ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে

ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে – এই বিষয়টি আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্লাটফর্মে খোজাখুজি করছেন কিন্তু কোথাও মনের মত তথ্য খুজে পাচ্ছেন না। তো আপনিও যদি তাদের দলের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

কেননা এই ব্লগপোষ্টে আমি ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়, মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়, কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়সহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য ধাপে ধাপে জানানোর চেষ্টা করব। তো চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে

আদিমযুগের মানুষেরা ভাবতো যে ছোটবেলায় যত বেশি মাথা ন্যাড়া করা হবে, চুল যেন তত বেশি ঘন হবে। তবে এখনকার অনেক মানুষের মধ্যে এই ভুল রয়েছে যে যত মাথা যত ন্যাড়া করা হবে চুল ঘন ও বড় হয়। কিন্তু আসলে বলতে গেলে এটা একদমই ভুল ধারণা কারণ, এটি মানুষের কাছে শুধুমাত্র প্রচলিত বিশ্বাস।

এছাড়া ন্যাড়া করা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ পায়নি যে চুল ন্যাড়া করলে চুল ঘন বা আগের চেয়ে ঘন হবে। যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন জন্মের সময় প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার এর মতো চুলের ফলিকল নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।জন্মের সময় শিশুদের অনেক চুল কম গজায়।

তবে কয়েক বছরের মধ্যে তাদের চুল ফলিকল থেকে চুল গজিয়ে যাই। জন্মের পর আর কোন ফলিকল নতুন করে তৈরি হয় না। প্রতিটা মানুষের একটি নির্দিষ্ট আয়ু থাকার পাশাপাশি প্রতিটা চুলের ও কিছু আয়ু কাল থাকে। প্রতিটা মানুষ এর যেমন শৈশব এবং বৃদ্ধকাল আছে তেমনি চুলেরও বয়স পার করে যাই।

প্রতিটা প্রাণী যেমন বড় হওয়ার সময় স্বাস্থ্য খারাপ ও স্বাস্থ্য ভালো হয় তেমন চুল ও সবসময় তেমন স্বাস্থ্যবান থাকে না। ন্যাড়া করার পর চুল গজাতে প্রায় ১ সপ্তাহ কিংবা খুব বেশি হলে ১০ দিন সময় লাগে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যাদ্দের চুলের গ্রোথ বেশি তাদের ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই চুল বেরিয়ে যায়।

মাথা ন্যাড়া করলে চুল বের হতে খুব বেশি সময় লাগে না অল্প কিছুদিনেই চুল বের হওয়া শুরু করে এবং বড় হয়ে যায়। কারণ এ সময়ে চুলের স্বাস্থ্য তুলনামূলক ভালো থাকে যার ফলে চুল ওঠার সমস্যাটাও কমে যায়।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। যার ফলে আপনারা চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

📌আরো পড়ুন 👇

গরম পানি মাথায় দেবেন না

গরম পানি কখনই গোসল করবেন না। এমনকি অন্যান্য সময়ও গরম পানি দিয়ে চুল ভেজাবেন না। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে ।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা

শীতকালীন সময় আপনাকে এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে যার মধ্যে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে। এর সাথে কেমিক্যাল রয়েছে এমন রং চুলে ব্যবহার করা বন্ধ করুন। কারণ এতে চুলের মশ্চারাইজার কমে যায়।

ক্যামিকেল ব্যবহার বন্ধ করুন

চুলে কেমিক্যালযুক্ত কোন শ্যাম্পু ব্যবহার বন্ধ করুন। আপনি চাইলে সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

হিট ব্যবহার বন্ধ করুন

হেয়ার স্টাইল করার জন্য আপনারা অনেকেই চুলে হিট দেন। চুলে হিট ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চুল প্রথম দিকে ভালো থাকে কিন্তু পরে গিয়ে চুল পরা শুরু করে তাই চুলে হিট ব্যবহার বন্ধ করুন।

খাবারে সচেতন

চুল পড়া বন্ধ করতে হলে আপনাকে খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে। যেমন আপনাকে বেশি শীতকালীন সবজি কিংবা মৌসুমী শাকসবজি, ফলমূল পাওয়া যায় সেগুলো খেতে হবে। কেননা এগুলোতে খনিজ, ভিটামিন ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতো উপকারি উপাদান রয়েছে যা আপনার চুলকে সুরক্ষিত রাখবে।

প্রতিদিন মাথায় শ্যাম্পু না করা

অনেকেই মাথার ময়লা বা খুশকি দূর করার জন্য প্রতিদিন মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। যা মোটেও উচিত নয় এতে চুল পড়া বেড়ে যাতে পারে। তাই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

অয়েল ম্যাসাজ করা

অলিভ অয়েল, বাদাম তেল এবং নারকেল তেল একসাথে মেশিয়ে একটি তেলের মিশ্রণ করে নিন। তারপর সেটি চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপরে পরের দিন শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন তাহলে দেখবেন চুলের আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এবং চুল পড়া রোধ হবে।

মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় গুলো ছাড়াও অনেকেই আবার চাচ্ছেন মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় কি। মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় হচ্ছে প্রথমে আলুর রস, ডিম, মধু ও লেবুর রস একটি পাত্রে নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

এরপর সেই মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়া সহ পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর মিনিমাম ২ ঘন্টা পরে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আপনি যদি আপনার মাথার সামনের চুল গজাতে চান তাহলে  এই মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করবেন।

এভাবে আপনাকে একটানা ২/৩ মাস ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি সুফল পেয়ে যাবেন। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় জানতে সক্ষম হয়েছেন। এবার চলুন, মাথার তালুতে চুল গজানোর উপায় বিস্তারিত জেনে নেই।

মাথার তালুতে চুল গজানোর উপায়

আপনারা অনেকেই মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মাথার তালুতে চুল গজানোর উপায় জানতে চেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে একটি ই ক্যাপ, সামান্য্য পেঁয়াজের রস এবং অ্যালোভেরা জেলএইগুলো উপকরণ একসাথে নিয়ে ভালোমত মিশিয়ে নিন।

এই প্যাকটি রেডি করে সবচেয়ে ভালো হবে রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়াতে লাগিয়ে নিন। এরপর সারারাত মিশণটি চুলে রেখে সকালের ঘুম থেকে উঠে চুল ভালো ভাবে শ্যাম্পু করে নিবেন এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। অনেকের রাতে প্যাক লাগালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকতে পারে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে দিনের বেলা চুলে লাগিয়ে ২ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

এই মিশণটি ব্যবহারে আপনার নতুন চুল গজাবে এর পাশাপাশি আপনার চুলকে করে তুলবে আগের চেয়ে ঝলমলে। মাথার তালুতে চুল গজানোর ক্ষেত্রে আপনাকে এই হেয়ার প্যাক টি সপ্তাহে ৩ – ৪ বার  ব্যবহার করবেন। তাহলে দেখবেন ১ মাস পরে অনেক ভালো ফলাফল পেয়ে গেছেন।

কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়

আপনারা উপরের অংশ থেকে মাথার তালুতে এবং মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় জানতে পেরেছেন এবার চলুন, কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় কি তা জেনে নেওয়া যাক। কপালে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে রাতের বেলায় ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে তার একটি ই ক্যাপ মিশিয়ে আপনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো মত লাগিয়ে নিতে হবে।

এরপর আপনি সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মূলত ক্যাস্টর অয়েল এবং ই ক্যাপ কপালে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আরেকটি উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে আপনার সামনের ফাকা কপাল বা চান্দি ভরাট হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে একটি জবা ফুল, অ্যালোভেরা জেল, পিঁয়াজের রস নিতে হবে। তারপর একই নিয়মে আপনার মাথায় ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি এভাবে টানা এক মাস নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত  আপনার কপালে ছোট ছোট চুল গজাবে।

এবং আপনার ফাকা কপাল যখন কিছুটা ভরাট হয়ে যাবে তখন আপনার কপাল ছোট দেখাবে। এটিই মূলত কপালে নতুন চুল গজানোর কার্যকরী মূলক উপায়। আশা করছি কপালে নতুন চুল গজানোর উপায় জেনে নিতে পেরেছেন। এবার চলুন, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জেনে নেই।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যাদের মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পরে যায় ফলে তারা চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কি উপায় অবলম্বন করবেন সেটা বোঝে উঠতে পারছেন না। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের চুল উঠতে উঠতে টাক পড়ে যায়।

📌আরো পড়ুন 👇

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায়

তাই আপনি যখনই খেয়াল করবেন যে আপনার চুল পাতলা হতে শুরু করেছে বেশি রেদি না করে তখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে সঠিক উপায় হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। তাই আপনি যদি খুব বেশি চুল পড়ে যাওয়া থকে মুক্তি পেতে চান প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন যেমন–

ডিম খাওয়া

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে রোজ একটি করে ডিম খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। কেননা ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি, যা খেলে চুল লম্বা ও ঘন করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ডিমে ভরপুর প্রোটিন, বায়োটিন বিদ্যমান রয়েছে যা চুলের গোড়া শক্ত করে।

মাছ খাওয়া

চুল ভালো রাখতে ও অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ মাছের মধ্যে রয়েছে উপকারি উপাদান তার মধ্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যেগুলো চুল ভালো রাখে। এ ছাড়া মাছে ভিটামিন বি১২ রয়েছে, যা খেলে আমাদের মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

দুগ্ধজাত খাবার

দুধে রয়েছে প্রচূর পরিমাণে ক্যালশিয়াম চুল ঝরার পরিমাণও রোধ করতে পারে। ক্যালশিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবারে বায়োটিন নামক উপকারি উপাদান রয়েছে, যা চুল ঘন করতে ভূমিকা পালন করে।

ডাল খাওয়া

বিভিন্ন ধরণের ডাল জাতীয় খাবার চুলের জন্য ভালো। কেননা ডালে উপকারী স্বাস্থ্য উপাদান ভিটামিন বি বিদ্যমান রয়েছে। তাই চুল পরা রোধ করতে প্রতিদিন খাবারে চাইলে ডাল রাখতে পারেন।

বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ

কাঠবাদাম, চিয়া সিড, তিসির বীজ আখরোট ইত্যাদি— এই ধরনের খাবারগুলো আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার চুল ঝরার পরিমাণ কমে। কেননা এগুলো খাবারে বায়োটিন ও ভিটামিন বি নামক উপাদান রয়েছে, যা শুধু চুল প়ড়া কমায় এবং চুল মসৃণ করে।

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আজকাল বেশিরভাগ মহিলারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। আবার তাদের সন্তান জম্ন দেওয়ার পরে দেখা যায় তাদের সব চুল অকালে ঝরে পড়ছে। খুব বেশি চুল পড়া বন্ধ করার উপায় না পেয়ে অনেকেই ন্যাড়া হতে বাধ্য হয়ে যায়। এজন্য আমরা পোষ্টের এই পাঠে মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় টি বলবো।

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার সেরা উপয়ায় হতে পারে হেয়ার প্যাক। চলুন তাহলে কিভাবে হেয়ার প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নেই।

প্রথমের হাফ কাপ পরিমাণ আদা কুচি, দারুচিনি নিয়ে এক লিটার পানির মধ্যে মিনিমাম ১৫ মিনিট জাল দিয়ে নিবেন। এরপর আপনার চুলে শ্যাম্পু করে সেই পানি হালকা ঠান্ডা হয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। পরবর্তিতে আর আলাদা পানি চুলে দিবেন না। এভাবেই চুল শুকিয়ে নিতে হবে।

এভাবে আপনাকে একটানা ১৪ দিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দেখবেন এই উপায়টি অবলম্বন করে খুব দ্রুত ভালো একটি ফলাফল পেয়ে যাবেন। আপনাকে আপনার সপ্নের চুল ন্যাড়া করা লাগবে না। তবে যেই ১৪ বা ২ সপ্তাহ চুলে ব্যবহার করবেন সেই কয়েকদিন আপনার চুলে শ্যাম্পু না করলেও চলবে। তাই বলয়া যায় মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই মাধ্যমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমরা ইতিমধ্যে ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনার যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামতের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment