লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য, লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় ও লোকশিল্পের গুরুত্ব

সম্মানিত পাঠক, আপনি কি লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য ও লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে লোকশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সমূহ জানতে একেবারে সঠিক ওয়েবসাইটেই প্রবেশ করেছেন। এর কারণ হচ্ছে আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য গুলি বিস্তারিত আলোচনা করব।

এবং এর পাশাপাশি লোকশিল্পের গুরুত্ব, লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়, লোকশিল্পের গুরুত্ব, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দের মতে লোকশিল্পের সংজ্ঞা এবং লোকশিল্পকে কিসের সাথে তুলনা করা হয় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই আপনার উচিত হবে অবহেলা না করে সম্পন্ন আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে এই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা জেনে নেওয়া।

তো আপনি যদি লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য সহ উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন। তাহলে আশা করছি লোক শিল্প নিয়ে কাংখিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে লোকশিল্পের সংজ্ঞা তা জেনে নেওয়া যাক।

Table of Contents

লোকশিল্পের সংজ্ঞা

লোক শিল্প (Folk Art) হচ্ছে মূলত এমন একটি শিল্পকর্ম যার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির সৃজনশীলতা নয় বরং একটি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আর এটি বিশেষ করে হাতের কাজের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং যুগের পর যুগ ছড়িয়ে পড়ে। এই শিল্পে প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস, এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।

📌আরো পড়ুন 👇

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন যারা লোকশিল্পের সংজ্ঞা হিসেবে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। সেগুলো হলো:

  • এ. কে. কোমারসোয়ামি: “লোকশিল্প হচ্ছে মূলত এমন একটি শিল্প যা গ্রামের মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা ও প্রয়োজন দূর করার পাশাপাশি নিজস্ব রুজি রোজগার ও বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটানোর জন্য তৈরি করে।”
  • চার্লস ল্যান্ডার: “লোকশিল্প হচ্ছে মূলত মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির মূল অভিব্যক্তি। আর এটি প্রথাগত ও স্থানীয়ভাবে উপাদান এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।”
  • ড. সুকুমার সেন: “লোকশিল্প হচ্ছে এমন একটি শিল্প যার মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ তার আবেগময়ী বিশ্বাস, এবং সংস্কারকে প্রতিফলিত হওয়ার লক্ষ্যে তৈরি করে এবং যা স্থানীয় নন্দনতত্ত্বে সমৃদ্ধ।”
  • ড. আসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়: “লোকশিল্পের মূল বিষয় হচ্ছে মূলত এর সামাজিক দিক এবং এর সামগ্রিক ঐতিহ্য দিক। এটি কেবলমাত্র নান্দনিকতার প্রকাশ নয়, বরং সমাজের চেতনা অভিব্যক্তি।”
  • ড. চিন্ময় গুপ্ত: “লোকশিল্প হলো মানুষের সহজাত সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য প্রকাশ, যা প্রথাগত জ্ঞান ও স্থানীয় উপাদানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জীবনের অঙ্গ।”

আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে লোকশিল্পের সংজ্ঞা সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য সমূহ জেনে নেওয়া যাক।

লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য

লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য বলতে শিল্পের ঐতিহ্য, নান্দনিকতা, এবং ব্যবহারিক দিকগুলোকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরার একটি ধারক। বাংলার লোকশিল্পের মূল বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে রয়েছে মানুষের আবেগ, সহজলভ্যতা, স্থানীয় উপাদানের ব্যবহার, এবং সংস্কারের প্রতিফলন।

লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য, লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় ও লোকশিল্পের গুরুত্ব

  • স্থানীয় উপকরণের ব্যবহার
  • সামাজিক ও ধর্মীয় সংযোগ
  • প্রথাগত দক্ষতার উপর নির্ভরশীল
  • ব্যবহারিক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত
  • মোটিফের ব্যবহার
  • নান্দনিক রূপ
  • গণমানুষের শিল্প
  • অর্থনৈতিক যোগসূত্র
  • অবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্যের ধারক

উল্লিখিত লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১) স্থানীয় উপকরণের ব্যবহার

লোকশিল্প তৈরির জন্য মূলত স্থানীয়ভাবে উপকরণ ব্যবহার করা হয়। যেমন: মাটি, কাঠ, সুতা, শঙ্খ, বাঁশ, বেত, শোলা ইত্যাদি। কিছু কিছু সময়ে সোনা, রূপা, পিতল, হাতির দাঁত ইত্যাদির মতো মূল্যবান উপকরণও ব্যবহার করা হয়।

২) সামাজিক ও ধর্মীয় সংযোগ

লোকশিল্প ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের সাথে সংযুক্ত বা জড়িত রয়েছে। এটি লক্ষ্মীর সরা, মঙ্গলঘট, মনসা ঘট, আলপনা প্রভৃতির মাধ্যমে পূজা-পার্বণ ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করা হয়।

৩) প্রথাগত দক্ষতার উপর নির্ভরশীল

লোকশিল্প যুগের পর যুগ ধরে প্রথাগত জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক শিল্প শিক্ষা ব্যতিত শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতার প্রতিফলন তথাকথিত প্রচেষ্টা।

৪) ব্যবহারিক ও সৌন্দর্যমণ্ডিত

লোকশিল্পের মধ্যে ব্যবহারিকতার এক অনন্য সমন্বয় রয়েছে। যেমন: যদি নকশিকাঁথা ও আলপনা শৈল্পিক হলেও তা ব্যবহারিক। তাছাড়া মাটির নকশি পাটি বাঁশের ঝুড়ি ও হাঁড়ি-পাতিল দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটায়।

৫) মোটিফের ব্যবহার

লোকশিল্পে মূলত বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হইয়ে থাকে, যা ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন: পদ্ম, মাছ, সজীব গাছ, ময়ূর, মোটিফ চিত্র, সূচিকর্ম স্বস্তিকা, সূর্য, কল্কা এবং খোদাই কাজে ব্যবহার করা হয়।

৬) নান্দনিক রূপ

লোকশিল্পে ব্যক্তিগত সৃজনশীলতার পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় আবেগের একটি সুন্দর মেলবন্ধন দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে সৃজনশীলতার অতি সরল, প্রাকৃতিক রূপ, যা চিত্তাকর্ষক ও মনোমুগ্ধকর।

৭) গণমানুষের শিল্প

লোকশিল্প মূলত প্রতিটা মানব জাতির জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে, এবং এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান ও প্রয়োজনের তাগিদে এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছে। এটি আসলে প্রতিটা গ্রামীণ মানুষের সংস্কৃতি, রুচি, এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন।

৮) অর্থনৈতিক যোগসূত্র

লোকশিল্প হচ্ছে অনেকের জীবিকার চাহিদা পূরণের একটি প্রধান উৎস। তাঁতি, শাঁখারি কামার, কুমার, ছুতার প্রভৃতি শিল্পীরা জীবিকা নির্বাহের জন্য লোকশিল্প জড়িত রয়েছে।

৯) অবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্যের ধারক

লোকশিল্প যুগের পরে মানুষের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এটি ঐতিহ্য, সংস্কার, এবং প্রতীকী মূল্যবোধের ধারক এবং বাহক।

লোকশিল্পের গুরুত্ব

আমরা হয়তো এতক্ষণে জেনেছি যে লোকশিল্প কেবলমাত্র শিল্পকর্ম নয়; বরং এটি হচ্ছে মূলত সম্প্রদায়ের জীবনধারা, আচার-অনুষ্ঠান এবং ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত। এটি সামাজিক বন্ধনকে অনেক বেশি শক্তিশালী করতে এবং যুগের পর যুগ ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে।

📌আরো পড়ুন 👇

যদিও এর আধুনিকতার স্পর্শে বিভিন্ন ধরণের লোকশিল্প হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।বাংলার লোকশিল্প ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত। লক্ষ্মীর সরা, মঙ্গলঘট, আলপনা, মনসাঘট প্রভৃতি লোকশিল্প হিসেবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয়।

ধর্মীয় আবেগ এতে বিদ্যমান থাকলেও, পটচিত্রসহ আর বিভিন্ন লোকশিল্প জীবিকার উপায় হিসেবেও গণ্য হয়। অন্যদিকে, যন্ত্রপাতি নান্দনিক ডিজাইন এবং অলঙ্করণে শোভিত আসবাবপত্র গৃহস্থালির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন খেলনা, সখের হাঁড়ি, এবং সোনা-রূপার সৌখিন দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এমনকি হিংস্র পশু বা রাক্ষসের মুখোশচিত্র তৈরিতেও ঐতিহ্য-সংস্কারের ছোঁয়া থাকে, যা ‘বীভৎস রস’-এর এক অনন্য উদাহরণ। সব মিলিয়ে লোকশিল্পের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেকটাই জোড়ালো ও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে লোকশিল্পের গুরুত্ব সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় সমূহ জেনে নেওয়া যাক।

লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায়

লোকশিল্প সংরক্ষণ করার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আমরা এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় তুলে ধরেছি। লোকশিল্প চর্চা বিভিন্ন উপায়ে অব্যাহত রাখতে যেসব পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে তা হল :

লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য, লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় ও লোকশিল্পের গুরুত্ব

  • লোকশিল্পের কারিগরদের যথাযথভাবে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ।
  • লোকশিল্প এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাদের যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে ।
  • জাদুঘরে কিংবা অন্যকোন প্রদর্শনীর এমন কিছু স্থানে লোকশিল্প সংরক্ষণ করতে হবে। আর এটি হতে পারে অতি লোকশিল্প সংরক্ষণের সুপরিকল্পীত উপায় ।

লোকশিল্প গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ যারা উন্নত সমাজের কাঠামোর মধ্যে বিরাজ করে কিন্তু ভৌগোলিক অথবা সাংস্কৃতিকভাবে কয়েকটি কারণে শিল্পের উন্নত ধারা থেকে বিভিন্ন রকম ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তাদের নির্মিত এমন শিল্পকে লোকশিল্প রূপে নানা ভাবে বিবেচনা করা হয় ।

দৃশ্যমান লোকশিল্প এমন একটি ঐতিহ্যগত সম্প্রদায়ের কিছু কিছুর মধ্যে ব্যবহারের জন্য ঐতিহাসিকভাবে এমন ভাবে তৈরি করা বস্তুসমূহকে নানা ভাবে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে ।

লোকশিল্পকে কিসের সাথে তুলনা করা হয়?

লোকশিল্প লোক সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তৈরি হোয়া ভিজ্যুয়াল শিল্পের সমস্ত রূপকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে  কভার করে রাখে। যেটা আসলে সংজ্ঞাগুলি পরিবর্তিত হয়, তবে মূলত বস্তুগুলির একচেটিয়া ভাব হওয়ার পরিবর্তে কিছু ধরণের ব্যবহারিক উপযোগিতা থাকে। লোকশিল্পের নির্মাতারা কটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যের মধ্যে প্রশিক্ষিত করে সাধারণত সংস্কৃতির সূক্ষ্ম শিল্প ঐতিহ্যের পরিবর্তে।

লোকশিল্প সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

লোকশিল্প ও কারুশিল্প কাকে বলে

কারুশিল্প হচ্ছে মূলত কারুমন্ডিত করার উদ্দেশ্য অলঙ্ককরণকেই কারুশিল্প’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। আর অপরদিকে যৌথ চেতনার এমন ফসল হচ্ছে এই লোকশিল্প।

লোকশিল্প ও কারুশিল্প কি?

অন্যকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এমন যে সহজ-সরল শিল্পকর্ম তৈরি গুলো করে, তাকে বলে এই লোকশিল্প। হাতের সাহায্যে যেসব কিছু দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে, তাই তাকে বলে কারুশিল্প।

লোকশিল্প কেন মানুষ পছন্দ করে?

মানুষ লোকশিল্পকে পছন্দ করার পেছনে অন্যতম কারন হচ্ছে এটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ও জীবনের শিকড় হিসেবে মানব জীবন ব্যবস্থা প্রতিফলিত হয়।

লোকশিল্প কোথায় জনপ্রিয়?

কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঐতিহাসিকভাবে ঔপনিবেশিক দেশগুলিতে লোকশিল্প সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যেখানে ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারী এবং কালো সম্প্রদায়গুলি ভিজ্যুয়াল আর্টে তাদের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে লোকশিল্প ব্যবহার করত।

লোকশিল্প কিভাবে চেনা যায়?

লোকশিল্পের একটি সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্য হ’ল এটি হাতে তৈরি করা হয় এবং এটি তৈরি করা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের একটি বাস্তব অনুভূতি বহন করে । প্রায়শই স্পর্শকাতর বস্তু, এগুলি এক-একটি উত্পাদন প্রক্রিয়ার ফলাফল, এবং তাদের আবেদনের বেশিরভাগই শিল্পীর হাতের প্রমাণে।

লোকশিল্প কবে শুরু হয়?

লোকশিল্পের ধারণাটি 19 শতকের একটি স্বতন্ত্র। আজ এটি প্রাক-শিল্প সমাজের জন্য একটি নস্টালজিয়াকে বহন করে৷” লোকশিল্প, যার মধ্যে পারফরম্যান্স এবং বাস্তব শিল্প উভয়ই অন্তর্ভুক্ত, লোককাহিনী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত একটি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক জীবনকে প্রতিফলিত করে৷

লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখকের মতামত

আমরা সম্পন্ন ব্লগ পোষ্ট পড়ে এতক্ষণ ধরে জানলাম লোকশিল্প হচ্ছে মূলত প্রতিটা মানব জাতির ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আশা করছি এই আর্টিকেলের দ্বারা লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য, লোকশিল্পের গুরুত্ব ও লোকশিল্প সংরক্ষণের উপায় সহ লোকশিল্প সম্পর্কে আরও অন্যন্য বিষয়াদি ভালো ভাবে বুজতে পেরেছেন।

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে লোকশিল্পের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment