ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় – ইসিজি কেন করা হয় 2024

প্রিয় পাঠক আপনি কি ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (Electrocardiogram) নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত একটি পরীক্ষা। যা মূলত রোগীর হৃদস্পন্দনের হার ও ছন্দ নির্ভুলভাবে টেষ্ট করার মাধ্যমে এ পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং রিপোর্ট প্রদান করা হয়। আমাদের মাঝে এমন অনেকই আছেন যাদের ইসিজি কেন করা হয় এবং ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় জানেন না।

মূলত তাদের সুবিধার কথা চিন্তা ভাবনা করেই আমরা আজকের এই ব্লগে বিষয়েই আলোকপাত করবো। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ইসিজি টেষ্ট কখন করতে হয়, ইসিজি পরীক্ষার আগে করণীয়, ইসিজি খরচ কত ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পরে নেয়ার অনুরোধ রইল।

উপস্থাপনা – ইসিজি রিপোর্ট কি

হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বা বর্ধিত হৃৎপিণ্ডসহ হার্ট ফেইলিওর এর বিভিন্ন কারণ শনাক্ত করতে চিকিৎসকগণ এই ইসিজি পরীক্ষা ব্যবহার করেন। ইসিজি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা যার অর্থ হল এটি করার সময় কাটাছেঁড়া করে শরীরে কিছু প্রবেশ করাতে হয়না।

মূলত ব্যক্তির বাহু, পা এবং বুকের ত্বকের সাথে ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রোড প্যাচ সংযুক্ত করা হয় যার মাধ্যমে হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করে রোগ নির্ণয় করা হয়। ইসিজি একটি নিরাপদ এবং ব্যথাহীন পরীক্ষা পদ্ধতি। খুব অল্প সময়েই এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

আপনি যদি আপনার ইসিজি রিপোর্টের ফলাফল বুঝতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রাথমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আজকের এই লেখায় ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সহ ইসিজি পরীক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাখ্যা করা হবে। ইসিজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের এই আলোচনা সহায়ক হবে বলে আশা করছি। প্রথমে ইসিজি টেষ্ট প্রকারভেদ সম্পর্কে জানবো।

ইসিজি পরীক্ষার প্রকারভেদ

সম্মানিত পাঠক আপনার যদি হৃদপিন্ডের মধ্যে কোন ধরণের জটিল সমস্যা সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে আপনার চিকিৎসক একটি ইসিজি টেষ্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন। এই ইসিজি পরীক্ষা নানান ধরণের করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-

  • স্ট্যান্ডার্ড ইসিজি (Standard ECG)
  • হোল্টার মনিটর (Holter monitor)
  • ইমপ্লান্টযোগ্য লুপ রেকর্ডার (Implantable loop recorder)
  • ইভেন্ট মনিটর (event monitor)
  • সংকেত-গড় ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (Signal-averaged electrocardiogram)

আশা করছি আপনারা উপরের অংশটুকু পড়ে ইসিজি পরীক্ষার প্রকারভেদগুলো এতক্ষণে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ইসিজি কেন করা হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

ইসিজি কেন করা হয়

সাধারণত হৃদপিণ্ড সংশ্লিষ্ট জটিলতা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারগণ ইসিজি টেষ্ট করার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। একজন ডাক্তার যেগুলি কারণে ইসিজি পরীক্ষা করাতে বলেন তা নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হল-

  • কোন ব্যক্তির দেহের হার্ট অ্যাটাক শনাক্ত করতে ডাক্তার ইসিজি (ECG) করাতে বলবেন।
  • কোন ব্যক্তির হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্তের মাত্রা নরমাল কিনা তা নির্ণয় করার জন্য ECG করানো হয়।
  • হৃদপিণ্ডের কোন ধরনের জটিলতা শনাক্ত করতে ইসিজি (ECG) করতে হয়।
  • হৃৎপিণ্ডের পেশী পুরু হয়ে গিয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে ইসিজি (ECG) করতে হয়।
  • এছাড়াও অনেক সময় দেহের ইলেক্ট্রোলাইট স্তরের বিভিন্ন জটিলতা শনাক্তকরণে নির্ণয়ের জন্য ইসিজি (ECG) করানো হয়।

তো আশা করছি আপনারা উপরের অংশটুকু পড়ে ইসিজি কেন বা কি জন্য করতে হয় তা এতক্ষণে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ইসিজি পরীক্ষা কখন করতে হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

ইসিজি পরীক্ষা কখন করতে হয়

ইসিজি সাধারণত এক ধরনের মেডিকেল রিপোর্ট । কিছু বিশেষ উপসর্গ যদি কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় তখন সেই ব্যক্তির ইসিজি পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এমন কিছু উপসর্গ নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে।

  • হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে
  • শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে
  • বুক ব্যাথা অনুভব করলে
  • বিভ্রান্তি বা মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা হলে
  • পালস রেট বেশি হলে
  • ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং ব্যায়াম করার ক্ষমতা হ্রাস

উপরের উল্লিখিত সমস্যাগুলো ছাড়াও আপনার পরিবারে যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে, তাহলে ইসিজি পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। তো আশা করছি আপনারা উপরের অংশটুকু পড়ে ইসিজি পরীক্ষার প্রকারভেদগুলো এতক্ষণে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন। এবার ইসিজি কেন করা হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

ইসিজি পরীক্ষার আগে করণীয়

ইসিজি টেষ্ট করতে যাওয়ার সময় আঁটোসাটো পোশাক পরিধান করা যাবে না। একদম ঢিলে ঢালা পোশাক পরিধান করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও ইসিজি পরীক্ষার আগে বেশ কয়েকটি করণীয় রয়েছে। তাহলে চলুন, বেশি কথা না বাড়িয়ে ইসিজি পরীক্ষার আগে করণীয় কি তা নিচের অংশ থেকে জেনে নেই।

  • ভারি শারীরিক পরিশ্রমের করে এসে সাথে সাথে ইসিজি করাবেন না। এ সময় হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি থাকে এবং ইসিজি টেষ্টে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না।
  • সোনা, রূপা কিংবা অন্য কোন ধাতুর তৈরি জিনিস পড়ে ইসিজি করবেন না। ইসিজি টেষ্ট করার আগে সেগুলো খুলে রাখুন।
  • ইসিজি টেষ্ট করার আগে বেল্ট, রাবার এবং আংটি খুলে রাখতে হবে।

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায়

ইসিজি পরীক্ষায় মানব দেহের বিভিন্ন অংশে ইলেক্ট্রোড প্রতিস্থাপন করে হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেত এর মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। তারপর তথ্যগুলো যথাক্রমে সংগ্রহ করে গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় যা মূলত ইসিজি রিপোর্ট হিসেবে পরিচিত। একটি নরমাল ইসিজি রিডিং এর টেষ্ট রিপোর্টে P,Q, R, S, T, নামক কয়েকটি অংশ রয়েছে যা দেহের হৃদযন্ত্রের নানান পর্যায়ের সাথে সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন 👇

ইসিজি রিপোর্ট বুঝতে হলে আপনাকে এই তরঙ্গগুলোর পুনরাবৃত্তির হার, সময়, আকৃতি এবং মিথস্ক্রিয়ার হার লক্ষ্য করাটা জরুরি। একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট আপনার ইসিজি টেষ্ট রিপোর্ট দেখে হৃদপিণ্ডের অবস্থা সঠিকভাবে নিরূপণ করে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। এরপরও ইসিজি রিপোর্ট বোঝার আরও বেশ কিছু উপায় রয়েছে যা আমরা নিম্নে তুলে ধরেছি।

ইসিজি চক্র

ইসিজি রিপোর্ট বুঝতে হলে প্রথমেই আপনাকে ইসিজি চক্রের (ECG cycle) তরঙ্গগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায়

উপরের উল্লিখিত ছবির চিহ্নিত করা P তরঙ্গ মূলত অ্যাট্রিয়াল ডিপোলারাইজেশনকে নির্দেশ করা হয়। এটি আমাদের দেহের হৃদপিন্ডের উপরের ২ প্রকোষ্ঠ ধরা হয় যাকে আমরা অলিন্দ নামে চিনে থাকি। এরপরে QRS Complex অংশ দারা হৃদপিন্ডের নিলয়ের সংকোচন হওয়াকে বোঝায়। তারপর T তরঙ্গ দিয়ে নিলয়দ্বয় শিথিল হওয়াকে বোঝায়।

P তরঙ্গের স্বাভাবিকতা পরীক্ষা

ইসিজি টেষ্ট রিপোর্টে যদি P তরঙ্গ সমন্বয়কভাবে উপস্থিত থাকে এবং খাড়াভাবে উপরের দিকে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি সুস্থ হৃদপিণ্ডের অধিকারী এবং এটি একটি পজিটিভ দিকনির্দেশক।

PR interval মাপুন

ইসিজি গ্রাফ হতে PR অংশটি ভালোমতো মাপতে হবে। একটি স্বাভাবিক হৃদপিণ্ডে এই অংশের মান ০.১২ থেকে ০.২ সেকেন্ডের মধ্যে হবে যা ইসিজি গ্রাফের অতি ক্ষুদ্রতম ৩ থেকে ৫টি ঘরের সমান। P ও R এর মধ্যে জায়গার চেয়ে যদি কম বা বেশি দেখা দেয় তাহলে তা অস্বাভাবিক হৃদপিণ্ডকে নির্দেশ করবে।

QRS Complex মাপুন

একেবারে নরমাল হৃদচক্র এর ক্ষেত্রে সাধারনত মূলত একটি QRS complex (একটি বৈদ্যুতিক ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম এবং হৃৎপিণ্ডের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ দেখানো সবচেয়ে সুপরিচিত তরঙ্গরূপ।) হতে ২ থেকে ৩টি ক্ষুদ্রতম ঘরের সমান হবে যা মূলত 0.08 থেকে 0.12 সেকেন্ডকে নির্দেশ করে থাকে।

হৃদপিণ্ডের ছন্দ মাপুন

ইসিজি টেষ্ট রিপোর্টে মূলত ২ টি R তরঙ্গের মধ্যে দূরত্ব খেয়াল করুন। সবগুলি R তরঙ্গ সমান দূরত্বে যদি থাকে তাহলে এটি স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া অনিয়মিত বা অস্বাভাবিক স্পন্দন কে বোঝাবে। কখনও কখনও কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ যেমন ওটিসি কোল্ড, অ্যামফিটামিন, বিটা-ব্লকার অ্যালার্জির ওষুধ এই অস্বাভাবিক বা অনিয়মিত হৃদপিন্ডের ছন্দ সৃষ্টি করতে পারে।

হৃদস্পন্দনের হার মাপুন

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায়

ধীর হৃদস্পন্দন কিংবা অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন ইসিজি করার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিকভাবে প্রতি মিনিটে ৭৫ বিট হয়ে থাকে। ইসিজি টেষ্ট করিয়ে ৬ সেকেন্ডে যে কয়টি R তরঙ্গ সংগঠিত হয়েছে সেইসংখ্যাকে ১০ দিয়ে গুণ করলে সহজেই অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের হার পাওয়া যায়।

ইসিজি নরমাল চেনার উপায়

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ইসিজি টেষ্ট নরমাল কিনা বুঝবো কিভাবে বা ইসিজি টেষ্ট নরমাল চেনার উপায় কি? তাই আমরা পোষ্টের এই পাঠে ইসিজি নরমাল বোঝার উপায় তুলে ধরেছি। আপনার ইসিজি টেষ্ট যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে খেয়াল করবেন আপনার হৃদপিণ্ড প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার স্পন্দনের সমান হারে বার বার স্পন্দিত হচ্ছে।

আর যদি দ্রুত, ধীর, বা অস্বাভাবিকভাবে আপনার হৃদযন্ত্রের হৃদযন্ত্রের ত্রুটি, হার্টের ভালভের রোগ বা করোনারি ধমনীর রোগ বা হৃদপিণ্ড সহ ECG-তে বিভিন্ন হার্টের অবস্থা দেখা দিতে পারে। আশা করছি আপনারা উপরের অংশটুকু পড়ে ইসিজি নরমাল চেনার উপায় এতক্ষণে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ইসিজি পরীক্ষার সম্ভাব্য ঝুঁকি কি তা জেনে নেওয়া যাক।

ইসিজি পরীক্ষার সম্ভাব্য ঝুঁকি

ইসিজি টেষ্ট বলতে গেলে একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রক্রিয়া, এই টেষ্ট করার সময় বৈদ্যুতিক শক পাওয়ার খুব একটা ঝুঁকি থাকে না। পরীক্ষার চলাকালীন, ইলেক্ট্রোডগুলি কোন ধরণের বিদ্যুৎতিক শক্তি উৎপাদন করে না এবং শুধুমাত্র হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ সঠিকভাবে নথিবদ্ধ করে থাকে।

ইসিজি খরচ কত

একটি ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) হল একটি সাধারণ টেষ্ট যা মুলত আপনার হার্টের ছন্দ এবং বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরীক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পোষ্টের এই পাঠে আপনি বাংলাদেশে ইসিজি পরীক্ষার  আপডেট মূল্য পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন ২০২৪ সালে এসে বেসরকারি ক্লিনিকে ইসিজি করতে কত টাকা খরচ হবে তা নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

  • পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার 350 টাকা
  • ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার 225 টাকা
  • বারডেম জেনারেল হাসপাতাল 300 টাকা

উপরের উল্লিখিত দামগুলো ২০২৪ সালের সর্বশেষ বা আপডেট মূল্য। তবে আমার মনে হয় এই ক্লিনিকে টেষ্ট মূল্য তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই সম্ভব হলে সরকারি হসপিটাল এ ইসিজি টেস্ট করাতে পারেন। সরকারি ক্লিনিকে ইসিজি টেষ্ট এর মূল্য তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

ইসিজি রিপোর্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা (FAQs)

ইসিজি পরীক্ষা কি নিরাপদ?

ইসিজি পরীক্ষা করা একদম নিরাপদ। এই টেষ্ট করার সময় বৈদ্যুতিক শক পাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

ইসিজি কখন করা উচিত?

আপনি যদি শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা আপনার বুকে ধাক্কা (ধড়ফড়) এর মতো লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে একজন ডাক্তারের নিকট সুপারিশ করে ইসিজি করতে পারেন।

ECG করতে কত সময় লাগে?

ইসিজি পরীক্ষা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি ডায়াগনস্টিক টুল। এটা কার্ডিয়াক রোগের চিকিত্সা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। ECG পুরোপুরি সম্পূর্ণ হতে কয়েক মিনিট সময় নেয়।

ইসিজি রিপোর্ট সম্পর্কে লেখকের শেষ মতামত

একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি রোগীর হৃদপিণ্ডের কোনো অস্বাভাবিকতা বা জটিলতা সন্দেহ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে ইসিজি টেষ্ট করতে বলেন। ইসিজি পরীক্ষা কয়েকটি কারণে করা যেতে পারে যেমন হোল্টার মনিটর, ইভেন্ট মনিটর, স্ট্যান্ডার্ড ইসিজি ইত্যাদি।

আপনার যদি ইসিজি টেষ্ট রিপোর্টে কোনো জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে একেবারে বিচলিত হবেন না বরং এর অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করাটা খুবই জরুরি। এবং প্রয়োজনীয় যেসব পন্থা রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে হবে। আশা করি, উপরোক্ত আলোচনায় ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় আপনার ইসিজির টেষ্ট বোঝার ক্ষেত্রে বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কিত উল্লিখিত আজকের ব্লগটি পছন্দ বা ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ইসিজি রিপোর্ট বা টেষ্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামতের উত্তর দেওয়ার যথাযথভাবে চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment