আপনি কি ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়, লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই ব্লগ পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। কারণ আপনি যদি নিজের ওজন কামতে চান,তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি টিপস অনুসরন করতে হবে।
যেগুলো আমরা আজকের এই পোষ্টে বিস্তারিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা তুলনামূলক খুবই মোটা যার ফলে তারা চাই যে নিজেদের ওজন ৭ দিনে কমাবো। কিন্তু তারা এইটা ভেবে পায়না যে আসলে ৭ দিনে কিভাবে ওজন কমানো যায়?
তো আপনি যদি তাদের দলের মধ্যে শামিল হয়ে হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের এই পোষ্টটি অবহেলা না করে শেষ অবদি পড়ুন। আশা করছি ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে এমন কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে পেশ করবো যা জেনে অবশ্যই উপকারে আসবে।
উপস্থাপনা – ওজন কমানোর উপায়
আপনারা হয়তো অনেকেই প্রতিদিন 1 কেজি করে ওজন কমানোর কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকে যেটা মোটেও উচিত নয়। কেননা অনেকের দেহের জন্য স্বাস্থ্যকর বিষয় হবে না। বরং এটি আপনার দেহের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই স্বাস্থ্যকর ও সঠিক পদ্ধতি বা উপায় অনুসরণ করতে হবে।
তাহলে আস্তে আস্তে এবং স্থায়ীভাবে আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করবে। সাধারণত, আপনি যদি দিনে ১ কেজি ওজন কমাতে চান তাহলে এটি আপনার দেহের জন্য নিরাপদ হবে না। তবে আপনি চাইলে ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় ওবলম্বন করে হাফ কেজি থেকে 1 কেজি ওজন কমাতে পারেন এটি আপনার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর হবে।
যদি আপনি কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। আর সেগুলো টিপস নিয়েই আমরা আজকের এই পোষ্টে আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করি। আমরা প্রথমে ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় জানবো।
৭ দিনে ওজন কমানোর উপায়
আপনি যদি ৭ দিনে ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করতে তবে। তবে আপনাকে একতা বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে, দ্রুত ওজন কমানোটা কিন্তু একদমই আপনার দেহের জন্য স্বাস্থ্যকর হবে না।
📌আরো পড়ুন 👇
কারণ এটি আপনার দেহে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী ফলাফল দিতে পারবে না। বরং আপনার দেহে অবিলম্বে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। তাই আমরা ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় নিয়ে এখানে কিছু টিপস উল্লেখ করেছি সেগুলো অনুসরণ করে পারেন।
সঠিক ডায়েট নির্বাচন করা
খাবের যখনই খাবেন চেষ্টা করুন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া, যেমন আপনি চাইলে প্রতিদিন ফলমূল শাকসবজি, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। আর প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত বিভিন্ন পানীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। আর আরেকটি বিষয় হচ্ছে খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করবেন তাহলে দেখবেন ক্ষুধা অনেকটা কমে গেছে।
শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত করা
৭ দিনে ওজন কমাতে হলে শারীরিক ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে। শারীরিক ব্যায়াম বলতে জোরে হাঁটা হাটি করা, পারলে একটু দৌড়ানো কিংবা সাইকেলিং করা বা জিমে যাওয়া হতে পারে।
সঠিক ঘুম দেওয়া
আবার আপনাকে পর্যাপ্ত ঘু্মাতে হবে। আপনার ঘুমের যেন কোন্রকম ব্যঘাত না ঘটে সেদিকে সচেতন হতে হবে। কেননা আপনার ঘুমের অভাব থাকলে অনেক সময় ওজন বাড়তে পারে। তাই ওজন কমাতে হলে আপনার ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে (মিনিমাম ৫-৬ ঘন্টা) হতে হবে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা মূলত খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগী হয় না। ফলে তারা যতই ওজন কমানোর চেষ্টা করে কোন্রকম সফলতা বা উন্নতি হয় না। বরং ওজন না কমে আরও বেড়ে যায়। আর এদিকে ধীরে ধীরে খাওয়া এবং বিভিন্ন যাবতীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করা খাওয়ার অভ্যাসকে তুলনামূলক আরও উন্নত করতে সক্ষম। এজন্য বাইরের খাবার যেমন সস্তা ফাস্টফুড, জাংফুড ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারতো একবাররেই খাওয়া উচিত নয়।
স্ট্রেস কমানো
৭ দিনে ওজন কমাতে হলে স্ট্রেস কমানোটাও জরুরি। এক্ষেত্রে যেটা করণীয় সেতা হচ্ছে আপনি চাইলে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করুন এতে আপনার দেহের স্ট্রেস কমে যাবে। তবে আরেকটি বিষয় হল আপনার যদি কোন কারনবশত একাধিক দুশ্চিন্তা থেকে থাকে, তাহলে সেই চিন্তা মাথায় থেকে একেবারে ঝেরে ফেলতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে সব সময় নিজের মাইন্ড কে ফ্রেস রাখার।
সক্রিয় জীবনযাপন করা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনার দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। আপনি যখন বাজারের শপিং মলে যাবেন কিংবা নিজের বাড়ির লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত হাটাহাটি করুন বা সাইকেল চালান। মোটকথা আপনাকে শার্রীরের শক্তি বেশি বেশি ব্যয় করতে হবে। কেননা আপনি যদি বেশি বেশি হাঁটাচলা করেন, তাহলে দেহের ফ্যাট অনেক বার্ন করতে সাহায্য করবে।
উপরের উল্লিখিত টিপসগুলো যদি আপনি নিয়মিত অনুসরণ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি ৭ দিনে কিছুটা হলেও ওজন কমাতে পারবেন। তবে একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন সেটা হল স্বাস্থ্যকর এবং স্থায়ী ফলাফলের জন্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী এই কাজগুলো বরাবর চালিয়ে যেতে হবে।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
আমাদের মাঝে এমন অনেক মেয়েরা রয়েছেন যারা শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমানোর উপয়া জানতে চাই। তাই আমরা শুধু তাদের কথা মাথায় রেখে পোষ্টের এই অংশে এ বীষয়ে একটি ক্লিয়ার ধারনা জানিয়ে দিব।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যেগুলো উপায় অনুসরণ করতে হবে সেগুলি নিচে উল্লেখ দেয়া হল:
- প্রতিদিন শাকসবজি ও ফলজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন ডাল-ভাত, মুরগি, মাছ ইত্যাদি।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার মানে যেগুলো মেয়েদের ওজন বারায় সেগুলো খাবার কম খেতে হবে যেমন চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার না খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা তো হাঁটতেই হবে। আবার চাইলে যোগব্যায়াম, জিম বা অন্যান্য কার্যকলাপ যেগুলো শরীরের শক্তি ব্যয় হয় যেগু্লো কাজ করুন।
- প্রতিদিন আপনাকে মনে করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে দেহের মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করবে।
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যদি কম ঘুমান তাহলে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াতে পারে।
- আবার মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করাটাও জরুরি। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে যোগব্যায়াম কিংবা মেডিটেশন করার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে পারেন।
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবারের সময়সূচি মেইন্টেইন করাটা খুবই জরুরি। তাই যথাসম্ভব অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
তো প্রিয় বন্ধুরা, মেয়েদের দ্রুত দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আপনি চাইলে উপরের উল্লিখিত উপয়ায়গুলো অনুসরন করতে পারেন। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন স্বাস্থ্যকর ও কার্যকরভাবে ওজন কমানোর জন্য আপনার লাগবে সময় ও পর্যাপ্ত ধৈর্য্য। তবে আরও ভালো হত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে।
মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়
য়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় বা ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে পোষ্টের এই অংশে আলোচনা করব। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে আপনার মোটা শরীর কিভাবে চিকন করবেন তা জেনে নেওয়া যাক। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি এক ধরনের পানীয় তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার পেটের এবং থাইয়ের চর্বি গুলো ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এবার তাহলে চলুন সেই পানীয় কিভাবে বানাবেন সেটা জেনে নেই।
📌আরো পড়ুন 👇
এই পানীয় বা শরবত বানানোর জন্য আপনাকে সবার প্রথমে এক টুকরা মাঝারী সাইজের দেশি আদা নিতে হবে। যেই আদায় বেশ ঝাঁজ রয়েছে সেই আদা সংগ্রহ করবেন।
তারপরে সেই আদা পানি দিয়ে ধুয়ে কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপরে সেই কুচিগুলি একটি পাত্রে ররেখে এতে ২ থেকে ৩ চামচ জিরা নিতে হবে।
এরপরে সেই পাত্রে কিছু লবঙ্গ মিশিয়ে নিবেন, তারপরে সামান্য পানি দিয়ে দিয়ে, চুলায় গরম করতে হবে, এতে সল্প পরিমাণে লবণ দিলে আরও ভালো। এরপরে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটি একটি গ্লাসে ছেকে ঢেলে নিতে হবে।
গ্লাসে কিংবা পাত্রে ঢেলে নেওয়া হয়েগেলে পানি হালকা গরম থাকাকালীন সম্ভব হলে এতে সামান্য পরিমাণে মধু দিয়ে এ মিশ্রণটি ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে।
পরিশেষে আপনি যদি এই মিশ্রণটি হালকা গরম থাকা অবস্থায় পান করেন তাহলে খুব সহজে ঘরে বসেই আপনার ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমতে শুরু করবে, যা দেখে হয়তো আপনি নিজেো আশ্চর্য হয়ে যাবেন। তবে আপনাকে অন্তত ১৫ দিনের মত এইভাবে আই শরবত বানিয়ে খেতে হবে তাহলে দিনশেষে ভালো ফলাফলা পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
এই মিশ্রণটি আমাদের দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করবে। আর এটি ঘরোয়া পদ্ধতি হওয়ায় কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে আপনি যদি এটার উপর ভরসা করে থাকেন তাহলে কিন্তু বোকামি হবে এর পাশাপাশি আপনাকে ডায়েট মেনে চলতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে কি ডায়েট করবো? আসন্ন আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটি নিচের অংশ থেকে দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট জেনে নেওয়া যাক।
দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আপনাকে একটি একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাই আমরা পোষ্টের এই অংশে একটি সাধারণ ডায়েট চার্ট উল্লেখ করেছি আপনি চাইলে অনুসরণ করতে পারেন।
তবে, এটি উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করাটা জরুরি। আমরা নিজেদের ধারণা থেকে যতটুকু সম্ভব সঠিক তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করলাম।
- সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার খাবার: এক গ্লাস হলকা গরম পানি নিয়ে লেবুর রস দিয়ে সেটি পান করুন। ১ পিচ বিস্কুট (চিনি ছাড়া) কিংবা টোস্ট বিস্কুট খাবেন। আর সম্ভব হলে ১ পিচ ফল খাবেন।
- মধ্য সকাল ১০ টার খাবার: ১ কাজু বাদাম, পেস্তা বা আখরোট খাবেন এবং সাথে ১ কাপ গ্রিন টি খান।
- দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার খাবার: ১ বাটি শসা, টমেটো, গাজর, পেপের সালাদ নিয়ে সাথে ১ প্লেট সাদা ভাত খাবেন। আর খুব বেশি হলে ১পিচ সামান্য তেলের মুরগির মাংস নিন।
- বিকেল ৪ টার খাবার: ১ কাপ সুগার ফ্রি দই (টক দই হলে বেশি ভালো) নিয়ে কয়েক পিস ফল (পেয়ারা, আম, কাঠাল) খেতে পারলে বেশি ভালো।
- রাতে ৭ টা থেকে ৮ টার খাবার: সকালের মত আবার ১ বাটি সবজি,১ পিস গ্রিলড, কিংবা চিকেন খাবেন।
- রাতের হালকা খাবার: রাতে হালকা খাবার খাওয়া উত্তম, যেমন ১ কাপ হালকা গরম দুধ তার সাথে একটি কলা।
উপরের উল্লিখিত ডায়েট চার্টটি মূলত একটি সাধারণ ডায়েট চার্ট। আপনার দেহের প্রয়োজন মোতাবেক এটি চাইলে আপনি পরিবর্তন বা কম-বেশি করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরা ও নিয়ম মেইন্টেইন করাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট নিয়ে একটি ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এবার চলুন, লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জেনে নেই।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি পান করার অভ্যাসটা প্রায় সকলের মধ্যেই রয়েছে। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা যদি সকালে চা বা কফি না খেয়ে এর পরিবর্তে কুসুম গরম পানি নিয়ে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে পান করেন তাহলে দেখবেন আপনার দেহের বিপাকীয় হার বৃদ্ধি পাবে এবং খাবার অনেক দ্রুত হজমে সহায়তা করবে।
আবার আপনি যদি খালি পেটে লেবুপানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে ক্ষুধা কম লাগার পাশাপাশি খাবার খাওয়ার পরিমাণটাও কমে যাবে। এতে করে আপনার দেহে কম ক্যালরি প্রবেশ করবে। আবার লেবুপানি পান করার পরে এক্সারসাইজ করলে দেহের ক্যালোরি ক্ষয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে আপনার দেহের ওজন গ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
ওজন কমানোর উপায় নিয়ে লেখকের মতামত
পরিশেষে যেটা না বললেই নয়, সাধারণত আপনি যদি দিনে ১ কেজি ওজন কমাতে চান তাহলে এটি আপনার দেহের জন্য নিরাপদ হবে না। তবে আপনি চাইলে ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় ওবলম্বন করে হাফ কেজি থেকে 1 কেজি ওজন কমাতে পারেন এটি আপনার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর হবে।
আমরা ইতিমধ্যে ৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় ও দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং দ্রুত ওজন কমানোর কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই ব্লগপোষ্টটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো এতক্ষণে নিশ্চয় ওজন কমানোর উপায় জেনে গেছেন।
৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আমরা আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটি সঠিক পরামর্শ এবং তথ্য প্রদান করলাম। এছাড়াও আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। অথবা পরামর্শের জন্য চাইলে সরাসরি যোগাযোগ পেইজ থেকে নাম্বার কালেক্ট করে যোগাযোগ করতে পারেন। এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।