপরদিকে, মাতৃ আবাসিক পরিবারে একজন পুরুষ কোন মেয়েকে বিয়ে করে মেয়ের মায়ের বাড়িতে অবস্থান করে। এই ধরনের মাতৃ আবাসিক পরিবারে মায়ের কথাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।

৭। মাতৃ বংশানুক্রমিক ও পিতৃ বংশানুক্রমিক পরিবার

যখন কোন পরিবারের সন্তানেরা জন্মের পর তার নিজের মায়ের পরিচয়ে সকলের কাছে পরিচিত হয় এবং মাতৃকুলের বংশধর রূপে বিবেচিত হয় তখন তাকে বলা হয়  বংশানুক্রমিক পরিবার। আর এক্ষেত্রে মাতৃ বংশানুক্রমিক পরিবারের সমস্ত জমি-জমার মালিক মূলত কন্যা সন্তানরাই হয়ে থাকে।

অপরদিকে, যখন যে সব পরিবারের সন্তানরা তার বাবার পরিচয়ে সকলের কাছে পরিচিত হয় এবং পরবর্তীতে পিতার সকল জায়গা-জমির মালিকানার অধিকারী হয়, তখন তাকে পিতৃ বংশানুক্রমিক পরিবার বলা হয়ে থাকে।

৮। এক পত্নীক পরিবার ও বহু পত্নীক পরিবার

একজন পুরুষ যখন শুধুমাত্র একজন মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার গড়ে তোলে তখন তাকে এক পত্নীক পরিবার বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারই এক পত্নীক পরিবার।

অপরদিকে যখন একজন পুরুষ একাধিক মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করে তোলে তখন তাকে বহু পত্নীক পরিবার বলা হয়। বহু পথিক পরিবার সাধারণত সমতার পরিপন্থী এবং জটিল ধরনের হয়ে থাকে।

৯। অন্তঃগোত্রীয় এবং বহুগোত্রীয় বিবাহ ভিত্তিক পরিবার

প্রাচীনকালে সমাজের অন্তঃগোত্রীয় বিবাহ প্রথা চালু ছিল। এখানে শুধুমাত্র একজন পুরুষ তার নিজ গোত্রের কন্যাকেই বিবাহ করতে পারবে। এবং গোত্রের বাইরে যখন কোন ছেলে কোন মেয়েকে বিবাহ করে তখন তাকে বহু গোত্রীয় বিবাহ ভিত্তিক পরিবার বলে।

পরিবারের নতুন শ্রেণিবিভাগ

পরিবারের নতুন শ্রেণিবিভাগ বাসস্থানের ভিত্তিতে পরিবার কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। বাসস্থানের ভিত্তিতে পরিবার কাঠামোকে মূলত ২ ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো:

  1. দ্বৈত আবাসস্থল পরিবার,
  2. নয়া বাস পরিবার,

১। দ্বৈত আবাসস্থল পরিবার (Dual Residence Family)

যখন একটি দম্পতি বিয়ের পর স্ত্রী তার স্বামীর পিতা-মাতার সাথে বসবাস করে অথবা স্বামী তার স্ত্রীর পিতা-মাতার সাথে বসবাস করে তখন তাকে দ্বৈত আবাসস্থল পরিবার বলা হয়ে থাকে।

২। নয়াবাস পরিবার (Nayabas Family)

নয়া বাস পরিবার হচ্ছে মূলত এমন একটি পরিবার যা একটি দম্পতি বিয়ের পর পরিবার থেকে ভিন্ন হয়ে দূরে কোথাও বসবাস শুরু করে। আমাদের সমাজে বর্তমানে নয়া বাস পরিবার ব্যাপক হারে তৈরি হচ্ছে এবং শহরের অধিকাংশ পরিবারে এখন নয়া বাস পরিবার।

গঠন অনুসারে পরিবার

পরিবার হলো এমন একটি ক্ষুদ্র ইউনিট যেখানে একাধিক দম্পতি তাদের সন্তান এবং একাধিক সদস্যরা একত্রিত হয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে। পরিবারকে গঠন কাঠামোর দিক থেকে মূলত ৬ ভাগে বিভক্ত করা। সেগুলো হলো:

  1. বহু পত্নীক পরিবার (Polygamous Family),
  2. এক পত্নীক পরিবার (A matrimonial Family),
  3. সংমিশ্র পরিবার (Blended Family),
  4. বৃহত্তর পরিবার (Extended Family),
  5. একালী পরিবার (Single Family),
  6. পারমানসিক পরিবার (Emotional Family),

পরিবারের গুরুত্ব

পরিবার (Family) হচ্ছে মূলত একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান (Social Institution) এবং সমাজ কাঠামোর (Social Structure) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌল অঙ্গ সংগঠন। সমাজবিজ্ঞানীদের মত হচ্ছে, পরিবার মানব সমাজের সবচেয়ে প্রাচীন, আদি, মৌলিক ও ক্ষুদ্রতম প্রতিষ্ঠান।

পরিবারের প্রকারভেদ, পরিবারের শ্রেণিবিভাগ ও পরিবারের গুরুত্ব কি

তাই একটি পরিবারকে প্রাথমিক গোষ্ঠী বা সমাজের মুখ্য হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। আর একটি সমাজের কেন্দ্রবিন্দু হলো পরিবার। মানব সমাজের উষালগ্ন থেকেই পরিবারের অস্তিত্ব দৃশ্যমান হয়েছে। পরিবার ছাড়া সমাজের চিত্র কল্পনা করা প্রায়ই অসম্ভব। আদি থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমস্ত পরিবার দৃষ্ট হয়েছে।

📌আরো পড়ুন 👇

হয়তো পরিবারে বিবর্তন ঘটেছে, রূপ বদলেছে কিন্তু সমাজে পরিবারের স্থায়ী আসন এখন অবদি বিলুপ্ত হয়নি পরিবারের প্রয়োজনীয়তা ফুরায়নি। এর অন্যতম কারণ আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে মানুষ হচ্ছে সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষের বৈশিষ্ট্য। মানুষ একাকী থাকতে পারে না। স্বভাবতই মানুষ সঙ্গপ্রিয়।

একে অন্যের পারস্পরিক সহযোগিতায় একত্রে মিলেমিশে বাস করতে চায় যা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট। এই সহজাত প্রবৃত্তিই মানুষকে পরিবার গঠনে ধাবিত করেছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষ পরিবারের আবহেই অবস্থান করে।

পরিবারের মধ্যেই একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করে, লালিত-পালিত হয়, বেড়ে ওঠে, শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়, কর্ম করে এবং এক সময় পরিবারের মধ্যেই সে মুত্যুবরণ করে। এমন কি মৃত্যুর পর তার শেষ কৃত্যের অনুষ্ঠান পর্যন্ত পরিবারের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। তাই বলা যায়, পরিবার একটি স্থায়ী ও সর্বজনীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

পরিবারের প্রকারভেদ সম্পর্কে লেখকের মতামত

আমরা ইতিমধ্যে আজকের সমপন্ন আর্টিকেলজুড়ে পরিবারে সাধারন ধারণা, পরিবারের প্রকারভেদ এবং পরিবার এর গুরুত্ব গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পরিশেষে একটা কথা বলে আজকের এই পোষ্ট সমাপ্তি করব সেটা হচ্ছে বলব পরিবার হচ্ছে মূলত আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ও চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে থাকে। পরিবার ছাড়া প্রতিটা মানবজাতি ওচ্চল কেউই পরিপূর্ণভাবে মানুষ হয়ে উঠতে পারেনা।

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে পরিবারের প্রকারভেদ ও শেণীবিভাগ সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment