আপনি কি লোক শিল্প কাকে বলে বা লোক শিল্প বলতে কি বোঝায় তা জানতে চাচ্ছেন? মূলত লোকশিল্প আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের যতরকম নানাবিধ অনুষ্ঠান আছে প্রতিটা ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই শিল্পের অনন্য নান্দনিকতা এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়া বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
লোক শিল্প একটি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন অংশ, যেখানে সাধারণ মানব জাতির সৃজনশীলতা ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানকে ধারণ করে রাখে। এটি একটি নির্দিষ্ট জায়গার সমস্ত জনগণের জীবনযাপন, বিশ্বাস, অনুভূতি, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলনের একটি অবকাঠামো। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ শিল্প সমাজের প্রতি সাংস্কৃতিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্থান পেয়েছে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
উপস্থাপনা – লোক শিল্প
আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে লোক শিল্প কাকে বলে তা বিস্তারিত আলোচনা করব এবং এর পাশাপাশি লোকশিল্পের উদাহরণ, ১০ টি লোকশিল্পের নাম, লোকশিল্পের গুরুত্ব ইত্যাদি সহ লোকশিল্পের বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আমার মনে হয় অবহেলা না সম্পন্ন আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে ক্লিয়ার ধারণা জানতে পারা।
তো আপনি যদি লোক শিল্প নিয়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন। তাহলে আশা করছি লোক শিল্প নিয়ে যতগুলো অজানা তথ্য রয়েছে জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই লোক শিল্প কি তা জেনে নেওয়া যাক।
লোক শিল্প কি
লোকশিল্প হচ্ছে মূলত এমন একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনের এক শিকড় এবং জীবন ব্যবস্থাগুলো প্রতিফলিত হয়। তারা লোকশিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত হয়ে সুস্পষ্ট সংস্কৃতির চিরায়ত এই রূপকে ধারণ করে। দৃশ্যমান লোকশিল্প একটি ঐতিহ্যগত সম্প্রদায়ের মধ্যে বস্তুসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এমন ভাবে ব্যবহার করা যাতে ঐতিহাসিকভাবে তৈরি করা ।
কাপড় এবং কাঁথা ছাপানো হয় মূলত কাঠের নকশা করা ছাঁচে রং লাগিয়ে। অতি সাধারণত সংস্কৃতির ললিত কলা এক ঐতিহ্যের পরিবর্তে লোক শিল্পের নির্মাতারা একটি জনপ্রিয় অন্যতম ঐতিহ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। লোকশিল্প লোক এই সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তৈরি সমস্ত ধরনের এমন চাক্ষুষ শিল্পকে অন্তর্ভুক্তও করে।
গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ উন্নত সমাজের কাঠামোর মধ্যে নানা ভাবে বিরাজমান করে কিন্তু তারা আবার ভৌগোলিক অথবা এই সাংস্কৃতিক কারণবশত শিল্পের উন্নত ধারা থেকে শুরু করে নানাবিধ উপায়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, এবং তাদের নির্মিত এ শিল্পকে লোকশিল্প রূপে নানা ভাবে বিবেচনা করা হয়।
লোক শিল্প কাকে বলে
লোকশিল্প হচ্ছে সমস্ত চাক্ষুষ ও ব্যবহারিক শিল্পকর্মকে বোঝানো হয় , যা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনধারার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত থাকে। এটি ভৌগোলিক বা সাংস্কৃতিক কারণে আধুনিক বা উন্নত ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সৃজনশীলতাকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিফলিত করে।
লোকশিল্পের সৃষ্টিকর্ম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারিক চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং এর পাশাপাশি এগুলো সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং ঐতিহ্যের ধারক হিসেবেও কাজ করে থাকে। আশা করছি আপনি তাহলে ইতিমধ্যে লোক শিল্প কাকে বলে বা লোক শিল্প বলতে কি বোঝায় তা হয়তো জেনে গেছেন।
লোকশিল্পের উপাদান গুলো কি কি
আপনি কি লোকশিল্পের উপাদান গুলো কি কি তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমাদের পোষ্টের এই অংশটি একটু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন। তাহলে লোকশিল্পের উপাদান গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পাবেন।
📌আরো পড়ুন 👇
লোকশিল্পের কিছু উপাদান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে:👇
- অনানুষ্ঠানিক: লোকশিল্প সাধারণত অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে তৈরি করা হয়।
- ঐতিহ্যবাহী: লোকশিল্প সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা গোষ্ঠীর মানুষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
- দক্ষতা: লোকশিল্প তৈরি করতে নির্দিষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
- নান্দনিক: লোকশিল্পে নান্দনিক উপাদানও থাকে।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে লোকশিল্পের উপাদান গুলো কি কি সেই সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, লোকশিল্পের উদাহরণ সমূহ জেনে নেওয়া যাক।
লোকশিল্পের উদাহরণ
আপনারা অনেকেই হয়তো লোকশিল্পের উদাহরণ সম্পর্কে জানেন না। তাই আপনাদের জানানোর জন্য আমরা পোষ্টের এই পাঠে লোকশিল্পের ২ টি উদাহরণ তুলে ধরেছি। চলুন, তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে লোক শিল্পের সাধারণ উদাহরণ নিম্নলিখিত থেকে জেনে নেই।
- পটচিত্র: বাংলাদেশে নকশি কাঁথা এবং, পটচিত্র, আলপনা, আবার নকশি শিকা ইত্যাদি লোকশিল্পের এক অন্যতম জনপ্রিয় নিদর্শন।
- কারুশিল্প: বাংলাদেশের এমন একটি কারুশিল্পের মধ্যে রয়েছে হস্তশিল্প, ধাতুশিল্প, কাঠশিল্প, এবং পাথরশিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি।নকশি ছাঁচ এই লোকশিল্পকলার একটি স্থায়ী হলো ফর্ম।
তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে লোকশিল্পের উদাহরণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ১০ টি লোকশিল্পের নাম সমূহ জেনে নেওয়া যাক।
১০ টি লোকশিল্পের নাম
লোকশিল্পের ১০টি উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে যেগুলো আসলে আমরা অনেকেই জানি না। আমরা পোষ্টের এই অংশে তালিকাবদ্ধভাবে লোকশিল্পের নাম উল্লেখ করেছি। ১০ টি লোকশিল্পের নাম হচ্ছে–
- ১। সরাচিত্র,
- ২। আলপনা,
- ৩। লোকবাদ্যযন্ত্র,
- ৪। শোলার কাজ,
- ৫। পটচিত্র,
- ৬। বাঁশ
- ৭। বেতের বেড়া,
- ৮। নকশি পিঠা,
- ৯। নকশি পাখা,
- ১০। শীতলপাটি ও শিকা প্রভৃতি।
শুধু নান্দনিক গুণসম্পন্নই নয়, আবার যার ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা-ই হলো কারুশিল্প। কাঠ, মাটি এবং পাথরের ছাঁচে মিঠাই, ক্ষীর,আবার আমসত্ত্ব, ও গুড়ের পাটালি ইত্যাদি তৈরি করা হয় ।
লোকশিল্পের তালিকা – বাংলাদেশের লোকশিল্পের তালিকা
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা লোকশিল্প কি সেটা পরিস্কার ধারনা রাখে কিন্তু আমাদের এই বাংলাদেশের লোকশিল্পের তালিকা বা এই দেশে কি কি লোকশিল্প রয়েছে বা কোন জিনিস লোকশিল হিসেবে পরিচিত তা জানেন না। তো এই নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।
📌আরো পড়ুন 👇
আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকি। মানে হচ্ছে আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই আমরা পোষ্টের এই অংশে লোকশিল্পের তালিকা তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন, আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের লোকশিল্পের তালিকা সম্পর্কে। কারুশিল্পের বিশাল ভান্ডারে রয়েছে যথাঃ
- জামদানি,
- সতরঞ্জি,
- ধাতব শিল্প,
- শঙ্খ শিল্প,
- আবার মৃৎশিল্প,
- দারুশিল্প,
- ঝিনুক শিল্প,
- পুতুল শিল্প,
- পিতল-কাঁসা শিল্প,
- বাঁশ-বেত শিল্প,
- শোলা শিল্প ইত্যাদি।
বেঁচে থাকার তাগিদে এমন কাজ করতে গিয়ে এবং অবসর গুলো মুহূর্তে বসে এসব শিল্প-সম্পদ হিসেবে তৈরি করেছে কারুশিল্পীরা। মাটি, পাথর বা কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের এমন ভাবে ছাঁচ তৈরি করা হয়।
লোক শিল্পের ধরন
লোক শিল্প বেশ কয়েকটি রূপে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে থাকে, যা আসলে বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্য এবং মানুষের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে। লোক শিল্পের কিছু প্রধান ধরন বিদ্যমান রয়েছে যথাঃ
- চিত্রশিল্প
- কারুশিল্প
- সঙ্গীত ও নৃত্য
- লোকগল্প ও লোকগাথা
এবার আসুন লোক শিল্পের এই কয়েকটি ধরন সম্পর্কে ধারণ নেওয়া যাক👇
১। চিত্রশিল্প
লোক চিত্রশিল্পের প্রধান উদাহরণ হচ্ছে মূলত পটচিত্র, আলপনা, নকশিকাঁথা ইত্যাদি। বাংলাদেশে পটচিত্র এর প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাধারনত এটি কাহিনীভিত্তিক এবং ধর্মীয় কিংবা ঐতিহাসিক ঘটনাকে চিত্রিত করে।
২। কারুশিল্প
চিত্রশিল্প এর পরের ধরণ হচ্ছে কারুশিল্প। এবার তাহলে কারুশিল্প সম্পর্কে জেনে নেই। লোক শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হচ্ছে মূলত হস্তশিল্প বা কারুশিল্প। পাটের ব্যাগ, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরি ঝুড়ি কাঠের নকশা ইত্যাদি এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
৩। সঙ্গীত ও নৃত্য
কারুশিল্প এর পরের ধরণ হচ্ছে সঙ্গীত ও নৃত্য। এবার তাহলে সঙ্গীত ও নৃত্য সম্পর্কে জেনে নেই। বাউল গান, জারি-সারি, ভাওয়াইয়া, এবং ধামাইল নৃত্য লোক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এগুলোতে গ্রামীণ জীবনের আনন্দ এবং দুঃখের গল্প ফুটে ওঠে।
৪। লোকগল্প ও লোকগাথা
সঙ্গীত ও নৃত্য এর পরের ধরণ হচ্ছে লোকগল্প ও লোকগাথা। এবার তাহলে লোকগল্প ও লোকগাথা সম্পর্কে জেনে নেই। প্রাচীন গল্প এবং কিংবদন্তিগুলো গ্রামীণ জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো মৌখিকভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের লোক শিল্প
বাংলাদেশের লোক শিল্প হচ্ছে মূলত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত। যার উৎপত্তি প্রাচীনকালে, মানুষ যখন প্রকৃতির সাথে তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের একটি বিকাশ ঘটাতো। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল বিদ্যামান আছে যেখানে মূলত লোক শিল্প ভিন্ন বৈচিত্র্য ও বিশেষত্ব বহন করে। যেমন:
- পাহাড়ি অঞ্চলে: বাঁশ ও কাঠের কারুশিল্প।
- বরিশাল ও খুলনায়: সুন্দরবনের প্রভাবযুক্ত কাঠের কাজ।
- রাজশাহী ও কুষ্টিয়ায়: নকশিকাঁথা এবং বাউল সঙ্গীতের ঐতিহ্য।
- ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায়: ধামাইল নৃত্য।
লোকশিল্প তৈরির উপকরণ হিসেবে বলা যায় মূলত লোকশিল্প স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। মাটি, কাঠ, সুতা, বাঁশ, বেত, কাপড়, শোলা, শঙ্খ ইত্যাদি সহজলভ্য উপাদান দিয়ে বিভিন্ন ধরণের শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। তবে উল্লেখ্য বিষয় হচ্ছে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সোনা, রূপা, পিতল এবং হাতির দাঁতের মতো মূল্যবান উপকরণও ব্যবহৃত হয়।
লোকশিল্প তৈরি করার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন পরে সেগুলো অত্যন্ত সহজেই আমাদের এই দেশে পাওয়া যায়। এই সাধারণ উপকরণ এবং যন্ত্রপাতির মাধ্যমে গ্রামীণ শিল্পীরা যুগযুগ ধরে অনবদ্য শিল্পকর্ম তৈরি করে আসছেন। কামার, কুমার, তাঁতি জাতি ছুতার, সোনারু, কাঁসারু এবং পটুয়া জাতি পেশা হিসেবে পুরুষানুক্রমে এ শিল্পে নিযুক্ত রয়েছেন।
এমনকি আমাদের দেশের গৃহস্থ মহিলারাও আলপনা আকার পাশাপাশি নকশি কাঁথার মতো শিল্পকর্মে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তবে এদের শিল্পী হিসেবে ভিন্ন কোন ধরণের পরিচয় বা জাত নেই। এরা গ্রামীণ সৌখিন শিল্পীরাও আসবাবপত্র ও সাজ-সরঞ্জাম, নান্দনিক চেতনা থেকে খেলনা তৈরি করেন।
লোকশিল্পে ব্যবহৃত মোটিফ বাঙালির ঐতিহ্যের স্থায়ী প্রতীক। পদ্ম, কল্কা, সূর্য, সজীব গাছ, পুষ্পিত লতা ইত্যাদি মোটিফ বিভিন্ন চিত্র, নকশা, সূচিকর্ম ও খোদাই কাজে ব্যবহৃত হয়।
মাছ প্রজননের প্রতীক, ধানছড়া সমৃদ্ধির প্রতীক, পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক এবং স্বস্তিকা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এছাড়া হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, মন্দির-মসজিদ প্রভৃতি মোটিফও লোকশিল্পে ব্যবহৃত হয়।
লোকশিল্প সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমরা এতক্ষণ যাবত সম্পন্ন ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম যে লোকশিল্প হচ্ছে মূলত প্রতিটা মানব জাতির ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কেবলমাত্র শিল্প নয়, বরং এটি সংস্কৃতির জীবনধারা ও ইতিহাসের ধারক হিসেবে পরিচিত। যা আমাদের বাংলাদেশের লোক শিল্প বৈচিত্র্য এবং সৃজনশীলতার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, তেমনই এটি আজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে প্রচারনা করার দরকার।
সময় এসেছে আমাদের একত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করে ঐতিহ্যের এই অমূল্য অংশটিকে বাঁচিয়ে রাখার। আশা করছি এবারের আর্টিকেলের দ্বারা লোক শিল্প কাকে বলে, ১০ টি লোকশিল্পের নাম ও লোকশিল্পের উদাহরণ সম্পর্কে অনেক ভালো ভাবে বুজতে পেরেছেন
আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে লোক শিল্প কাকে বলে সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।