বর্তমান সময়ে বিশ্বগ্রাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি কি বিশ্বগ্রাম কি? বিশ্বগ্রাম কাকে বলে? বিশ্বগ্রাম এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এটি সাধারনত এমন একটি স্থান যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির সহায়তায় একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।
বিশ্বগ্রামটা আসলে কিছুটা একটা গ্রামের মতো। মূলত যেমন একটা গ্রামে অন্যান্য মানুষেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ঠিক তেমনি অপরদিকে বিশ্বগ্রাম ইন্টারনেটের মাধ্যমে এটা সারা বিশ্ব জুরে করা যাচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বগ্রামে লগ ইন করার মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে।
উপস্থাপনা – বিশ্বগ্রামের ধারণা
সাধারনত মানুষ খুব সল্প সময়ের মধ্যে নিজ নিজ গ্রামের মানুষের সাথে কনট্যাক্ট করতে পারে তবে কিছুটা দূরে হয়ে গেলে অনেক সময় যোগাযোগ করা দুস্কর হয়ে পরে। কিন্তু বিশ্বগ্রাম মূল তাকেই বলা হয় যেখানে আপনি কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে যে কোনো দেশের সাথে কনট্যাক্ট করতে পারবেন।
অতএব ইন্টারনেটে যারা যারা সংযুক্ত থাকবে মূলত তারা সবাই বিশ্বগ্রামের মধ্যে চলে আসবে। আর এখানে যোগাযোগ করার পাশাপাশি ব্যবসা করা, কেনাকাটা করা ইত্যাদি অন্যান্য সব কিছুই করা সম্ভব। প্রিয় পাঠক আমাদের এই আর্টিকেল এর মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বিশ্বগ্রাম কি সেটা নিয়ে।
যারা বিশ্বগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন না বা এই বিষয়ে খুব একটা ধারনা নেই তারা তাদের মন মতো একটা আর্টিকেল পাচ্ছেন তাই অবহেলা না করে এটা শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। আপনাদের সামনে এই পোষ্টে বিশ্বগ্রামের অদ্যোপান্ত তুলে ধরছি। চলুন দেরি না করে প্রথমের জানবো বিশ্বগ্রাম কি।
বিশ্বগ্রাম কি – গ্লোবাল ভিলেজ কি
বিশ্বগ্রাম কি – এটি হচ্ছে মূলত একই সময়ে বিশ্বের সকল মানুষগণ ইন্টারনেট এর সাহায্যে একটা ছোট্র স্থানে সংযুক্ত থাকা। বিশ্বের যে সকল স্থানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে তাদের কে ছোট আয়তনের মধ্যে নিয়ে আসা। উদাহরন হিসেবে বলতে গেলে আপনি একবার ফেসবুক এর বিষয় টা চিন্তা করুন।
তাহলে দেখা যাবে যে – আপনি যখন ফেসবুকে লগ ইন করেন তখন কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি তাতে সেরকম কোন সমস্যা হয়না। আর এই ফেসবুকের মধ্যে যারা যারা সংযুক্ত রয়েছে মূলত তাদের কে একটা গ্রাম বলা যায়।
একটি গ্রাম যেমন আয়তনে ছোট হয় তেমনি ইন্টারনেটের এই যায়গা টাও সামান্য। এখানে আপনি শুধু নির্দিষ্ট কাউকে সহজে খুজে পাবেন। আর বর্তমানে বিশ্বকে আধুনিক সব ধরণের প্রযুক্তি গুলো একটা গ্রামে পরিনত হয়েছে। আপনি যখন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করেছেন তার মানে এখানে আপনিও একজন বিশ্বগ্রামের অংশ হয়ে গেছেন। তো বিশ্বগ্রাম কি আশা করি এতক্ষণে বুঝে গেছেন।
বিশ্বগ্রাম কাকে বলে – গ্লোবাল ভিলেজ কাকে বলে
বিশ্বের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কারও সাথে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া কে বিশ্বগ্রাম বলা হয়। এখানে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন কোনরকম যাতায়াত খরচ ছাড়াই। বিশ্বগ্রামের মধ্যে সবগুলো সুবিধাই রয়েছে। মানে যেগুলো সুবিধা না থাকলেই নয় সেসব সব সুবিধা রয়েছে।
একটি গ্রামে মূলত কি থাকে – হাট বাজার, তরিতরকারি, অন্যান্য জিনিসপত্র, মানুষের সাথে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি এগুলো এখন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অনলাইনেই সম্ভব। বিনোদন ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল ইন্টারনেট। যেখানে আপনি নিজ বাড়িতে বসেই সব ধরনের বিনোদন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আপনাকে আলাদাভাবে মেহনত করে বাজার করতে যাওয়া লাগবে না, বিশ্বগ্রামের মধ্যে আপনি অনেক বাজার পেয়ে যাবেন। যেখানে অর্ডার করলে আপনি খুব সহজেই আপনার বাসাতে পন্য পর্যন্ত পৌছে যাবে। ইন্টারনেট এর সাহায্যে এগুলি সুযোগ ব্যবহার করার জন্য আপনাকে বিশ্বগ্রামে সংযুক্ত হতে হবে।
আর বিশ্বগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট কানেকশন। তবে অনেকেই এখনও যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে SMS প্রযুক্তি ব্যবহার করেন যেটাতে কোন ধরণের ইন্টারনেট কানেকশন সেভাবে প্রয়োজন হয়না। বিশ্বগ্রাম কাকে বলে এই বিষয়ে আপনাদের সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনারা ক্লিয়ার ধারনা পেয়েছেন।
বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রবক্তা কে
বিশ্বগ্রামের ধারণার সর্বপ্রথম প্রবক্তা ছিলেন লন্ডের একজন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ও দার্শনিক হাবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান (Hubert Marshall McLuhan)। জানা যায় এটা নিয়ে বই রচনা করা হয়েছিল বিশ্বগ্রাম আবিস্কার হওয়ার ৩০ বছর আগে। অসাধারন এই দার্শনিক ২১ জুলাই ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
📌আরো পড়ুন 👇
এবং ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে এই দার্শনিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। হাবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান এর বেশ কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য কাজ রয়েছে যেমন –
- দ্যা মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ
- বিশ্বগ্রাম
- ফিগার এন্ড গ্রাউন্ড মিডিয়া
- হট এন্ড কুল মিডিয়া
- টেট্রাড অব মিডিয়া ইফেক্টস
বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি
আপনারা অনেকেই গুগলের কাছে জানতে চান যে বিশ্বগ্রাম এর মেরুদণ্ড কোনটি? মূলত এজন্য আপনার সুবিধার কথা ভেবে পোষ্টের এই অংশে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। সাধারনত নেটওয়ার্ক বা কানেক্টিভিটি কে বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড বলা হয়। একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য অবশ্যই একটি সচল নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজন পরে।
আপনার কাছে যদি প্রযুক্তির সকল ডিভাইস থাকে, কিন্তু যদি নেটওয়ার্ক না থাকে তাহলে বিশ্বগ্রাম একেবারেই অচল। এজন্য নেটওয়ার্কই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড। আশা করছি বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, বিশ্বগ্রাম এর সুবিধা কি কি তা জেনে নেই।
বিশ্বগ্রাম এর সুবিধা
বিশ্বগ্রাম এর মাধ্যমে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে মানুষ এত বেশি বিশ্বগ্রামের দিকে ঝুকেছে যে এটা ব্যতিত তারা একটি দিন ও কল্পনা করতে পারে না। এজন্য হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে বিশ্বগ্রামের সুবিধা কি? তাই আমরা নিম্নে এর সুবিধাগুলি উল্লেখ করে দিয়েছি –
১। যোগাযোগ খরচ কম
ইন্টারনেট ব্যবহারর করে আপনি খুব কম খরচেই যে কোনো প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারেবন। এখানে শুধু ইন্টারনেট খরচ থাকলে আপনি যত ইচ্ছা যোগাযোগ করতে পারবেন। বিশ্বগ্রাম যোগাযোগ ব্যাবস্থায় অনেক কম খরচ করে দিয়েছে যা বিশ্বগ্রাম এর অনেক বড় একটি সুবিধা।
২। যোগাযোগ সময় কম
আগেকার সময়ে মানুষ একে অপরের সাথে দূর দূরান্তে যোগাযোগ করতো সংকেত ব্যবহার করে । এর পরে প্রযুক্তির উন্নতির জন্য একের পর এক মাধ্যম আবিস্কার আসে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ভিডিও কলিং ফিচার যুক্ত করার ফলে বিশ্বগ্রামে কথা বলার পাশাপাশি দেখাও সম্ভব।
৩। তথ্যের উৎস ক্ষেত্রে
বিশ্বগ্রাম বর্তমান সময়ে এসে তথ্যের বড় ভান্ডার হিসেবে কাজ করে। যেমন আপনাকে যদি কোন প্রশ্ন করা হয় এবং বলা হয় এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে ১ মিনিটের মধ্যে দিন। তাহলে আপনাকে বই কালেক্ট করতে হবে এরপর সেই প্রশ্নের উত্তরটি খুজে বের করতে পারবনে। কিন্ত এখন ইন্টারনেটের এর মাধ্যমে আপনি চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তর কয়েক সেকেন্ডেই বের করে নিতে পারবেন।
৪। ব্যবসা বানিজ্যের বিস্তার
বিশ্বগ্রামে যেহেতু সবাই থাকে তাই সেখানে ব্যবসা করাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে যাকে মুলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
৫। লেনদেন ব্যবস্থা ক্ষেত্রে
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরো সহজ ভাবে বিশ্বের যে কোনো স্থানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা লেনদেন ব্যবস্থা কে আরো সুরক্ষিত করেছে।
৬। প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে
প্রতিবছর নতুনত্যের আবিস্কার এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা আগের চেয়ে আমাদের অনেক বেশি ইতিবাচক জ্ঞান সক্ষমতা বেড়েছে। যেখানে বিশ্বগ্রাম ভুমিকা রাখে।
৭। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বগ্রাম
বিশ্বগ্রাম শুধু যোগাযোগে ক্ষেত্রে নয় বরং এই ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে ঘরে বসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন টা আমরা করোনা প্যান্ডামিক এর সময়ে দেখেছি।
৮। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে
উন্নত চিকিৎসার পাওয়ার জন্য আপনাকে এখন আর বাইরের দেশে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি চাইলে এখন ঘরে বসেই টেলিমেডিসিন সেবা ব্যবহার করে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন।
উপরের উল্লিখিত সুবিধাগুলো ছাড়াও বিশ্বগ্রামের আরও বিভিন্ন ধরণের রয়েছে যেগুলি আমরা প্রত্যাহিক জীবনে ব্যবহার করে থাকি। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বিশ্বগ্রাম এর সুবিধাগুলো জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, বিশ্বগ্রামের সুবিধার পাশাপাশু অসুবিধাগুলো জেনে নেই।
বিশ্বগ্রামের অসুবিধা
বিশ্বগ্রাম প্রতিনিয়ত এতো বেশি সুবিধা দিচ্ছে যে মানুষ দিন দিন এট নিয়ে অভ্যাসে পরিনত করছে। ফলে কিছু অসুবিধা আমাদের সামনে চলে আসে।
আর প্রতিটা জিনিসের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও বিদ্যমান থাকে। ঠিক তেমনি বিশ্বগ্রামের সুবিধার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অসুবিধাও রয়েছে যা জেনে নেওয়াটা অতীব জরুরি। আপনাদের জানার সুবিধার জন্য নিচে আমরা কয়েকটি অসুবিধা তুলে ধরলাম –
📌আরো পড়ুন 👇
১। ভুয়া নিউজ
অধিকাংশ সময়ে বিশ্বগ্রামের মাধ্যমে খুব তারাতারি সত্যিকারের নিউজের আড়ালে গুজব ছড়িয়ে যায়। এর মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ এসব বিশ্বাস করে আর ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়।
২। প্রাইভেসি নষ্ট হওয়া
বিশ্বগ্রামে যুক্ত হওয়ার ফলে নিজের ব্যাক্তিগত সমস্ত তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে জমা রাখতে হয়। এতে করে সকলের প্রাইভেসি টা নস্ট হয়ে যায়।
৩। সেবা নিয়ন্ত্রন
আধুনিক মাধ্যমে বিশ্বগ্রাম কিছু দেশে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে আবার কিছু দেশে কম সুবিধা দেয়। তাই এক্ষেত্রে বিশ্বগ্রামের মাধ্যমে আধুনিক বিভেদ তৈরি হয়।
৪। সাংস্কৃতিক পরিবর্তন
বিশ্বগ্রামের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই একে অপরের সাংস্কৃতিক অবস্থা দেখতে পারে। যার ফলে অনেকেই অন্য সাংস্কৃতিতে উদ্ভুদ্ব হতে পারে।
যাইহোক, মূলত এগুলো ছাড়াও আরও অন্যান্য সমস্যা বিশ্বগ্রাম কে বাধা দিবে। তবে এখন অবদি মানুষ সুবিধা ও অসুবিধা নিয়েই মানুষ বিশ্বগ্রামের প্রতি বেশ আকৃষ্ট।
বিশ্বগ্রামের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে বিশ্বগ্রামের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি? মূলত বিশ্বগ্রাম এর ক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে তথ্য। অনেকেই ভাবেন যে বিশ্বগ্রামের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে অনেক ব্যাখা থাকতে পারে তবে বর্তমানে বিশ্বগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ হলো তথ্য।
বিশ্বগ্রাম ছোট একটা আয়তন হলেও এটাকে আরো বেশি ছোট ও ব্যবহার যোগ্য করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট স্থানের জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দেয়া হয়। আর এখান থেকে তথ্য উপাত্ত গুলো বিভিন্ন ভাষায় সহজেই খুজে পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে।
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানসমূহ কী কী
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের বেশ কিছু উপাদান এর প্রয়োজন হয়। সেগুলো হচ্ছে –
- হার্ডওয়্যার
- নেটওয়ার্ক
- সফটওয়্যার
- ডেটা বা তথ্য
- মানুষের ব্যবহার
বিশ্বগ্রামের উপাদান কি কি
আপনারা ইতিমধ্যে বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদান গুলো সম্পর্কে উপরের অংশ থেকে জেনে গেছেন। তো এবার আসুন, বিশ্বগ্রামে কি কি উপাদান পাওয়া যায় তা জেনে নেওয়া যাক। বিশ্বগ্রামের উপাদানগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো –
- যোগাযোগ ব্যাবস্থা
- বিনোদন মাধ্যম
- নিউজ
- ওয়ার্ক ফ্রম হোম
- গবেষনায় বিশ্বগ্রাম
- ব্যাবসার প্রসার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বগ্রাম
বিশ্বগ্রামের ধারণা কত সালে রুপ নেয়
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে সাধারনত প্রযুক্তি নির্ভর একটি সামাজিক মাধ্যম যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর প্রান্তের মানুষ একটি সমাজে বাস করেন এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই তাদের নিজেদের মধ্যে সংস্কৃতি,কৃষ্টি, চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি একে অন্যকে জানিয়ে থাকে।
কানাডিয়ান এক দার্শনিক হাবার্ট মার্শাল ম্যালকুহান (Hubert Marshall Mulquhan) তিনি প্রথম বিশ্বগ্রাম বা গ্লোভাল ভিলেজ শব্দ টি ৬০ এর দশকে পেশ করেন। তারপরে তিনি গুতেনবার্গ গ্যালাক্সি প্রকাশিত করেন মূলত ১৯৬২ সালে যেখানে তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছিলেন।
পরবর্তীতে আবার তিনি ১৯৬৪ সালে আন্ড্যারস্ট্যান্ডিং মিডিয়া বই প্রকাশিত করেছিলেন। সেটার মাধ্যমে সকলের মাঝে গ্লোভাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম এর গুরুত্ব ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে।
বিশ্বগ্রাম সম্পর্কে লেখকের মতামত
বিশ্বগ্রাম কি, বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি, বিশ্বগ্রাম এর সুবিধা ও অসুবিধা সহ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিশ্বগ্রামের সকল ধরণের কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিশ্ব এখন বলতে গেলে প্রতিটা মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে। একদিকে মানুষের কার্যক্ষমতা লোপ হচ্ছে অন্যদিকে প্রযুক্তি কার্যক্ষম হয়ে উঠছে।
অনেকেই ধারনা করেন যে, মূলত প্রযুক্তির কারনেই মানুষ একটা সময় গিয়ে অলস হয়ে যাবে। মস্তিস্কের মধ্যে তুলনামূলক জ্ঞানের চাহিদা টিকে থাকবে না। তবে আপনার কাছে বিশ্বগ্রামের ফলে মানুষের জীবনে কি কি সমস্যা ধেয়ে আনতে পারে? তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগ এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।