বনভূমি কাকে বলে? বনভূমি সংরক্ষণের উপায় এবং ধ্বংসের কারণ

আপনি কি বনভূমি কাকে বলে? বনভূমি সংরক্ষণের উপায় জানতে চাচ্চেহ্ন? বাংলাদেশের বনভূমি বিস্তীর্ণ এলাকা অধিকাংশ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশের দক্ষিণ, দক্ষিণপূর্ব, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি বন, ম্যানগ্রোভ বন, শালবন এবং কৃত্রিম বন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমরা বনভূমি কাকে বলে, বনভূমি কত প্রকার ও কি কি, বনভূমি সংরক্ষণের উপায়, ধ্বংসের কারণ এবং বনভূমির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোকপাত করা হবে। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই বনভূমি কি তা সংক্ষেপে জেনে নেই।

বনভূমি কি

যখন কোন একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে (হোক সেটা কম বা বেশি জায়গা) গাছপালা দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে এবং সেই এলাকাতে প্রাকৃতিকভাবে বন্য পশুপাখি থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গ একসাথে কোন সমস্যা ছাড়াই বসবাস করতে পারে তখন তাকে বনভূমি বলা হয়।

বর্তমানে আমাদের এই বাংলাদেশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রায় ২২ লক্ষ হেক্টর বা বিঘাতে হিসাব করলে ১৬ কোটি ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার বিঘার এর বেশি বনভূমি বিদ্যমান রয়েছে। তো আশা করছি বনভূমি সম্পর্কে সসংক্ষিপ্ত ধারণা পেয়েছেন। এখন তো শুধুমাত্র এর সংজ্ঞা সংক্ষেপে জেনে নিলাম। তবে নিচে আমরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানবো। যেমন বনভূমি কাকে বলে, বনভূমি কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি।

বনভূমি কাকে বলে

আমরা ইতিমধ্যেই উপরের অংশ থেকে জেনেছি যে যখন মূলত লোকালয় থেকে দূরে যখন কয়েক ধরণের প্রজাতির গাছপালা একসাথে উক্ত জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেই এবং এর পাশাপাশি সেখানে বন্য পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ নির্বিঘ্নে বা কোন ঝামেলা ছাড়াই বসবাস করতে পারে তখন তাকে বনভূমি বলে।

📌আরো পড়ুন 👇

বনভূমিতে যখন কোন গাছের লতা পাতার ছায়ার কারণে অন্য সব গাছের লতাপাতার ছায়ার একসংগে মিলে যায় তখন পুরো এলাকা জুড়ে বনভূমি গাছের ছায়ায় ঢেকে যায়। বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে শুরু করে শালবন এবং পাহাড়ি বনগুলো এখনকার সময়ে গাছের ছায়ায় আবৃত হয়ে রয়েছে।

আমাদের আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের দিকে যেগুলো বাসা বাড়ির আশেপাশে বন সৃষ্টি হয়েছে সেসব বন কে মূলত গ্রামীণ বন বলা হয়, যেগুলো মূলত প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক বনগুলো বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে, যেমন নানান প্রজাতির গাছপালা, পশুপাখি এবং জানা-অজানা সমস্ত বৃক্ষরাজির সমন্বয়ে গঠিত হয় একটিপ্রাকৃতিক বন ।

বনভূমি কত প্রকার ও কি কি

বাংলাদেশের বনভূমিকে সৃষ্টির উপর ভিত্তি করে মূলত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ

  1. প্রাকৃতিক বন,
  2. কৃত্তিমবন।

১. প্রাকৃতিক বন

কোন মানুষের বুদ্ধিমত্তা কিংবা হাতের স্পর্শ ছাড়াই যে বন গড়ে ওঠে তাকে প্রাকৃতিক বন বলে। এই দেশের সুন্দরবন থেকে শুরু করে, শালবন এবং গজারি বন তার প্রকৃত উদাহরণ। এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে যেগুলো বনভূমি রয়েছে সেগুলো মূলত প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে। আবার তামান দুনিয়ার অধিকাংশ ঘন অরণ্যগুলো প্রাকৃতিক বনের ই উদাহরণ।

২. কৃত্রিম বন

মানুষ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষে যে বন সৃষ্টি করে থাকে মূলত তাকেি কৃত্রিম বনাঞ্চল বলা হয়ে থাকে। তবে এছাড়াও বন বিভাগ থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বন তৈরি করা থাকে। এই দেশের গ্রাম অঞ্চলের দিকে যেগুলো বাসা বাড়ি রয়েছে সেগুলোর আশেপাশে যেসব বন কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয় সেগুলো হচ্ছে কৃত্রিম বনের উদাহরণ।

তবে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বনভূমিকে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

  • গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন,
  • নাতিশীতোষ্ণ বন,
  • বোরিয়াল বন,
  • বৃক্ষরোপন বন।

বনভূমি ধ্বংসের কারণ

বাংলাদেশের একটি গুরুতর ও অন্যতম সমস্যা হচ্ছে বনভূমি ধ্বংস। যা মাটির স্থিতিশীলতা, জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু এবং স্থানীয় সম্প্রদায় এর উপর গভীর ভাবে খারাপ বিস্তার বিরাজ করে থাকে। আর এর প্রতিকার  হিসেবে আমরা বলতে পারি যে–

বনভূমি কাকে বলে-বনভূমি সংরক্ষণের উপায়

  • বন ব্যবস্থাপনা করা,
  • বৃক্ষরোপণ করা,
  • সচেতনতা বৃদ্ধি করা,
  • বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা, এবং
  • বিকল্প আয় সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন।

বনভূমির সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে বনভূমি ধ্বংসের কারণ কি বা আমাদের দেশের বনভূমি কেন দিন দিন ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

📌আরো পড়ুন 👇

আসুন তাহলে আমরা এই বিষয়ে কিছু বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেই। বাংলাদেশের একটি গুরুতর সমস্যা হচ্ছে যেটা আসলে পরিবেশগত ভাবে একটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে যা বনভূমি ধ্বংস। এটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য থেকে শুরু করে জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবনযাত্রার উপর প্রচূর পরিমানে প্রভাব ফেলে।

বনভূমির ধ্বংসের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বিশ্লেষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

১. বন কেটে গাছের জমি তৈরি

আবাসিক এলাকা তৈরি এবং কৃষি জমি করার জন্য বনভূমি কেটে ফেলা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সিলেট ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ অঞ্চল গুলোতে চা বাগান এবং কৃষি জমি তৈরি করার জন্য বনভূমি কাটা হচ্ছে।

২. বনভূমি দখল ও ভূমি পুনরুদ্ধার

শিল্পায়ন উন্নতি এবং আধুনিক নগরায়ন করার জন্য বনভূমি দখল করা হচ্ছে। শহরাঞ্চলে ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য এবং নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য বনভূমি দিন দিন কেটে ফেলা হচ্ছে। ঢাকা ও তার আশেপাশে এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য অনেক বনভূমি ধ্বংস হয়েছে।

৩. পানি ও ইটভাটা

কাঠের চাহিদা পূরণ করার জন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা বিশেষ করে পানি ও ইতের ভাটায় ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঠের চাহিদা বাড়ানোর জন্য বন ধ্বংস হচ্ছে।

৪. বনজ সম্পদ সংগ্রহ

স্থানীয় জনগণের জন্য বনজ সম্পদ যেমন কাঠ, মধু, এবং ঔষধি উদ্ভিদ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই সম্পদ সংগ্রহের জন্য বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে, বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে।

৫. পরিবেশগত পরিবর্তন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বনভূমি ধ্বংসের অন্যতম একটি কারণ। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং খুব বেশি তাপমাত্রা বনজীবনের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।

বনভূমি সংরক্ষণের উপায়

জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় রাখতে দেশের বনজ সম্পদের উন্নয়ন ,বনজ সম্পদ সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণ করাটা অত্যন্ত জরুরি। আর বাংলাদেশে রয়েছে বনায়নের বিপুল সম্ভাবনা।

বনভূমি কাকে বলে-বনভূমি সংরক্ষণের উপায়

এ সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হবে। এজন্যে আমাদের করণীয় হচ্ছে—

  • ১. দেশীয় অর্থকরী বৃক্ষ রোপণ,
  • ২. বিনামূল্যে বীজ ও চারা সরবরাহ,
  • ৩. নদীর কিনারা ও সড়কের দুপাশে গাছ লাগানো,
  • ৪. বনভূমির গাছকাটা রোধ,
  • ৫. অপরিণত গাছ কাটা বন্ধ করা বিশেষভাবে জরুরি।

বনায়ন করার জন্যে সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন মেয়াদে জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সচেতনতা বাড়নোর জন্য।

চারা বিভিন্ন জায়গা ভেদে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে দেশীয় প্রজাতির গাছ লক্ষ্য করে সেখানে রাবার, সেগুন, আকাশিয়া ইত্যাদি শিল্প-বন তৈরি করা হচ্ছে। তবে এছাড়াও বিদেশি কয়েকটি প্রজাতির গাছ রয়েছে যার সাথে ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটপতঙ্গ আসে। এ ধরনের গাছ মাটি থেকে পানি শোষণ করে নেয় যার ফলে আশে পাশের জমিতে পানির পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়।

আপনি যদি মনে করেন যে প্রাণীর অস্তিত্ব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা দরকার তাহলে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। গাছ প্রস্বেদন প্রক্রিয়া ও বাষ্পীভবনের মাধ্যমে আবহাওয়া বিশুদ্ধ রাখে। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বনভূমির প্রভাব প্রতিটা জনজীবনের জন্য গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানারকম উপায়ে বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যায়, যেমন

(১) আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য

বনভূমি আবহাওয়া এবং জলবায়ুর ভারসাম্য খুবই সক্রিয়ভাবে রক্ষা করে। যখন দিনের আলো থাকে তখন গাছপালা তাদের নিজেদের সালোকসংশ্লেষনের প্রয়োজনে প্রাণীজগতের পক্ষে দূষিত বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষন করে এবং প্রাণীজগতের অশেষ কল্যান সাধন করে। বনভূমি পরিবেশকে দুষণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে । শহরাঞ্চলে প্রধানত এই কারণেই বৃক্ষ রোপন করা হয়।

(২) ভূমিক্ষয় রোধ

বনভূমি ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। গাছপালা শিকড়ের সাহায্যে মাটিকে অনেক শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে বৃদ্ধি পায়। এতে ভূমিক্ষয় নিবারণ হয়ে যায়।

(৩) মরুভূমির প্রসার রোধ

বনভূমি মরুভূমির এরিয়া কমাতে সাহায্য করে। বনভূমি থাকলে ভূমিক্ষয় বন্ধ হয়ে যাবে এতে মরুভূমির প্রসার দিন দিন কমতে থাকবে।

(৪) মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি

বনভূমি উপস্থিতির ফলে মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বনভূমির গাছপালার পাতা, ফুল, মূল, কান্ড প্রভৃতি পচে মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি করে ।

(৫) বৃষ্টিপাত

বনভূমি উপস্থিতির ফলে বৃষ্টি ধেয়ে আসতে সাহায্য করে। আবার গাছ পালার প্রস্বেদন ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাষ্পীভবন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে বনভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

(৬) অর্থকরী দিক

মানুষের কাছে অর্থকরী দিক হিসেবে বনভূমি বেশ লাভজনক। বনভূমি থেকে আমরা যেসকল ফলমূল, মধু, কাঠ এবং নানান ধরণের বনজ সম্পদ পাওয়া যায় সেগুলো আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে সাহায্য করে ।

(৭) জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা

বনভূমি জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়ক। কেননা বনভূমিতে নানান ধরণের জীবজন্তুর আশ্রয় হয় এবং তাদের বাসভূমি হওয়ার ফলে জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা হয়ে থাকে।

এই সমস্ত কারনবশত আমাদের বাংলাদেশীদের নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশে বনভূমি সংরক্ষণ করা খুবই প্রয়োজন। মূলত বনভূমির উপস্থিতির বিদ্যমান থকার ফলে উপরের উল্লিখিত উপকারিতা গুলি পাওয়া যায়। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলো জানতে পেরেছেন।

বনভূমি সম্পর্কে লেখকের মতামত

এতক্ষণ আলোচনার প্রেরিক্ষিতে পরিশেষে বলা যায় যে, বনভূমি আমাদের জন জীবন, পরিবেশ এবং জীবের মাঝে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। তাই বনভূমি কাকে বলে, বনভূমি কত প্রকার ও কি কি, বনভূমি সংরক্ষণের উপায় এবং বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। আশা করি আমাদের এই প্রয়োজনীয় আর্টিকেলটি পড়ে আপয়ান্দের অনেক উপকাড়ে আসবে।

আপনি যদি এমন শিক্ষামূলক আরও জরুরি আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বনভূমি নিয়ে আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment