জি আই এস বলতে কি বুঝ– বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক জিআইএফ এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। তবে জিআইএস ব্যবহার করার আগে সেই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা যথাযথভাবে জানার প্রয়োজন। জিআইএস ব্যবহারে নানান ধরণের তথ্য বার্থডেটা সংরক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
এবং এর পাশাপাশি জিআইএস বিভিন্ন স্থানিক কাজেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটি আরও অন্যান্য বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে জিআইএস রিলেটেড প্রয়োজনীয় কিছু যাবতীয় তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
ভৌগলিক বিভিন্ন তথ্য বা উপাত্ত কালেক্ট করে সংরক্ষণ করা এবং বিশ্লেষণ করে সেটিকে আবার উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে জিআইএস এর প্রয়োগ এবং ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। এজন্য মূলত এই জিআইএস ব্যবহার করে আমরা নানান ধরণের সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারি।
তবে জিআইএস যেকোন ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে হলে এর ব্যবহার করার জন্য, জি আই এস বলতে কি বুঝ এবং জি আই এস এর কাজ কি ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি জিআইএস এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার রয়েছে।
gis এর পূর্ণরূপ কি
জি এস আই এর পুরো নাম বা পূর্ণরূপ হচ্ছে Geographic information system. যা বাংলায় ভৌগলিক তথ্য সিস্টেম হিসেবে পরিচিত।
জিআইএস কি
জি আই এস যা বাংলা ভাষায় ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থাপনাকে বোঝানো হয়। এই পদ্ধতির অন্যতম সুবিধা হল সকল ধরনের ভৌগোলিক তথ্য সংগ্রহ করা, ব্যখ্যা করা, জমা করা বিশ্লেষন, ব্যখ্যা, ব্যবস্থাপন এবং ছবির মাধ্যমে খুব সহজেই উপস্থাপন করা যায়।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে জিআইএস হচ্ছে মূলত একটি মাধ্যম যে মাধ্যমকে ব্যবহার করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লাভ করার জন্য কম্পিউটার সিস্টেমের সাহায্যে নিয়ে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভৌগোলিক বিভিন্ন ডাটা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনের কৌশল কে G.I.S বলা হয়।
এটি বিশ্লেষন এর স্বমন্বিত পদ্ধতি যা মানচিত্র ক্রিয়েট করা, পরিসংখানগত বিশ্লেষন করা এবং ডাটাবেজ সংরক্ষন করা যায়। জি আই এস হলো Geographic Information System ইংরেজি শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ।
জি আই এস বলতে কি বুঝ
জিআইএস নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে উপরের আলোচনা করেছি যে এটি হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যেটি ব্যবহারে দেশের তথা ভৌগোলিক বিভিন্ন তথ্য কালেক্ট করা, সংরক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করা এবং উপস্থাপন করার একটি পদ্ধতি। একেই জি আই এস বলা হয়।
📌আরো পড়ুন 👇
পৃথিবী ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান এবং নানান ধরণের ডাটা বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে সেগুলো ডাটা সমূহ কল্পনাভিত্তিকভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে সহায়তা লাভ করে। এছাড়াও কম্পিউটার ভিত্তিক বিভিন্ন ভৌগোলিকের মাধ্যমে মানবতা পরীক্ষা স্থানিক সম্পর্ক এবং নিদর্শন ইত্যাদি কাজকর্ম করা হয়।
gis এর উপাদান
gis এর মোট ৬টি উপাদান রয়েছে যথাঃ
- হার্ডওয়্যার (Hardware)
- সফটওয়্যার (Software)
- নেটওয়ার্ক (Network)
- উপাত্ত (Data)
- নির্দিষ্ট দল/ গোষ্ঠী (People)
- পদ্ধতি (procedures)
হার্ডওয়্যার (Hardware)
জিআইএস যন্ত্রপাতি কার্যকলাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন– কম্পিউটার, প্লটার ডিজিটাইজার, প্লটার ইত্যাদি
সফটওয়্যার (Software)
ভৌগলিক তথ্য সঞ্চয়, বিশ্লেষণ এবং প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং অপেক্ষক সরবরাহ করে থাকে।
নেটওয়ার্ক (Network)
ইহা ‘ডিজিটাল’ তথ্য দ্রুত আদান-প্রদান এবং বিতরণকে অনুমোদন করে। যেমনঃ ইন্টারনেট (Internet)।
উপাত্ত (Data)
‘জিআইএস’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটা হতে পারে স্থান-সংক্রান্ত (Spatial) এবং অ-স্থানিক (Non-Spatial)। যেমনঃ রাস্তার নাম, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট গোষ্ঠী (People)
সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান। যেমনঃ ‘জিআইএস’ ব্যবহারকারী (Users), প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ (Technical Specialists), গবেষক ইত্যাদি।
পদ্ধতি (procedures)
ইহা অনেকটা ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত। যেমনঃ সু-পরিকল্পিত ব্যবসা পরিকল্পনা এবং নিয়ম, তথ্য অর্জন/ নিবেশ/ ধারণ/ বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
জি আই এস এর কাজ কি
ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে দৈশিক তথা ভৌগোলিক উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করা হয়। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম যা বাংলায় ভৌগলিক তথ্য সিস্টেম হিসেবে পরিচিত। এবং একে সংক্ষেপে জি আই এস (GIS) বলা হয়।
জি আই এস এর প্রয়োজনীয়তা
আপনারা অনেকেই জি আই এস এর প্রয়োজনীয়তা জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা নিম্নে ভূগোলের বিভিন্ন শাখায় জিআইএস এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখজ করা হল–
১। ভূমি জরিপ ব্যবস্থাপনায়
জিআইএস ব্যবহার করে ভূমিরমৌজা মানচিত্র আধুনিকতর করা এবং ডাটাবেজ থেকে ভূমির মানচিত্র পরিস্কারভাবে ক্রিয়েটকরা হলে ভূমি ব্যবহারের সর্বোচ্চ গুণাবলীর একটি সচিত্র পাওয়া যায়।
২। আধুনিক নগর গড়ে তোলায়
একটি আধুনিক নগর গড়ে তুলতে এবং সঠিক পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত নগরায়ন করাটা আবশ্যক। যেটা মূলত এই জিআইএস ব্যবহার করে খুব সহজেই ক্রিয়েট করা সম্ভব।
৩। খনিজ সম্পদ আহরণ
খনিজ সম্পদ আহরণ এর ক্ষেত্রে কোন দেশের কোন অঞ্চলে কি কি খনিজ সম্পদ রয়েছে সেসকল আবার সেগুলো সম্পদ কি পরিমানে মজুদ রয়েছে তা জিআইএস ব্যবহার করে শ্রেণীবদ্ধ ভাবে ডাটাবেজ তৈরি করে একটি সচিত্র মানচিত্রে অঙ্কন করা সম্ভব। এতে সঠিক পরিকল্পনা মোতাবেক খনিজ সম্পদের ধরন হিসেবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়।
৪। বনজ সম্পদ আহরণ
বনভূমিতে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কারোনে ক্ষয়ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে সেগুলো বনভূমি রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার দরকার পড়ে। এক্ষেত্রে আমরা দূর থকে জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইমেজ এনালাইসিস করে খুব সহজেই উক্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারি।
৫। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়
একটি দেশে কতটি মহাসড়ক,পাকা রাস্তা, কাঁচা রাস্তা, স্থলবন্দর, সমুদ্র বন্দর ইত্যাদি রয়েছে সেগুলোর পরস্পর দূরত্ব কতটুকু রয়েছে তার ডাটাবেজ নিখুঁত ও নির্ভুল একটি মানচিত্র থাকতে হবে। আর এগুলো বিষয়গুলো অনেক সহজে এই জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
৬। ভৌগোলিক গবেষণায়
ভৌগোলিক জ্ঞানচর্চার জন্য কোন অঞ্চলের প্রাকৃতিক অবস্থা অনুসন্ধানের জন্য জিআইএস প্রযুক্তির উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন জলবদ্ধতা অঞ্চল কিভাবে, কি কাজের আওতায় আনা যায়, না সেখানে মাছ চাষ সম্ভবপর এ বিষয়ে গবেষণার জন্য জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা যায়।
৭। দুর্যোগ মোকাবেলায়
আমাদের বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। দেশের দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। অঞ্চলভেদে ক্ষয়ক্ষতির, প্রাণহানির মাত্রা নিরূপণ করতে হয়।
৮। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায়
বৃষ্টির পানি প্রবাহের নকশা তৈরি, বৃষ্টির পানি ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে জলাধার নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন। ভূ-গর্ভস্থ পানি স্তরের মডেল তৈরি, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার মানচিত্র অংকন, জলবদ্ধতা এলাকা চিহ্নিতকরণ ও মডেল তৈরি প্রভৃতি কার্যবলিতে GIS প্রযুক্তির উদ্দেশ্যে অতি সাফল্যের ও সুনামের সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৯। ভূমিরূপ বিদ্যায়
ভূমিরূপবিদ্যার বিষয়বস্তু পাহাড় পর্বত মালভূমির সমভূমি জলাভূমি ভূমির বন্ধুরতা, প্রভৃতি প্রাকৃতিক অবয়বগুলো জিআইএস এর মাধ্যমে একটি মডেল তৈরি করে শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ ও পঠনে হাতে-কলমে বিদ্যা দান করা যায়।
১০। কৃষি ভূগোলে
জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৃত্তিকার গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ফসল নির্বাচন করা হয়। কৃষি খামার পর্যবেক্ষণ ভূমিক্ষয়, শস্যাবর্তন, দুর্যোগের ফলে ফসলের কি পরিমান ক্ষতি হয় তা নিরূপণ করা সম্ভব। কৃষি মানচিত্র, কৃষি ভূমি ব্যবহারের মানচিত্র, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার মানচিত্র প্রভৃতি GIS প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ভুল মানচিত্র অংকন করা যায়।
জি আই এস এর গুরুত্ব
জিআইএস এর ব্যবহার অনুযায়ী বলতে গেলে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। জিআইএস এর ব্যবহার বিভিন্ন বীমা, পরিবহন, প্রকৌশল, পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, দূরসঞ্চার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আরও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
📌আরো পড়ুন 👇
ফলে অবস্থানিক একটি কল্পনা প্রয়োগের মাধ্যমে এই জিআইএস ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও অবস্থান এর উপর ভিত্তি করে নানান সেবা প্রদান করে আধার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে জানা যায় যে এই মাধ্যম ব্যবহারে এ সঞ্চালন পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন ডাটা কে সংরক্ষণ করা যায়। তামান দুনিয়ায় বসবাসকারী বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন বর্ণনাত এবং তথ্য দেয় এবং এ সম্পর্কে এতে তথ্য বিদ্যমান। ফলে বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তথ্য সমূহকে সংরক্ষণ এবং শ্রেণীবদ্ধ করা যায়।
এটি মূলত সমস্ত নির্দিষ্ট উপাদান গুলো সন্ধান করে সেগুলোকে আবার ভৌগলিকভাবে দক্ষতার সহিত এককভাবে যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে তথ্য পরামর্শ উপস্থাপন করে বিশ্লেষণ করা।
এখন ভৌগলিক উপাদান গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনেরস্থানিক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যেগুলো মূলত গুণগত তথ্য এবং অবস্থান ভেদে নিজের আয়ত্ত করা যায় এবং বিভিন্ন আইটেম ভিত্তিকভাবে সঠিক বিবরণ নিয়ে উক্ত তথ্যগুলো একটি উপাত্তে কাজে লাগানো যায়।
যার ফলে এই মাধ্যম ব্যবহারে একটি মানচিত্রে বিভিন্ন ডাটা সুবিধাকরন করা যায়। এতে করে পরিবহনের নানান ধরণের সংস্থা থেকে শুরু করে পরিবেশগত কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো জিআইএফ এর অন্যতম উপাদান। ফলে পরিশেষে বলা যায় যে আমাদের জীবনে জি আই এস এর ব্যবহার তাৎপর্য এবং গুরুত্ব উভয়ই অপরিসীম।
জি আই এস এর ব্যবহার
জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে নেটওয়ার্ক ব্যক্তির নানান ধরণের কাজ প্রদর্শন করা যায়। আপনারা অনেকেই জি আই এস এর ব্যবহার নিয়ে জানতে চেয়েছেন যে জি আই এস আসলে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়? তাই আমরা পোষ্টের এই পাঠে যেসব ক্ষেত্রে জিআইএস ব্যবহার করা হয় তা এই অংশে আলোকপাত করেছি। জি আই এস এর ব্যবহার নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ
- →প্রকৌশল
- →পরিকল্পনা
- →ব্যবস্থাপনা
- → পরিবহন
- →বীমা
- → দূরসঞ্চার
- →ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে
- →অবস্থানিক বোধবিদ্যা
- →পরিসেবা
- →স্থানিক সম্পর্ক
- →রৈখিক নেটওয়ার্ক প্রদর্শন
- → কৃষিক্ষেত্র
- →স্রোত
- →পার্ক কমপ্লেক্স
- →হাউজিং কমপ্লেক্সে ইত্যাদি
উপরের উল্লখিত ব্যবহার ছাড়াও জিআইএস বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
জি আই এস সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমরা ইতিমধ্যে এই পোস্টে জি আই এস বলতে কি বুঝ, জি আই এস এর কাজ কি, জি আই এস এর প্রয়োজনীয়তা, জি আই এস এর ব্যবহার এবং জি আই এস এর গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেছি।
যারা জি আই এস সংক্রান্ত তথ্য জানে না তাদের ক্ষেত্রে আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য অনেক সহায়ক হবে বলে আশাবাদী। এতক্ষণ সময় নিয়ে এই আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অস্নগখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।