পরিবার কি? পরিবার কত প্রকার ও কী কী, পরিবারের বৈশিষ্ট্য

পরিবার কি- মূলত একটি পরিবার গঠিত হয় বাবা-মা এবং সন্তান-সন্ততি নিয়ে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মীয়-স্বজন সমবায়ে একসাথে বসবাসরত মানুষ নিয়েও একটি পরিবার গঠিত হতে পারে। আর যদি বৃহৎ পরিবার হিসেবে বলা যায় যে, আত্মীয়-অনাত্মীয় এবং তাদের সন্তান-সন্ততি একসাথে বসবাস করে। একটি নতুন হোক বা পুরাতন হোক সেই দম্পতির সন্তানসহ বা সন্তান বিহীন একটি সংসারকে পরিবার বলা হয়।

আমাদের দেশের ক্ষেত্রে নিজের রক্তের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে একটি সুসম্পন্ন পরিবার হিসেবে গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের ছোট পরিবার গুলো বলতে মূলত স্বামী স্ত্রী, অবিবাহিত সন্তান নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। যৌথ পরিবার হিসেবে রয়েছেন: বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, চাচা-চাচি, চাচাতো ভাই অথবা বোন, মামাতো ভাই-বোন, নাতি নাতনি, ছেলের বউ, মেয়ের জামাই, নাত বউ, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের ছেলে মেয়ে ইত্যদি।

আমরা জন্মগত ভাবেই একটি পরিবারের সাথে পরিচিত। পরিবার আসলে কি সে সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই হয়তো অবগত আছি আবার আবার অনেকেই বিস্তারিত জানি না। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব পরিবার কী, পরিবারের প্রকারভেদ, পরিবারের কার্যাবলি এবং পরিবারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে।

Table of Contents

উপস্থাপনা – পরিবার

আপনি কি পরিবার কি? পরিবার কত প্রকার ও কী কী তা জানতে চাচ্ছেন? এর পরিবারের কার্যাবলি, ও পরিবারের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের আজকের এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে।

তো আপনি যদি পরিবার এসব প্রয়োজনীয় ও জরুরি দিকসমূহ সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়তে থাকুন, তাহলে আশা করছি পরিবার নিয়ে যতগুলো অজানা তথ্য রয়েছে জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই পরিবার কি তা বিস্তারিত জেনে নেই।

পরিবার কি

মানুষ হচ্ছে মূলত সামাজিক জীব। আর পরিবার হলো সমাজের মৌলিক এবং ক্ষুদ্রতম একটি আদিম সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আর পরিবারই মানব সৃষ্টির আদি থেকেই সমাজে বিদ্যমান এবং সমাজের প্রাথমিক সাংগঠনিক হিসেবে পরিচিত।

প্রকৃতপক্ষে পরিবার ব্যবস্থা দিন দিন বিকাশ হচ্ছে মানেই বুঝতে হবে সমাজের উৎপত্তি ঘটছে। সমাজের এই সংগঠন থেকেই মানব জাতির বিকাশ হয়েছে এবং সমাজের অগ্রগতির সাথে সাথে পরিবারের রূপ হিসেবে উক্ত কাঠামো পরিবর্তিত হয়।

ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Family’ শব্দটি এসেছে মূলত রোমান শব্দ ‘Famuleas’ শব্দ হতে যার অর্থ‘ভৃত্য বা সেবক’। প্রাচীন রোমের আইন ব্যবস্থায় উৎপাদক গোষ্ঠী, অন্য ভৃত্যগণ এবং ক্রীতদাস কিংবা বিবাহসূত্র সম্পর্কিত অন্যান্য সদস্যদের বোঝানোর জন্য এই ‘Famulus’ শব্দটি ব্যবহৃত হত।

আবার আমরা হয়তো জানি যে, ‘Family’ ’শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Familia’ শব্দ থেকে। যার অর্থ হলো ‘সেবক’। শব্দের উৎপত্তি নিয়ে অনেকের মধ্যে যেমন মতভেদ রয়েছে তেমনি পরিবারের সংজ্ঞা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। যেতা একেবারেই স্বাভাবিক। রক্ত ও বৈবাহিক সম্পর্ক পরিবারের ভিত্তি। বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে একজন পুরুষ এবং নারী মিলে যৌথভাবে একসাথে বাস করার সমাজ সংগঠনকে পরিবার বলা হয়

পরিবার কাকে বলে

সহজভাষায় বলতে গেলে, সমাজের ক্ষুদ্রতম একককেই পরিবার বলা হয়। একজন শিশুর আচার আচরণ, হাঁটাচলা, শিক্ষার প্রথম আলো, অঙ্গ সঞ্চালন ইত্যাদি এই সমস্ত কিছু নিজ পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে। একটি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক গোষ্ঠী হলো পরিবার। যেকোনো সমাজ সৃষ্টির পূর্বে এক বা একাধিক পরিবার গঠিত হয়েছে।

📌আরো পড়ুন 👇

পরিবারের সংজ্ঞা হিসেবে ‘‘A Hand Book of Sociology’ গ্রন্থে সমাজ বিজ্ঞানী ‘অসবার্ণ ও নিমকফ’ বলেন, সন্তান- সন্তুতির অধিকারী বা সন্তান-সন্তুতি বিহীন স্বামী-স্ত্রীর অথবা সন্তান-সন্তুতির অধিকারী কোন একজন পুরুষ বা একজন মহিলার দ্বারা গঠিত মোটামুটি স্থায়ী সংস্থাকে পরিবার বলে ।”

ব্যালার্ট (BALLART) বলেন: “একটি পরিবার হল এমন একটি গোষ্ঠী যারা জন্ম, বিবাহ এবং দত্তক গ্রহণের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।”.

ম্যাকাইভার (McIver) বলেন: “পরিবার সমাজের বেঁচে থাকার জন্য একটি প্রক্রিয়া হিসাবে কাজ করে।”

পরিবার কত প্রকার ও কী কী

১) বংশ পরিচয় বিবেচনায় পরিবারকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:

পরিবার কি? পরিবার কত প্রকার ও কী কী, পরিবারের বৈশিষ্ট্য

ক) পিতৃতান্ত্রিক পরিবার (Patriarchal Family)

যে পরিবারে পিতা প্রধান থাকে তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে। তাই হেনরি মেইনের মতে, “পিতৃতান্ত্রিক পরিবারই আদিম পরিবার।”

খ) মাতৃতান্ত্রিক পরিবার (Matriarchal Family)

যে পরিবারে মাতা প্রধান থাকেন বা মাতার দিক থেকে বংশ পরিচয় দেওয়া হয় তখন তাকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।

২) বৈবাহিক প্রথার বিবেচনায় পরিবারকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

ক) একপত্নীক পরিবার (Monogamous Family)

যদি একজন পুরুষ একজন স্ত্রী গ্রহণ করে পরিবার গঠন করে, তবে তাকে একপত্নীক পরিবার বলে।

খ) বহুপত্নীক পরিবার (Polygamous Family)

যখন একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী বিবাহ করে পরিবার গঠন করে, তখন তাকে বহুপত্নীক পরিবার বলে।

গ) বহুপতি পরিবার (Polygamous Family)

যখন একজন স্ত্রী একের অধিক স্বামী গ্রহণ করে পরিবার গঠন করে তখন তাকে বহুপতি পরিবার বলে।

৩) পারিবারিক কাঠামো বিবেচনায় পরিবারকে ২ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা:

ক) একক পরিবার (Nuclear Family)

যখন একজন স্বামী ও একজন স্ত্রী তাদের ওপর নির্ভরশীল- সন্তান-সন্ততি নিয়ে পরিবার গঠন করে তখন তাকে একক পরিবার বলে একক পরিবার ছোটো পরিবার।

খ) যৌথ পরিবার (Joint Family)

যে পরিবারে দাদা-দাদি, বাবা-মা, চাচা-চাচি, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে ও অন্যান্যরা একসঙ্গে বসবাস করে, তাকে যৌথ পরিবার বলে।

পরিবারের কার্যাবলি (Functions of Family)

প্রতিটি পরিবারেরই কিছু সাধারণ একই ধরনের সর্বজনীন ও বিশ্বজনীন কার্যাবলি বিদ্যামান থাকে। অর্থাৎ পরিবারের বেশ কয়েকটি অপরিহার্য কার্যাবলি রয়েছে যার মাধ্যমে পরিবারের সকল সদস্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়। তাই পরিবারে সেসব কার্যাবলি একটি পরিবারের সমস্ত সদস্যদের অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। আর মূলত একটি পরিবারকে ঘিরেই প্রতিটা কাজ আবর্তিত হয় বা পরিবার এসব কাজ সম্পাদন করে। পরিবারের বেশ কয়েকটি কার্যাবলি রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • জৈবিক কাজ (Biological Function)
  • মনস্তাত্বিক কাজ (Psychological Function)
  • অর্থনৈতিক কাজ (Economic Function)
  • শিক্ষামূলক কাজ (Educational Function)
  • রক্ষণাবেক্ষণ কাজ (Maintenance Function)
  • বিনোদনমূলক কাজ (Recreational Function)
  • ধর্মীয় কাজ (Religious Function)
  • সামাজিক নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ (Function of Social Control)
  • সাংস্কৃতিক কাজ (Cultural Function)
  • নিরাপত্তামূলক কাজ (ঝবপঁৎরঃরপধষ Function)
  • রাজনৈতিক কাজ (Political Function)
  • সামাজিকীকরণের কাজ (Function of Socialization)
  • সামাজিক মর্যাদা বিষয়ক কাজ (Function Social Status)

পরিবারের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

পরিবার হল সমাজের প্রাথমিক ও মৌলিক একক। সমাজে অবস্থিত এই মৌলিক এককের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিভিন্ন মৌলিক এককের উপর নির্ভর করে পরিবারের বৈশিষ্ট্য গুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। আমরা পরিবারের বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করব।

📌আরো পড়ুন 👇

তাহলে আসুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা বা পারবারিক কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। পরিবারের বৈশিষ্ট্য গুলো হলো:

বিবাহ সম্পর্ক

বিবাহ হচ্ছে মূলত এমন একটি সামাজিক অনুষ্ঠান যেখানে একটি গোষ্ঠী মূলকভাবে অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সমাজসম্মত ভাবে বিবাহের মাধ্যমে আলাদা আলাদা পরিবারের সকল সদস্যদের গোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত হয় এবং সন্তান উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবার গঠন করে।

নামকরণ ও বংশপরিচয়ের ভিত্তি

প্রতিটা পরিবার তাদের নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে নামকরণের উপর বংশপরিচয়ের ভিত্তিস্বরূপ। তবে সব সমাজেই পূর্বপুরুষের পারিবারিক বংশপরিচয় মোতাবেক  উত্তরাধিকারীদের নামকরণ নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ বলা যায় যে চৌধুরী পরিবারের সন্তান সন্ততি চৌধুরী নামে, রহমান বংশের বা পরিবারের সন্তানেরা রহমান নামে পরিচিত হয়।

অর্থ সম্পদের ব্যবস্থা

পরিবার মাত্রই সমাজ সম্মতভাবে প্রতিটা নারী পুরষের মাঝে সমঝোতা গঠন হয়। এই সমঝোতা গড়ে ঊঠে মূলত বিশেষ রকমের অর্থসম্পদের ব্যবস্থার মাধ্যমে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই অর্থসম্পদের ব্যবস্থার মাধ্যম থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদের নূন্যতম চাহিদা খাদ্য ও পোশাক, শিশু সন্তানের পরিচর্যা ও শিক্ষা দানের জন্য প্রত্যেকটি পরিবারে অর্থ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।

নির্দিষ্ট স্থান ও বাসভূমি

একটি সুসম্পন্ন পরিবার গড়ে তুলতে হলে একটি নির্দিষ্ট স্থান ও বাসভূমির প্রয়োজন রয়েছে। বাসস্থান হতে পারে বৃক্ষ শাখা নির্মিত বা পর্নকুঠির হতে পারে অথবা রাজপ্রাসাদও হতে পারে। তবে উন্মুক্ত প্রান্তরে বা বৃক্ষ ছায়ায় পশু পাখি পালন করা সম্ভব হলেও মানব শিশু পালন ও পরিচর্যা বেশ কষ্টকর। তাই বলা যায় যে একটি সুসম্পন্ন পরিবার গড়ে উঠতে গেলে একটি নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজন।

আবেগ ও অনুভূতির ভিত্তি

একটি পরিবারের প্রধাণ কেন্দ্র হলো মানুষের দৈহিক প্রবৃত্তি, মানসিক আবেগ এবং প্রবণতা। সমস্ত মানব জাতির যাবতীয় সুকমল অনুভূতির জন্ম হয় এই পরিবারে যার প্রকাশ পরবর্তিকালে জীবনের বৃহত্তম ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায়।

ব্যক্তিত্বের গঠন

শিশুরা একটি সু পরিবারের মধ্যেই বড় হতে থাকে। তার শুরুর জীবন যাবতীয় শিক্ষা, আচার আচরণ সবই সে পরিবারের কাছ থেকেই শিক্ষা নেই। তাই এদিক থেকে বলা যায় যে পরিবার শিশুর শিক্ষাক্ষেত্র। শিশুকে তার পরিবেশের সাথে মূলত তার পরিবারই অভিযোজন করতে সাহায্য করে। এদিকে থেকে পরিবার শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে পরিবার।

পরিবার সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা

পরিবার শব্দের অর্থ কি?

পরিবার শব্দের অর্থ মূলত কয়েকটি অর্থবহন করে থাকে যথা পরিজন বর্গ, বংশ, বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে গড়া একত্রিত সংসার, বিশেষ অর্থে স্ত্রী।

পরিবারের কাজ কি কি?

পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি চাহিদা পূরণের দায়িত্ব নিয়ে থাকে। একটি পরিবার সাধারণত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাজ করে থাকে।

পরিবারের জৈবিক কাজ কোনটি?

পরিবারের করা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে মানবজাতির স্থায়িত্ব লাভ হয়। আমার পরিবারের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। এটাই পরিবারের জৈবিক কাজ।

মাতৃ বংশানুক্রমিক পরিবার কি?

যেসব পরিবারের সমস্ত সিদ্ধান্ত একটিমাত্র মাথার মূলে থাকেন এবং সন্তান জন্মানোর পর মায়ের পরিচয় পরিচিত হয় এমন পরিবারকে মাতৃ বংশানুক্রমিক পরিবার বলা হয়ে থাকে।

পরিবার কি ধরনের প্রতিষ্ঠান?

পরিবারকে সাধারনত অবৈতনিক মানবিক শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি শিশু নেওয়ার পরে তার পরিবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।

পরিবার সম্পর্কে লেখকের মতামত

একটা পরিবার সন্তানসহ বা সন্তানবিহীন এক বা একাধিক দম্পতির ছোটো কিংবা বড় সংসার নিয়ে গঠিত। তবে আর্থিক দিক থেকে এর ভিত্তি রয়েছে। এই ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আত্মীয়তা, সামাজিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং ঐক্যবদ্ধ কাজের মাধ্যমে তা রূপ পায়। পরিবারের বিকাশে সন্ধানযোগ্য বংশগত সম্পর্ক সাধারণত জ্ঞাতি সম্পর্কের চেয়ে অগ্রাধিকার পায়। এই শৃঙ্খলার মধ্যে সদস্যরা সমাজের আর্থিক ও সামাজিক উপ-প্রথাগুলি গড়ে তোলে।

আমরা ইতিমধ্যে আজকের সমপন্ন আর্টিকেলজুড়ে পরিবার কি, পরিবার কত প্রকার ও কি কি এবং পরিবার এর বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পরিশেষে বলব পরিবার হচ্ছে মূলত আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ও চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে থাকে। পরিবার ছাড়া প্রতিটা মানবজাতি ওচ্চল কেউই পরিপূর্ণভাবে মানুষ হয়ে উঠতে পারেনা।

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে পরিবার সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment