মানবীয় উৎস কি? মানবীয় উৎসের উদাহরণ ও পার্থক্য (জানুন বিস্তারিত)

মানবীয় উৎস কি, আমাদের নিত্যদিনের জীবনে যে জিনিসটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে তথ্য। যেকোনো বিষয় নিয়েই কাজ করা হোক না কেনো সেই কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে হলে প্রথমে সেই বিষয় সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে হয়। এরপর সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে কালেক্ট করতে পারি। যার  মধ্যে মানবীয় উৎস সবচেয়ে অন্যতম। আপনি কি মানবীয় উৎস কি? মানবীয় উৎসের উদাহরণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে মানবীয় উৎস সম্পর্কে জানতে একেবারে সঠিক ওয়েবসাইটেই প্রবেশ করেছেন।

উপস্থাপনা – মানবীয় উৎস

আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে মানবীয় উৎস কি তা বিস্তারিত আলোচনা করব এবং পাশাপাশি মানবীয় উৎস কাকে বলে, মানবীয় উৎসের উদাহরণ, মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে পার্থক্য ইত্যাদি সহ এই বিষয়ে আরও অন্যান্য জরুরি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তাই আমার মনে হয় অবহেলা না সম্পন্ন আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে মানবীয় উৎস সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা জেনে নেওয়া। তো আপনি যদি মানবীয় উৎস নিয়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে না জানেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন।

তাহলে আশা করছি মানবীয় উৎস নিয়ে যতগুলো তথ্য জানার দরকার তা আপনারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমেই জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই মানবীয় উৎস কি তা জেনে নেওয়া যাক।

মানবীয় উৎস কি

সহজ ভাষায় বলতে গেলে মানবীয় উৎস হচ্ছে মূলত যখন একজন মানুষ সক্রিয়ভাবে কাউকে কোন তথ্য প্রদান করছে সেটিকেই মানবীয় উৎস বলা হয়। আর অন্যদিকে মুঠোফোনটি হচ্ছে জড় উৎস হিসেবে পরিচিত। যা আপনাকে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তথ্য পেতে হয়।

মানবীয় উৎস কাকে বলে

মানবীয় উৎস হচ্ছে যখন আপনি কোনো মানুষের কাছ থেকে বিষয়ে কোনো সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করবেন। অর্থাৎ এখানে অন্য কোনো মাধ্যম কিংবা বস্তুর সাহায্য থাকবে না। মূলত সরাসরি কোনো মানুষের নিকট থেকে সক্রিয় ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাকেই মানবীয় উৎস বলা হয়।

মানবীয় উৎস কি? মানবীয় উৎসের উদাহরণ ও পার্থক্য

মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান অনুযায়ী মানুষ জড় পদার্থ অপেক্ষা মানবীয় উৎসকেই বেশি উপকারী এবং নির্ভরযোগ্য মনে করে। মানবীয় উৎস সম্পর্কে আপনি যদি উদাহরণ জেনে নেন তাহলে নিশ্চয় আপনি এই বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে বুঝতে পারবেন। মোট কথা একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন। তাহলে আসুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মানবীয় উৎসের উদাহরণ জেনে নেই।

মানবীয় উৎসের উদাহরণ

মানবীয় উৎসের উদাহরণ হিসেবে একটি বাস্তবিক ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। মনে করুন, আপনি কোন স্কুল, কলেজ অথবা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছেন। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি নিজে ঐ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন কিংবা ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

📌আরো পড়ুন 👇

এখন, আপনি যখন সরাসরি প্রতিষ্ঠানে যাবেন, তখন আপনি সেখানে কর্মরত যেকোন ব্যক্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা ভর্তির বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। এর মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তি আপনাকে সরাসরি মৌখিকভাবে ভর্তি নিয়ে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে পারবেন।

মূলত এই সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়কেই মানবীয় উৎস বলা হয়। শুধু তাই নয়, আপনি যদি রোগী হিসেবে একজন চিকিৎসকের কাছে যান, তবে ঐ চিকিৎসক আপনাকে সরাসরি চিকিৎসা দিতে পারবেন অথবা আপনি যখন শিক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকের কাছে যান, তখন শিক্ষক আপনাকে সরাসরি শিক্ষা দেন, এই বিষয়টিকেও মানবীয় উৎসের মধ্যেই ধরা হয়।

আচ্ছা এই বিষয়ে একদম আপনাকে আরেকটি বাস্তবিক উদাহরণ হিসেবে একটি তথ্য শেয়ার করি। তাহলে আমি আশা করছি এই বিষয়ে একেবারে পরিস্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।

আবার ধরুন, কোন ব্যক্তি আপনার বাসায় এসে জানিয়ে গেলেন যে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। একসময় দেখা গেল আপনার পিতা/মাতার মুঠোফোনে কখন, কোথায় টিকা দিতে হবে সেই বিষয়ে একটি মেসেজ আসল।

এখানে যিনি আপনার বাসায় এসেছিলেন তিনি হচ্ছেন মানবীয় উৎস। তার মানে মানবীয় উৎস মানেই হলো যখন একজন মানুষ সক্রিয়ভাবে আপনাকে সরাসরি কোন তথ্য দিচ্ছে। আর অপরদিকে আপনার পিতা বা মাতার মুঠোফোনটি হলো জড় উৎস। জড় উৎস আপনাকে সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তথ্য পেতে হয়।

তথ্য আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। আমাদের সমস্যা বা প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন তথ্যের জন্য উৎসও হয় ভিন্ন। তো আশা করছি আপনারা এই অংশের সাহায্যে মানবীয় উৎসের উদাহরণ জেনে এই বিষয়ে পরিস্কার ধারনা পেয়েছেন। তাহলে এবার আসুন, মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে পার্থক্য কি তা জেনে নেওয়া যাক।

মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে পার্থক্য

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক সময় মানবীয় উৎস এবং জড় উৎসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না বা তাদের এই বিষয়ে কিছুটা দ্বিধা-সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই তাদেরকে এই ব্যাপারটি বুঝতে হলে মানবীয় উৎস এবং জড় উৎসের মধ্যে পার্থক্য গুলো জেনে নেওয়াটা প্রয়োজন।

মানবীয় উৎস কি? মানবীয় উৎসের উদাহরণ ও পার্থক্য

মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে ৫ টি পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

মানবীয় উৎস

  • ১। মানবীয় উৎস হচ্ছে মূলত যখন কোনো ব্যক্তি সরাসরিভাবে কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে  প্রয়োজনীয় বা দরকারি তথ্য কালেক্ট করেন।
  • ২। মানবীয় উৎস বলতে মানব সম্পর্কিত একটি মাধ্যম, যেখানে কোনো জড় মাধ্যমের অস্তিত্ব নেই।
  • ৩। মানবীয় উৎস এর মাধ্যমে কোনো মানুষের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে কোন বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।
  • ৪। মানবীয় উৎসের তথ্য বরাবরই নির্ভরযোগ্য হয়, এর কারণ এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • ৫। মানবীয় উৎসের তথ্য সক্রিয়তা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন নেই।

জড় উৎস

  • ১। জড় উৎস হচ্ছে মূলত তথ্য সংগ্রহ করার অন্য একটি উৎস যেখানে কোনো জড় মাধ্যম ব্যবহার করা হয় তথ্য সংগ্রহ করা হয় যেমন মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি।
  • ২। জড় মাধ্যম সরাসরি কোনো মানবের উপস্থিতি থাকে না। বরং জড় বস্তুর উপস্থিতিতে তথ্য পাওয়া যায়,
  • ৩। যখন আপনার মোবাইল ফোনে কোনো তথ্য বিষয়ক মেসেজ আসে বা টেলিভিশনে কোনো তথ্য জানতে পারেন এসব কিছুই জড় উৎসের উদাহরণ।
  • ৪। জড় উৎসের তথ্য নির্ভরযোগ্য হলেও তা মানবীয় উৎসের মত এতটা নির্ভরযোগ্য হয়না কারণ এতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকতে পারে। আবার একই বিষয় নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া যায় যাতে দ্বিধার সৃষ্টি হয়।
  • ৫। তথ্য সংগ্রহ করতে সক্রিয় পর্যবেক্ষণ দরকার।

তো আশা করছি আপনারা এই অংশের সাহায্যে মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে পার্থক্য জেনে এই বিষয়ে আরো পরিস্কার ধারনা পেয়েছেন। তাহলে এবার আসুন, তথ্যের ভিত্তিতে মানবীয় উৎস কোন ধরণের উৎস তা জেনে নেওয়া যাক।

তথ্যের ভিত্তিতে মানবীয় উৎস কোন ধরণের উৎস?

তথ্যের ভিত্তিতে আসলে মানবীয় উৎসকে কোন শ্রেণি বা বিভাগ হিসেবে ধরা হবে তা নির্ণয় করার আগে আপনাকে প্রথমে এ ধরণের উৎস কত প্রকার তা জানতে হবে।

📌আরো পড়ুন 👇

প্রাপ্তির উৎসের ভিত্তি করে তথ্যকে মূলত ২ ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

  • প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উৎস
  • মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উৎস

১. প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উৎস

প্রথমে আমরা প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উৎস কী তা জেনে নিব। প্রত্যক্ষ উৎস হচ্ছে মূলত যখন কোনো তথ্য সরাসরি জানা যায়। যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করেই তা পাওয়া যাক না কেন তথ্য অবশ্যই যেখানে উদ্ভূত হয়েছে সেখান থেকেই কালেক্ট করতে হবে। এভাবে সরাসরি তথ্য পেলে তা প্রত্যক্ষ উৎসের অন্তর্গত।

২. মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উৎস

প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উৎস জেনে নেওয়ার পরে এবার আমরা পরোক্ষ উৎস বা মাধ্যমিক উৎস কি তা জেনে নিব। যিনি তথ্য প্রদান করে হোক সেটা ব্যক্তি বা জড় মাধ্যম সেগুলো তথ্য অন্য কোন ব্যাক্তির হতে তথ্য সংগ্রহ করে তারপর প্রদান করেছে। এখানে তথ্য যার কাছ হতে কালেক্ট করা হল সে আরেকটি উৎস থেকে জেনে জানাচ্ছে বলেই একে মাধ্যমিক উৎস বলা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস নিয়ে তো জানলাম। তাহলে এবার আসা যাক, মানবীয় উৎস আসলে কোন উৎসের অন্তর্গত? এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস উভয়ই মানবীয় উৎস হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে একজন ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য কালেক্ট করে তখন সেটা প্রত্যক্ষ উৎসের অন্তর্গত।

কেননা উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ঐ কাজের সাথে জড়িত বিধায় সরাসরি তথ্য দিচ্ছেন। অন্যদিকে, আপনি যদি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য জেনে এসে অন্য কাউকে বলেন তবে সেটা হবে পরোক্ষ উৎসের অন্তর্গত। কারণ তিনি প্রত্যক্ষভাবে এই কাজের সাথে জড়িত নন।

কিন্তু তিনি নির্ধারিত ব্যক্তির থেকে তথ্য গ্রহণ করেছেন এবং এসে আরেকজনকে জানিয়েছেন। তাই এটা মানবীয় উৎস হলেও পরোক্ষ উৎসের সাথে সম্পর্কিত হবে।অর্থাৎ এই বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে মানবীয় উৎস প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উভয়ই হতে পারে।

মানবীয় উৎস সম্পর্কিত সাধারন জিজ্ঞাসা (FAQs)

তথ্যের প্রাথমিক উৎস কি?

মানববিদ্যার ক্ষেত্রে ঘটনাটিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী বা সেটিকে সরাসরি পর্যবেক্ষণকারী ব্যক্তি পরবর্তীতে ঘটনাটির বিবরণ বা নথি লিখলে সেটিকে প্রাথমিক উৎস হিসেবে গণ্য করা হতে পারে।

জড় উৎস কী কী?

মাটি, পানি, বায়ু, গাড়ি, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি হলো জড়। মানুষসহ অন্য সব প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন জড় বস্তুর ওপর নির্ভরশীল।

মানবীয় উৎসের ক্ষেত্রে কি কি?

বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী, অভিজ্ঞ ব্যক্তি, কর্মরত ব্যক্তি ইত্যাদি।

মানবীয় সম্পদ কোনটি?

মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলিকে মানবীয় সম্পদ বলে।

মানবীয় উৎস সম্পর্কে মতামত মতামত

আমরা আজকের এই পোষ্টে এতক্ষণ ধরে মানবীয় উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়াদি জেনে নিলাম। আসলে এই বিষয়টি খুবই সরল ও সহজ। কিন্তু এর সাথে জড় উৎসের বিষয়টি জড়িত রয়েছে যার ফলে অনেক সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। তাই মানবীয় উৎস গুলো সম্পর্কে সকলের ধারণা রাখা আবশ্যক।

কেননা এই সমস্ত উৎসের তথ্য দ্বারা আমরা নিজেদের নানান ধরনের দিক ক্রমাগত পরিচালনা করে থাকি। আর মানবীয় উৎসগুলোর প্রতিই বেশি নজর দেওয়া হয় নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য।

আমরা ইতিমধ্যে মানবীয় উৎস কি তা আলোচনা করার পাশাপাশি মানবীয় উৎস কাকে বলে, মানবীয় উৎসের উদাহরণ, মানবীয় উৎস ও জড় উৎসের মাঝে পার্থক্য এবং তথ্যের ভিত্তিতে মানবীয় উৎস কোন ধরণের উৎস নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি মানবীয় উৎস নিয়ে এসকল বিষয়ে ক্লিয়ার হয়েছেন।

মানবীয় উৎস সম্পর্কিত আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা বিভিন্ন জরুরি তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment