আপনি কি জিপিএস কাকে বলে তা জানতে চাচ্ছেন? বর্তমানে আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে প্রযুক্তির বিকাশ। আমরা প্রায় সকলেই দিন দিন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। তার মাঝে মধ্যে উদ্ভাবন ঘটে নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিপিএস এর। আমরা অনেকেই জিপিএস নামক শব্দটি শুনে আসছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে জিপিএস কাকে বলে ও এর কাজ কি? এই সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না।
তো আপনি কি জিপিএস কাকে বলে, জিপিএস এর ব্যবহার ও এর কাজ কি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। জিপিএস হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আমাদের মোবাইল ডিভাইস এবং অন্যান্য নেভিগেশন যন্ত্রের অবস্থান নির্ধারণ করতে সাহায্য করে থাকে।
এটি শুনতে যদিও সহজ মনে হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে এর পিছনে অনেক গানিতিক ব্যাখ্যা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবহার রয়েছে, যেগুলো হয়তো আমরা কেউ সেভাবে সঠিক তথ্য জানি না। মূলত তাদের সুবিধার কথা ভেবেই আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা জিপিএস এর খুঁটিনাটি সবকিছু নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
জিপিএস কাকে বলে
জিপিএস হচ্ছে মূলত একটি স্যাটেলাইট-ভিত্তিক নেভিগেশন ব্যবস্থা, যা্র সাহায্যে পৃথিবীর সমস্ত স্থানের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে। এই সিস্টেমটি প্রথমে তৈরি করা হয়েছিল মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য, কিন্তু পরবর্তীতে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
📌আরো পড়ুন 👇
GPS ব্যবহার করে চারপাশের ভৌগোলিক অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। আর জিপিএস সিস্টেম এর আসল ভিত্তিই হচ্ছে “ট্রাইলেটারেশন” নামক একটি গাণিতিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে জ্যামিতির ব্যাখা দিয়ে বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা হয়।
যদি আরও পরিস্কারভাবে বলতে গেলে সারা পৃথিবীতে কক্ষপথে স্যাটেলাইট রয়েছে মোট ২৪টি। এগুলো এমন ভাবে সেটাপ করা হয়েছে যা সিগন্যাল দেওয়ার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সবটুকু অংশ কাভারেজ করে নিয়েছে। মানে এই পৃথিবী যেই স্থানেই থাকুন না কেন আপনার সাথে ৪টি স্যাটেলাইট থাকবেই।
জিপিএস নেটওয়ার্ক সিগন্যালের মাধ্যমে আর এই সিস্টেম দ্বারা বানানো হয়েছে। আশা করছি জিপিএস কাকে বলে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, জিপিএস এর পূর্ণরূপ ও উপাদানসমূহ জেনে নেই।
জিপিএস এর পূর্ণরূপ কি
GPS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে মূলত গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System)।
জিপিএস সিস্টেমের মূল উপাদান কি কি
জিপিএস সিস্টেমটি মূলত ৩ টি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত, যেগুলি একই সাথে কাজ করে সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করার সেবা প্রদান করে। এই উপাদানগুলো হলো:
- ১. স্পেস সেগমেন্ট (Space Segment)
- ২. কন্ট্রোল সেগমেন্ট (Control Segment)
- ৩. ইউজার সেগমেন্ট (User Segment)
১. স্পেস সেগমেন্ট (Space Segment)
GPS স্যাটেলাইট এর মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে স্পেস সেগমেন্টে। সক্রিয় জিপিএস স্যাটেলাইট পুরো পৃথিবীর কক্ষপথে ২৪টি এবং কয়েকটি অতিরিক্ত স্যাটেলাইট রয়েছে। এগুলো উচ্চতা প্রায় ২০ হাজার দুইশত কিমি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। প্রতিটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশে ২ বার করে তবে টি অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরে এবং ক্রমাগত রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রদান করে।
২. কন্ট্রোল সেগমেন্ট (Control Segment)
কন্ট্রোল সেগমেন্ট হচ্ছে মূলত সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা ব্যবস্থা। এটি পৃথিবীতে অবস্থানরত মেইন কন্ট্রোল স্টেশন ও নানান ট্র্যাকিং স্টেশন নিয়ে গঠিত।
৩. ইউজার সেগমেন্ট (User Segment)
জিপিএস এর শেষ উপাদান হচ্ছে ইউজার সেগমেন্ট আর এটি ব্যবহারকারীদের অংশ। আর এটি জিপিএস ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে রিসিভার হিসেবে কাজ করে। এগুলো স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং সেই সাথে নিজের অবস্থান সথিকভাবে নির্ধারণ করে। রিসিভারগুলি স্যাটেলাইট থেকে তাদের অবস্থান, গতি, এবং সময় নির্ধারণ করতে সহায়তা করে থাকে।
জিপিএস এর কাজ কি
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর কাজ হচ্ছে যে কোন স্থানের অবস্থান নির্ধারণ করা। মানে এই জিপিএস এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের বর্তমান লোকেশন জানতে পারবেন। আবার এর কাজ হল স্যাটেলাইটের সাহায্যের বর্তমান লোকেশন প্রদান করা।
জিপিএস একেবারে নিক্ষতভাবে কাজ করতে অন্তত ৩টি স্যাটেলাইটের প্রয়োজন হয়। আর এই জিপিএস স্যাটেলাইট কন্ট্রোল করে প্রতিরক্ষা বিভাগ ইউএসএয়ার ফোর্স! তাহলে এখন নিশ্চয় এর কাজ সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছেন। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে জিপিএস কিভাবে কাজ করে? আসুন সেই প্রশ্নের উত্তর কি জেনে নেই।
জিপিএস কিভাবে কাজ করে
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে জিপিএস আসলে কিভাবে কাজ করে? আসুন এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
এটি সাধারনত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। সক্রিয় জিপিএস স্যাটেলাইট পুরো পৃথিবীর কক্ষপথে ২৪টি এবং কয়েকটি অতিরিক্ত স্যাটেলাইট রয়েছে।
এগুলো উচ্চতা প্রায় ২০ হাজার দুইশত কিমি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। প্রতিটি স্যাটেলাইট পৃথিবী চারপাশে ২ বার করে তবে টি অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরে এবং ক্রমাগত রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রদান করে। GPS সিস্টেম মূলত এগুলো স্যাটেলাইট এর সাথে যোগাযোগ করে।
এবং তিনটি বা চারটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করে। জিপিএস নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে একটু মনযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। তাহলে আশা করছি একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
মূলত, জিপিএস স্পেস সেগমেন্টে সিস্টেমে থাকা স্যাটেলাইটগুলি পৃথিবীতে এক ধরণীর রেডিও সংকেত প্রদান করে যার ফলে নিজস্ব অবস্থান এবং সঠিক সময়ের তথ্য পাওয়া যায়। এগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর প্রতিটি অংশকে কাভারেইজ করে এজন্য পুরো পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে রিসিভার এর মাধ্যমে একই সময়ে অন্তত ৪টি স্যাটেলাইটের সিগন্যাল প্রদান হয়।
তারপরে জিপিএস রিসিভার সিস্টেম স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো সংকেত সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন পদ্ধতির সহায়তায় নিজের অবস্থান নির্ধারণ করে। এই প্রসেসটি মূলত বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইটের দূরত্ব পরিমাপ করে থাকে। এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট তার কাংখিত রিসিভার পর্যন্ত দূরত্ব পরিমাপ করে।
স্যাটেলাইট থেকে রেডিও সংকেতের মাধ্যমে যে সময় পাঠানো হয় এবং যে সময় গ্রহণকারী সেই সংকেত গ্রহণ করে, তার মধ্যে পার্থক্য থেকে সংকেতের গতি নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ের পার্থক্যের ভিত্তিতে স্যাটেলাইট এবং গ্রহণকারীর মধ্যে দূরত্ব পরিমাপ করা হয়।
মূলত জিপিএস রিসিভার সক্রিয়ভাবে গ্রহণকারীর অবস্থান এবং উচ্চতা নির্ধারণ করতে পারে। এই প্রাপ্ত তথ্যকে জিপিএস গ্রহণকারীর প্রক্রিয়াকরণ করে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নেভিগেশন প্রদর্শন করে। এই ডেটা থেকেই রিসিভারের সঠিক অবস্থান, গতি, উচ্চতা, এবং চলাচলের দিক নির্ধারণ করে।
মূলত জিপিএস এভাবেই কাজ করে যার ফলে সঠিক অবস্থান ও সময় নির্ণয় করতে পারে। তবে আপনাদের আরেকটি বিষয় জেনে রাখাটা জরুরি সেটা হচ্ছে যখন ২ টি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়, তখন সেতাকে ২D পজিশনিং বলা হয়।
আর যখন তিন বা ততোধিক স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে তথ্য ব্যবহার করে অবস্থান নির্ধারণ করা হয় তখন তাকে ৩D পজিশনিং বলে। তো আশা করছি আপনারা হয়তো এ সমস্ত তথ্যগুলো বিস্তারিত পড়ে এতক্ষণে জিপিএস কিভাবে কাজ করে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন জিপিএস এর ব্যবহার বা জিপিএস কি কি খাতে ব্যবহার করা হয় সেতা জেনে নেই।
জিপিএস এর ব্যবহার
নেভিগেশন ও ম্যাপিং (Navigation and Mapping)
জিপিএস এর বহুল প্রচলিত ব্যবহারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে নেভিগেশন। যার সাহায্য বর্তমান অবস্থান অতি সহজে গন্তব্যেবা আসল ঠিকানায় পৌঁছানোর পথ পাওয়া যায়। যেমন:
- গাড়িচালক গুগল ম্যাপের সাহায্যে সঠিকভাবে নেভিগেট করে গাড়ি চালাতে পারে।
- যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন যেমন বাস,ট্রেন, বিমান ইত্যাদি চলার সঠিক দিক নির্ধারণ করতে পারে।
- রাস্তা সমতল না থাকলে এই জিপিএস দিয়ে সহজেই পথচলা সহজ হয়।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (Mobile application)
মোবাইল ডিভাইসে জিপিএস ব্যবহার করা হয় যার ফলে আমরা বিভিন্ন উপকার পেয়ে থাকি যেমন:
- গুগল ম্যাপস অ্যাপে লোকেশন শেয়ার করা।
- খাবার হস্তান্তর এবং রাইড শেয়ারিং অ্যাপ দিয়ে অবস্থান নির্ধারণ করে।
- সামাজিক যোগাযোগ জিওট্যাগ ব্যবহার করে মূলত জিপিএস এর সাহায্যে।
স্থান নির্ধারণ ও জরিপ (Location and survey)
প্রকৌশলী ও স্থপতি একেবারে সঠিকভাবে বিভিন্ন জমির উচ্চতা, সীমানা এবং অবস্থানপরিমাপ করতে GPS সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে।
যানবাহন এবং বহর ট্র্যাকিং (Vehicle and fleet tracking)
অনেক প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা তাদের পরিবহন ব্যবস্থার উপর নজর রাখে পারে এই জিপিএস ব্যবহার করে।
জরুরি সেবা এবং উদ্ধার অভিযান ( Services and rescue operations)
জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থা অ্যাম্বুলেন্সে থেকে শুরু করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি খাদ্য সরবরাহ ইত্যাদিতে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। যাতে সঠিক সময়ে নিজ অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা (Scientific research)
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেবায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এই জিপিএস ব্যবহার হয়। যেমন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ, সমুদ্রের স্তর পরিবর্তন, এবং আবহাওয়া ইত্যাদি।
প্রতিরক্ষা এবং সামরিক খাত (Defense and Military Sector)
মিসাইল গাইডেন্স এবং সামরিক বাহিনীর লোকেশন ট্র্যাকিং করতে জিপিএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পর্যটন শিল্প (Tourism industry)
জিপিএস সিস্টেম পর্যটন শিল্পে ব্যবহারে পর্যটকদের সঠিকভাবে রুট নির্দেশনা দেওয়া হয় এর পাশাপাশি প্রতিটা দর্শনীয় স্থানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় ।
ট্র্যাকিং ডিভাইস (Tracking device)
তাছাড়া জিপিএস ব্যক্তিগত ভাবে ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। যেমন বয়স্কদের নজরদারি বাচ্চাদের অবস্থান নির্ধারণ, ব্যক্তিগত সম্পত্তির নিরাপত্তা ইত্যাদি।
জিপিএস সিস্টেম না থাকলে কি ক্ষতি হবে
জিপিএস আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সকলেই ব্যবহার করে থাকি। যেমন: যোগাযোগ করা ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ট্র্যাকিং করতে, সামরিক এবং বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্র ইত্যাদি। এখন যদি এই জিপিএস সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কি ক্ষতি হবে? তাহলে আসুন, এবার আমরা এই বিষয়ে জরুরি তথ্যগুলি জেনে নেই।
ন্যাভিগেশনে ব্যঘাত ঘটবে
জিপিএস বন্ধ হলে প্রথমত যে ক্ষতি হবে সেট হচ্ছে যোগাযোগ এবং ন্যাভিগেশন ব্যঘাত ঘটবে। এটাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। বিভিন্ন প্রকারের ন্যাভিগেশন অ্যাপ্লিকেশন যেমন: গুগল ম্যাপস, ফ্লাইট ট্র্যাকিং, উবার সিস্টেম এই সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে, সঠিক পথ নির্দেশনা দেওয়া এবং নিজের অবস্থান নির্ধারণ করা যাবে না।
প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতের ক্ষতি
বেশিরভাগ সময় প্রতিরক্ষা ও সামরিক ড্রোন এবং মিসাইল জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম এর সহায়তায় কাজ করে। এজন্য জিপিএস বন্ধ হয়ে গেলে তাদের বিরাট বড় সমস্যার কারণ হবে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যাঘাত
বিজ্ঞানীদের গবেষণার ক্ষেত্রে জিপিএস সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বলা চলে। যেমন মহাকাশ গবেষণায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং ভূমিকম্পের পূর্বাভাস এর সময় সঠিক স্থান এবং সময় নির্ধারণ করে এই সিস্টেরমের ওপর। তাই, জিপিএস বন্ধ হলে হয়ে গেলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটবে।
বিভিন্ন পরিবহন খাতের ক্ষতি
সঠিকভাবে বিমান চলাচল বা জাহাজ পরিচালনা করার জন্য জিপিএস আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে। তানাহলে বিমানবন্দর এবং জাহাজ নিরাপদে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জিপিএস সম্পর্কে লেখকের মতামত
পুরো আর্টিকেলটি দ্বারা আমরা জানতে পারলাম জিপিএস কাকে বলে, জিপিএস এর উপাদান, এটা কিভাবে কাজ করে এবং এর ব্যবহার আমরা আরো জেনেছি। এর পাশাপাশি GPS সিস্টেম যদি যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীতে কি কি ক্ষতি হবে সেই বিষয়েও আলোচনা করেছি।
আশা করছি উক্ত আর্টিকেলটি বেশ হেল্পফুল হয়েছে। আপনি যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। অথবা পরামর্শের জন্য চাইলে সরাসরি কন্ট্যাক্ট আস থেকে নাম্বার কালেক্ট করে যোগাযোগ করতে পারেন। এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।