ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় – ইকো টেস্ট খরচ কত 2024

আপনি কি ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় জানতে চান? আমরা হয়তো অনেকেই ইকো টেষ্ট করাই কিন্তু এর রিপোর্ট কিভাবে বোঝা যায় সেই সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষেরই অজানা। সেজন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য আলোচনা করব। তো আপনি যদি ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের ব্লগটি খুবই উপকার হতে চলেছে।

কেননা, আপনারা যদি কিছুটা সময় অপচয় করে আজকের এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে একেবারে শেষ অবদি পড়েন, তাহলে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ইকো টেস্ট কীভাবে করা হয়, ইকো টেস্ট কেন করতে হয়, ইকো টেস্ট করতে কত টাকা খরচ হয় ইত্যাদি কত সম্পর্কেও জেনে নিতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।

উপস্থাপনা – ইকো টেস্ট

ইকো টেস্ট বা ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) হচ্ছে একটি কার্যকর মেডিকেল পরীক্ষা যা সাধারনত হৃদপিণ্ড সংশ্লিষ্ট অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করা হয়। ইকো টেস্টে একটি আল্ট্রাসাউন্ড (Ultrasound) প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটে যা হৃদপিণ্ডের পিকচার তৈরি করে এর গঠন ও কার্যকারিতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত গতির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে মানবদেহের হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অংশ দেখা হয়।

তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায়, ইকো টেস্ট কেন করতে হয় এবং ইকো টেস্ট করানোর নিয়মাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে আমরা ইকো টেস্ট কীভাবে করা হয় সেই সম্পর্কে জানবো।

ইকো টেস্ট কীভাবে করা হয়

ট্রান্স থোরাসিক ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফীতে (Trans thoracic electrocardiography) বুকের উপর একটি প্রোব রেখে বুকের ভেতর অতি দ্রুত গতির শব্দ তরঙ্গ প্রেরণ করা হয়। এরপর সেই তরঙ্গ আমাদের দেহের হার্টের ভেতর প্রতিফলিত হওয়ার মাধ্যমে পুনরায় যথাক্রমে প্রোবে ফিরে আসে।

আবার সেই তরঙ্গকে একটি বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করে কম্পিউটার ডিভাইসের সাহায্যে দেহের হার্টের প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়। যা মূলত ইকো রিপোর্ট হিসেবে প্রবেশন করা হয়। ইকো টেস্ট একটি নন-ইনভেসিভ (Non-invasive) পরীক্ষা যার মূল বিষয় হচ্ছে টেস্ট করানোর জন্য আমাদের দেহের ভেতর যন্ত্রের কোনো আলাদাভাবে অংশ প্রবেশ করাতে হয়না।

এছাড়া কালার ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাফীতে (Color Doppler echocardiography) মানদেহের ঠিক বুকের ভিতরের অংশের রক্তনালিরে ও রক্ত প্রবাহের ধরন ভালোমতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তো আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে ইকো টেস্ট কীভাবে করা হয় তা নিশ্চয় এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় কি সেটা জেনে নেওয়া যাক।

ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায়

ইকো পরীক্ষায় প্রতিধ্বনি চলার সময়ে দেহের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের সাথে সাথে ভিডিও ক্লিপ রেকর্ড হয় যা থেকেই মূলত এর রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয় ইকো রিপোর্টে যেসব তথ্যাদি থাকে তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

Ejection Fraction / ইজেকশন ভগ্নাংশ- এই পরিমাপ দিয়ে হৃদপিণ্ড সংকোচনে প্রতি প্রকোষ্ঠে কী পরিমাণ রক্ত বের করে তা বোঝায়। ইজেকশন ভগ্নাংশ এর মান ৫৫% এর বেশি হলে নরমাল হৃদপিণ্ডকে নির্দেশ করে। এর মান যত কম তত হৃদপিণ্ড বেশি অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

EF ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে তা হার্ট ফেইলিওর হিসাবেও গন্য করা হয় তবে সেক্ষেত্রে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পেসমেকার বা আইসিডি এর পরামর্শ দিবেন।

LV Cavity Size/ ডায়াস্টোলিক ডায়ামিটার– পুরুষদের ক্ষেত্রে যখন LV সাইজ 42 mm থেকে 59 mm থাকে তখন স্বাভাবিক মান ধরে নেয়া হয় এবং নারীদের ক্ষেত্রে 39 mm থেকে 53 mm।

আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে Mildly dilated LV সাইজ 60 থেকে 60 mm  এবং নারীদের ক্ষেত্রে 54 mm থেকে 57 mm। Moderately dilated LV সাইজ ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে 64-68 mm এবং 58-61 mm।

RWMA- এর দ্বারা আমাদের মানদেহের হৃদপেশির কোনো অংশ স্বাভাবিকতার সহিত সংকুচিত হচ্ছেনা সেটিকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে টেষ্ট রিপোর্টে Present অথবা Absent উল্লেখ করা থাকবে। Absent মানে হচ্ছে আপনার হৃদপিণ্ড সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। আর Present মানে হচ্ছে আপনার হৃদপিণ্ড অসুস্থ রয়েছে।

LVPWd & LVPWs- এর স্বাভাবিক মান ০.৬ সেমি থেকে ১.১ সেমি।

LA Diameter – এটি হচ্ছে মূলত বাম অ্যাট্রিয়ামের (left of the atrium) ব্যাসের পরিমাপ। এর মান যখন  ২ থেকে ৪ সেমি এর মধ্যে থাকে তখন স্বাভাবিক মান ধরে নেয়া হয়।

Interventricular Septum (IVS) – এর স্বাভাবিক বা নরমাল মান হচ্ছে 0.6 cm থেকে 1 cm এর মধ্যে।

Valve- হৃদপিণ্ডে মোট ৪টি valve রয়েছে । যথাঃ

  • aortic,
  • mitral,
  • pulmonic,
  • tricuspid
  • valves.

ইকো টেষ্ট এর মাধ্যমে এদের কার্যক্ষমতা বোঝা যায়। Valve Stenosis এর অবস্থা যখন সরু হয়ে যায় এবং নরমাল রক্ত চলাচল করতে বাধা দেয়। আর Regurgitation এর ক্ষেত্রে রক্ত ফুটো এর মাধ্যমে পুনরায় পিছনের দিকে চলে আসে।

ইকো টেস্ট কেন করা হয়

আপনারা অনেকেই ইকো টেস্ট কেন করা হয় সেই বিষয়ে গুগলের কাছে জানতে চেয়ে থাকেন। এজন্য আমরা পোষ্টের এই পাঠে যেসব কারণে ইকো টেস্ট করাতে হয় তা নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ

হার্টের কার্যকারিতার নির্ণয়

ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের মানবদেহের হৃদপিন্ডের সাময়িক কার্যকারিতা নির্ণয় করা হয়। তাই হার্টের রোগীর পাম্পিং শক্তি, প্রাচীর আন্দোলন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হলে এই ইকো টেস্ট করাতে হয়। এই টেষ্ট করার মাধ্যমে বিশদভাবে দেহের হার্ট এর রক্ত ​​পাম্পিং করার ক্ষমতা ও অন্যান্য অস্বাভাবিকতা নির্ভুল্ভাবে শনাক্ত করা হয়।

হার্টের ভালভের কার্যকারিতার নির্ণয়

ইকো পরিক্ষা করার হার্টের ভালভের অবস্থা এবং কার্যক্ষমতা কেমন রয়েছে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। ভালভের সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া অথবা রিগারজিটেশন (Regurgitation) যেখানে ভালভ সম্পূর্ণ বন্ধ না হওয়ায় ফুটো দেখা যায় তা পরিপূর্ণভাবে শনাক্ত করা যায়।

হার্টের গঠনগত অস্বাভাবিকতা নির্ণয়

ইকো টেষ্ট করার মাধ্যমে মানদেহের হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন গঠনগত অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করা হয়। যেমনঃ এই ইকো টেস্ট হার্টের প্রকোষ্ঠের আকার মানে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার হার্টে কোনো টিউমার বিদ্যমান রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।

বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট নির্ণয়

কারও বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো সিমটম দেখা দিলে ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) পরীক্ষা করে হৃদপিণ্ডজনিত কোন ধরণের সমস্যা রয়েছে কিনা তা সহজেই নির্ণয় করা হয়। ইকো টেস্ট এর মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার পাশাপাশি এর গঠন স্বাভাবিক আছে কিনা তা খুব দ্রুত বোঝা সম্ভব হয়।

জন্মগত হৃদরোগ নির্ণয়

আপনার হৃদপিণ্ডে যদি কোনো ধরণের জন্মগত ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে তা ইকো টেস্ট এর সহায়তা নিয়ে শনাক্ত করা যায়। যেমনঃ কোন ব্যক্তির যদি দেহে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র দেখা দেয় তাহলে তার ইকো টেষ্ট করে তা বের করা যায়।

ইকো টেস্ট করানোর নিয়মাবলি

ইকো টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়মাবলি রয়েছে যেগুলো অবশ্যই অবল্মবন করতে হবে। এই ইকো টেস্ট করানোর নিয়মাবলিগুলো নিম্নে বিস্তারিত উল্লকেহ করা হলো-

  • ইকো টেষ্ট করানোর জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না তবে ট্রান্স থোরাসিক ইকোকার্ডিওগ্রাম (Transthoracic echocardiogram) পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৬ দিন আগে থেকে না খেয়ে থাকতে হয়।
  • পুরো পরীক্ষা সম্পন্ন হতে মুলত আধা ঘন্টার মত সময় লাগে। টেষ্টের সময় আপনাকে বাম দিকে কাত হয়ে স্থিরভাবে শুয়ে থাকতে হবে।
  • হৃদপিণ্ডের গতি বোঝার জন্য আপনার বুকে মোট ৩ টি ইসিজি লিড লাগানো হবে। এরপর আপনার বুকে, গলায় এবং পেটের উপরের অংশে এক ধরনের জেলি লাগিয়ে তাতে প্রোব বসানো হবে।
  • একজন ইকোকার্ডিওলজিস্ট (Echocardiologist) এসব প্রোবের মাধ্যমে ফুটেজ মনিটরে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অংশের ছবি দেখে তা নির্ণয় করবেন,
  • পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আপনার বুকে লাগানো জেলি একটি পরিস্কার টিস্যু পেপার দিয়ে ভালোভাবে মুছে দেওয়া হবে।

আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে আপনারা ইকো টেস্ট করানোর নিয়মাবলি গুলি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন নিচের অংশ থেকে আমরা ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নিব।

ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার সম্ভাব্য ঝুঁকি

ইকো হচ্ছে মূলত একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ পরীক্ষা। অতি দ্রুত গতির শব্দ তরঙ্গ পদ্ধতি ব্যবহার করায় এখানে কোনো ধরণের জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও এই ইকো পরীক্ষা করে সেরকম কোন জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। ইকো পরীক্ষা করানোর সময় অনেক ক্ষেত্রে প্রোবের চাপে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায়

সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার ইকোকার্ডিওলজিস্টকে (Echocardiologist) অবহিত করতে হবে। আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে আপনারা ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) পরীক্ষার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন নিচের অংশ থেকে আমরা ২০২৪ সাল এসে ইকো টেস্ট খরচ কত বা ইকো টেষ্ট করাতে কত টাকা খরচ হবে সেই সম্পর্কে ধারনা নিব।

ইকো টেস্ট খরচ কত 2024 – Echo Test Price in Bangladesh

ইকো টেস্ট সরকারি এবং বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠান গুলোতেই হয়ে থাকে। তাই অঞ্চল ভেদে অনেকসময় এই টেষ্টের দাম একটু কম বেশি অবশ্যই হবে। তাই আমরা আপনাদের এখন শহর অঞ্চল এর ক্লিনিকে এই টেষ্টের দাম কেমন হতে পারে তা ধারণা দেব। গ্রামে কিংবা অন্যান্য স্থানে হালকা কম বেশি হতে পারে। তবে সরকারি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে একেবারে নরমাল ইকো করতে মাত্র ২০০ টাকা খরচ হতে পারে কিন্তু বাইরের ক্লিনিক গুলিতে ইকো পরীক্ষা করাতে মোটামুটি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়।

  • ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার ৯০০ – ১০০০ টাকা
  • ল্যাবেইড লিমিটেড (ডায়াগনস্টিকস) ১৪৫০ টাকা
  • পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড ১৪০০ টাকা
  • ইসলামী ব্যাংক কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ৮০০ টাকা
  • আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড ১৬০০ টাকা
  • হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড ১৪০০ টাকা
  • প্রাভা স্বাস্থ্য কেয়ার লিমিটেড ১৫০০ টাকা
  • বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ১৫০০ টাকা
  • ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড ২০০০ টাকা

Echo test price in popular diagnostic center

আপনারা অনেকেই পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে echo test করাতে আগ্রহী থাকেন এজন্য হয়তো শুধু এই ক্লিনিকের ইকো টেষ্ট এর দাম জানতে চান। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই পোষ্টের এই পাঠে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিছু টেস্ট এর নাম নিম্নে উল্লেখ করেছি। সহ দাম দেয়া হল। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইকো টেস্ট এর মূল্য হচ্ছে-

  • 24 Hrs Ambulatory BP ৫০০০ টাকা
  • 2D Echo ২০০০ টাকা
  • Anesthesia Charge for Echo/Echo Color Doppler ১৮০০ টাকা
  • Bronco Dilator/Reversibility Test ২৩০০ টাকা
  • Colour Doppler Echo CFM ২৯০০ টাকা
  • Echo Colour Doppler ৩৫০০ টাকা
  • Echo Colour Doppler (Child) ৪০০০ টাকা
  • Fetal Cardiac Anomaly / Fetal Echo – Cardiography ৪২০০ টাকা
  • Transthoracic 2D-Echo Study ২০০০ টাকা
  • Transthoracic Echo-Doppler Study ৩৪০০ টাকা

উপরের উল্লিখিত দামগুলো ২০২৪ এর সর্বশেষ দাম। তবে আমার মনে হয় এই ক্লিনিকে টেষ্ট মূল্য অনেক বেশি। তাই সম্ভব হলে সরকারি হসপিটাল এ ইকো টেস্ট করাতে পারেন। সরকারি ক্লিনিকে এসব টেষ্ট এর মূল্য তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

ইকো টেস্ট সম্পর্কে প্রশ্ন‌উত্তর (FAQs)

নরমাল ইকো রেজাল্ট কি?

একটি স্বাভাবিক বা নরমাল ইজেকশন ভগ্নাংশ হচ্ছে ৫০% থেকে ৮০% , কিন্তু মান ৫% এর মতো কম জীবনের সাথে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ (শেষ পর্যায়ে হার্ট ফেইলিওর)।

ইকো কি হার্টের সমস্যা শনাক্ত করতে পারে?

একটি ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram) করা হয় হার্টের সমস্যাগুলি দেখার জন্য ।

ইকো রিপোর্ট সম্পর্কে লেখকের শেষ মতামত

আপনাকে একটি সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করতে একটি কর্মক্ষম হৃদপিণ্ড অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের মানবদেহের হৃদপিণ্ডের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হলে সকলের এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। আপনি যদি একটি নিয়মমাফিক জীবনযাপন করতে চান তাহলে আপনাকে ধূমপান, মদ্যপান অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

তবে আপনি যদি হৃদপিণ্ডের কোনো ধরণের জটিলতা খেয়াল করেন তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি যদি আপনাকে ইকো টেষ্ট করতে বলেন তাহলে আপনাকে সেই মোতাবেক উপরের উল্লিখিত আজকের ইকো রিপোর্ট বোঝার উপায় থেকে আপনি প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে সহজেই একটি প্রাথমিক ধারণা করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।

তবে এক্ষেত্রে আপনার ঘরে বসে থাকলে চলবে না, অবশ্যই রিপোর্ট নিয়ে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ নিবেন। ইকো রিপোর্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন কিংবা কোন ধরণের মতামত থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানানোর চেষ্টা করবেন। তাইলে আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামতের উত্তর দেওয়ার যথাযথভাবে চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment