আপনি কি বৃহৎ শিল্প কাকে বলে? তা জানতে চাচ্ছেন? আমাদের এই বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হলেও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশি। দেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ শিল্পের অবদান দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পাশাপাশি বৃহৎ শিল্পের উন্নয়নে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এই বৃহৎ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা, আমাদের দেশের মত এত সহজলভ্য শ্রমিক বিশ্বের আর অন্য কোন দেশে নেই । তাই আমাদের এই বাংলাদেশে সেই ধরনের সক্রিয় বৃহৎ শিল্প দরকার যেখানে অধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বৃহৎ শিল্প কাকে বলে বা বৃহৎ শিল্প বলতে কি বোঝায় এই সম্পর্কে জানতে চাওয়া একটি সাধারণ প্রশ্ন, যার উত্তর বিভিন্নভাবে করা হলেও এর মূল উত্তর মূলত একটিই। আজকের এই ব্লগ পোষ্টে আমরা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করবো বৃহৎ শিল্প কাকে বলে, বৃহৎ শিল্পের বৈশিষ্ট্য, বৃহৎ শিল্পের উপাদানসমূহ, বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের পার্থক্য সহ বৃহৎ শিল্প নিয়ে আরও অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে।
বৃহৎ শিল্প কি
বৃহৎ শিল্প বলতে মূলত যা গড়ে তুলতে প্রচুর পরিমাণে মূলধন, দক্ষ শ্রমিক, এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দরকার পড়ে। এগুলো আসলে অনেক বড় পরিসরের শিল্প কারখানা হিসেবে পরিচিত, যেখানে উৎপাদন প্রক্রিয়া হয় অনেক জটিল এবং পণ্য উৎপাদন করতে বড় আকারের মেশিনারিজ আইটেম ও শ্রমশক্তি ব্যবহার হয়।
📌আরো পড়ুন 👇
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশে পাট, বস্ত্র, চামড়া, এবং সিমেন্ট শিল্পকে এই বৃহৎ শিল্পের তালিকাভুক্ত করা হয়। এগুলো মূলত আমাদের দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠে। বৃহৎ শিল্প সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে শেষ অবদি পড়ুন।
বৃহৎ শিল্প কাকে বলে
বৃহৎ শিল্প হচ্ছে এক ধরণের বড় শিল্পকে বোঝায় অর্থাৎ যে সকল শিল্পে প্রচূর পরিমানে মূলধন, অনেক দক্ষ শ্রমিক বা জনবল ও অত্যাধিক পরিমানে কাঁচামাল ব্যবহার করে আধুনিক মেশিনারিজ তথা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে বিপুল পরিমাণপণ্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় তাকেই বৃহৎ শিল্প বলা হয়।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ শিল্প আইনমোতাবেক, যে শিল্প কারখানায় ২৫০ জনের বেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়া থাকে, তাকে বৃহৎ শিল্প বলা হয়। এটি বৃহৎ পুঁজি, ব্যাপক জনশক্তি, প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার সমষ্টি।
উৎপাদনমুখী যেসব শিল্প রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে কারখানা ভবন ও জমি ব্যতিত মোট স্থায়ী সম্পদের মূল্য হচ্ছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। এক্ষেত্রে উক্ত শিল্প কারখানায় ২৫০ জনেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত থাকে। অপরিদকে, সেবামূলক বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে সম্পদের মূল্য ও প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ১৫ কোটি টাকার বেশি হয় এবং ১০০ জনের বেশি শ্রমিক কর্মরত থাকে।
তো আশা করছি আপনার এতক্ষণে বৃহৎ শিল্প কাকে বলে বা বৃহৎ শিল্প কাকে কি তা নিশ্চয় জেনে গেছেন। এবার চলুন, এ বিষয়ে আরও পরিস্কার ধারণা নেওয়ার জন্য বৃহৎ শিল্পের উদাহরণগুলো জেনে নেই।
বৃহৎ শিল্পের উদাহরণ
বৃহৎ শিল্পের উদাহরণগুলো নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ
- গার্মেন্টস শিল্প: বাংলাদেশে যতগুলো বৃহৎ শিল্প রয়েছে তার মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত এই দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি যোগান দিয়ে থাকে।
- চামড়া শিল্প: চামড়া শিল্প আমাদের দেশের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে রচিত। যার মাধ্যমে বেল্ট, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে।
- চিনি শিল্প: বাংলাদেশে এখন অনেক বড় বড় চিনিকল বিদ্যমান আছে যেখানে প্রচূর পরিমানে চিনি উৎপাদন করা হয়।
- পাট শিল্প: পাট শিল্প আমাদের দেশের অন্যতম প্রাচীন বৃহৎ শিল্প। একসময়ে পাট শিল্প দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস ছিল।
- সিমেন্ট শিল্প: বাংলাদেশের নির্মাণ খাতে সিমেন্ট শিল্প অপরিহার্য। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সিমেন্ট বিদেশেও রপ্তানি হয়।
বৃহৎ শিল্পের বৈশিষ্ট্য
বৃহৎ শিল্পের বেশ কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে অন্যান্য ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে মাঝারি শিল্প থেকে ভিন্ন করে। নিচে সহজ ভাষায় সেগুলো উল্লেখ করা হলো:
মূলধনের প্রয়োজনীয়তা
বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলতে বড় পরিমাণ মূলধন দরকার। উদাহরণ: একটি সিমেন্ট কারখানা একদম নতুনভাবে স্থাপন করতে প্রচূর পরিমাণে টাকার প্রয়োজন হয়।
দক্ষ শ্রমিক ও প্রযুক্তি
এই শিল্পে কাজ করার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল বা শ্রমিক এবং এর পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। উদাহরণ: একটি পোশাক কারখানায় মেশিন চালানোর জন্য সুদক্ষ অপারেটর প্রয়োজন।
উৎপাদনের স্কেল
বৃহৎ শিল্পে পণ্যের উৎপাদন মূলত সবসময়ই বড় পরিধানে হয়ে থাকে। এতে করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রচূর পরিমানে পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
বাজার বিস্তৃতি
বৃহৎ শিল্পে উৎপাদিত পণ্য শুধুমাত্র দেশের বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এর রপ্তানি করা হয়। উদাহরণ: বাংলাদেশে যেসব পোশাক তৈরি করা হয় সেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।
পরিবেশগত প্রভাব
পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই বৃহৎ শিল্প। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বৃহৎ শিল্পের উপাদানসমূহ
বৃহৎ শিল্প সফলভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট উপাদান দরকার। যেমন: দক্ষ শ্রমিক ছাড়া বড় আকারের শিল্প পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া বৃহৎ শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। মেশিনের সাহায্যে উৎপাদন দ্রুত ও নির্ভুলভাবে করা যায়।
- পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা: সফল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিল্পে সুশৃঙ্খল উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হয়।
- বাজারজাতকরণ: উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জন্য ভালো বিপণন কৌশল দরকার।
বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের পার্থক্য
আপনারা অনেকেই বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মূলত এজন্যই আমরা পোষ্টের এই পাঠে এই বিষয়ে তালিকাবদ্ধভাবে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। তো আপনি যদি বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের পার্থক্য না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটুকু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন।
১/ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে যেখানে প্রচূর পরিমাণে পণ্য উৎপাদিত হয়। তাকেই বৃহৎ শিল্প বলা হয়। অন্যদিকে, আবার বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে সেখানে সামান্য পরিসরে স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদিত হয়। এদের ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
📌আরো পড়ুন 👇
২/ বৃহৎ শিল্পে কাগজ, চিনিশিল্প, সার, সিমেন্ট, ওষুধ ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র শিল্পে কাঠশিল্প, কাঁসাশিল্প, মৃৎশিল্প, রেশমশিল্প, তাঁতশিল্প, তামাকশিল্প, চামড়াশিল্প প্রভৃতি উৎপাদন করা হয়।
৩/ বৃহৎ শিল্পকলা মূলত আধুনিক কালের শিল্প। যা আধুনিক যন্ত্রপাতির উন্নতির সাথে প্রসার ঘটেছে। আর অন্যদিকে, কিছু কিছু ক্ষুদ্র শিল্প প্রাচীন কালের শিল্প। যেমন তাঁতশিল্প সেই আদিম যুগ থেকে বাংলার মানুষ নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে।
৪/ বৃহৎ শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র শিল্প সল্প পরিসরে অনেক কম মূলধনে পরিচালনা করা হয় বিধায় এখানে কমসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫/ দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র শিল্পে উত্পাদিত পণ্য দেশের চাহিদা অনেকাংশ মেটাতে সক্ষম হয়।
তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্পের পার্থক্য জেনে গেছেন। এবার চলুন বৃহৎ শিল্পের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বৃহৎ শিল্পের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ
আপনারা অনেকেই বৃহৎ শিল্পের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মূলত এজন্যই আমরা পোষ্টের এই পাঠে এই বিষয়ে তালিকাবদ্ধভাবে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। তো আপনি যদি বৃহৎ শিল্পের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটুকু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন।
- বৃহৎ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
- এই শিল্পে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
- বৃহৎ শিল্প থেকে রপ্তানি আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে।
- বৃহৎ শিল্পের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রচলন বাড়ে।
তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বৃহৎ শিল্পের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ জেনে গেছেন। এবার চলুন বৃহৎ শিল্পের চ্যালেঞ্জ সমূহ গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বৃহৎ শিল্পের চ্যালেঞ্জ সমূহ
আপনারা অনেকেই বৃহৎ শিল্পের চ্যালেঞ্জ সমূহ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। মূলত এজন্যই আমরা পোষ্টের এই পাঠে এই বিষয়ে তালিকাবদ্ধভাবে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। তো আপনি যদি বৃহৎ শিল্পের চ্যালেঞ্জ সমূহ না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটুকু মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন।
- পরিবেশ দূষণ (Environmental pollution): বৃহৎ শিল্প থেকে যেসব বর্জ্য বের হয় সেগুলি পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে।
- প্রতিযোগিতা (Competition): আন্তর্জাতিক বাজারে এখন যেই প্রতিযোগিতা চলছে সেখানে টিকে থাকতে হলে দরকার উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন করা।
- মূলধনের অভাব (Lack of capital): অনেক সময় দেখা যায় যে মূলধনের অভাবজনিত কারণে বৃহৎ শিল্প স্থাপনে সমস্যা হয়।
বৃহৎ শিল্প সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প কোনটি?
বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প হলো পাটশিল্প, বস্ত্রশিল্প ও কাগজশিল্প
বৃহৎ শিল্পের প্রধান চ্যালেঞ্জ কি?
বৃহৎ শিল্পের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দক্ষতার অভাব। যদিও অদক্ষ কাজগুলি পরিচালনা করার জন্য শ্রমের সোর্সিং বড় আকারের শিল্পগুলির জন্য সহজ, তবে এটি দক্ষ কর্মীদের সোর্সিং যা এই শিল্পগুলির সাথে লড়াই করে।
বৃহৎ শিল্পের গুরুত্ব?
বড় আকারের শিল্প মূলত মূলধন এবং মৌলিক পণ্য (যন্ত্র, মেশিন, রাসায়নিক, ইত্যাদি) উৎপাদন করে তারা নতুন প্রযুক্তির গবেষণা এবং উন্নয়ন আরও বাড়ানোর জন্য নতুনত্য তহবিল তৈরি করতে সক্ষম। যার ফলে বৃহৎপরিসরে অপারেশনে ব্যঘাত ঘটে এতে করে পণ্যের দাম কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে ।
কোনটি বৃহৎ শিল্প?
বৃহৎ শিল্পের মধ্যে রয়েছে সার, সিমেন্ট, ওষুধ, কাগজ, চিনিশিল্প ইত্যাদি।
বৃহৎ শিল্প সম্পর্কে আমাদের মতামত
পরিশেষে বলা যায় যে বৃহৎ শিল্প হচ্ছে মূলত একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। যা দেশের বস্ত্র, চামড়া, পাট, এবং সিমেন্ট শিল্প প্রভূতি শিল্পের মতো বৃহৎ শিল্পগুলো দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখে। তবে এই শিল্পগুলোর পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রম নিশ্চিত করা জরুরি।
বৃহৎ শিল্প সম্পর্কিত আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাঝে কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। আমরা আপনার প্রশ্ন ও মতামতের জন্য সবসময় আগ্রহ নিয়ে থাকি। এমন আরো তথ্যমূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে বা বিভিন্ন জরুরি তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।