আপনি কি বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? সেই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রকারের শারিরিক অসুস্থতার কারনবশত বিদেশি অনুদান তহবিল থেকে অনুদান গ্রহণ করা যায়। আমাদের দেশের দূর্দশাগ্রস্ত মানুষদের অনুদান প্রদান করে থাকে এমন বহু বিদেশি সংস্থা রয়েছে। আমাদের মাঝে এমন অনেক অভাবগ্রস্থ মানুষ বা পরিবার রয়েছে যাদের বিদেশি অনুদানের প্রয়োজন হয় কিন্তু তারা কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়া বিদেশি অনুদান আবেদন করবেন সেই বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে অবগত নন।
মূলত সেসব অভাবগ্রস্থ মানুষ বা পরিবারের কথা চিন্তা ভাবনা করেই আমরা আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়েই আলোচনা করবো। বিভিন্ন কারণে অনেকের বিদেশি অনুদানের আবেদন করতে হতে পারে। তাই আপনি সহজেই অনলাইনে বিদেশি অনুদানের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন তা জেনে রাখা ভালো।
উপস্থাপনা – বিদেশি অনুদান
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষদের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটি হচ্ছে বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? বাংলাদেশ থেকে আপনি চাইলে নানান উদ্দেশ্যে বিদেশি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ন্যায়সঙ্গত কোন কারণ ব্যতিত একান্তই নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই সুযোগের অপব্যবহার করেন তাহলে বিদেশ থেকে আপনি কোন রকম সাহায্য বা অনুদান পাবেন না।
এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনার কারণে ইতোপূর্বে আমাদের বাংলাদেশ থেকে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আপনি এখন চাইলে অন্য একটি প্রক্রিয়ায় বিদেশি অনুদানের জন্য খুব সহজেই আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে।
আপনি যদি আমাদের এই ব্লগটি শেষ অবদি পড়েন তাহলে বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য সঠিক আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আপনার অন্যান্য পরিবারের সদস্যদেরও এ বিষয়ে অবগত করতে পারবেন। এতে তারাও এই অনুদানের অংশিদার হতে পারবেন।
তাই আমার মনে হয় এই বিষয়ে অবহেলা না করাই উচিত। এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এগুলো বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। তাহলে চলুন, আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে প্রথমে বিদেশি অনুদান বলতে কি বোঝায় সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশি অনুদান কি – বিদেশি অনুদান বলতে কি বোঝায়
আপনারা অনেকেই বিদেশি অনুদান নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা পোষ্টের শুরুতেই এই বিষয়ে তুলে ধরেছি। মুলত বাংলাদেশের বাইরে থেকে প্রাপ্ত যেকোনো অনুদান কে বিদেশি অনুদান বলা হয়। বিশ্বব্যাপি অভাবগ্রস্থ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে এমন অনেক বিদেশি সাহায্য সংস্থা রয়েছে।
অধিকাংশ সময়ে ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে কেউ যদি অনুদান দিতে ইচ্ছুক হয় তাহলে সরাসরি সেখানে সংস্থার নাম ও তথ্য দেখে যে কেউ বিদেশ থেকে অনুদান পাঠাতে পারে। মূলত বিদেশ থেকে কোনো অনুদান পাওয়াই হলো বিদেশি অনুদান। আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে আপনারা বিদেশি অনুদান কি সেই সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন নিচের অংশ থেকে আমরা বিদেশি অনুদানের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নিব।
বিদেশি অনুদানের প্রকারভেদ
বাংলাদেশের প্রকল্পের (project) জন্য বিদেশি অনুদান কয়েক ধরণের হতে পারে। আপনার প্রজেক্ট এর ধরনের উপর ভিত্তি করে অনুদান নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা হয়তো অনেকে বিদেশি অনুদান এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। এজন্য আমরা পোষ্টের এই অংশে নিম্নে বিদেশি অনুদানের প্রকারভেদগুলো তুলে ধরেছি।
1. প্রকল্প ভিত্তিক অনুদান
শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবাএবং সামাজিক উন্নয়ন প্রজেক্টের জন্য। উদাহরণস্বরূপ হিসেবে, আপনি গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করতে চাইলে এক্ষেত্রে এটি সহায়ক হতে পারে।
2. সংগঠন ভিত্তিক অনুদান
এনজিও কিংবা অলাভজনক সংগঠনের বিশেষ কার্যক্রমের জন্য। যেমন, আপনার যদি নিজের একটি নিবন্ধিত এনজিও বিদ্যমান থেকে থাকে, তাহলে এর কার্যক্রমের জন্য সহায়তা পেতে সহায়তা করবে।
3. গবেষণা অনুদান
বিজ্ঞান ও বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়ন বা নতুন প্রকল্পের প্রকল্পের জন্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি প্রযুক্তি বা চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার জন্য অনুদান।
4. জরুরি সহায়তা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা দেশে কোন ধরণের মানবিক সংকট দেখা দিলে। যেমন, বন্যা, ঘুর্ণিঝড় বা অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় জরুরি সহায়তা অনুদান পাওয়া যেতে পারে। আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে আপনারা বিদেশি অনুদানের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন নিচের অংশ থেকে বিদেশি অনুদান কারা নিতে পারবে সেই সম্পর্কে জেনে নিব।
বিদেশি অনুদান কারা নিতে পারবে
আপনারা অনেকেই সচরাচর একটি প্রশ্ন করে থাকেন যে বিদেশি অনুদান কারা নিতে পারবেন? কিংবা আপনি বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা। এর উত্তর হচ্ছে আপনি ব্যক্তিগত কোন সমস্যার কারণে বাংলাদেশ থেকে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন 👇
বর্তমানে বাংলাদেশে অনুদান দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেউ ইউরোপ আমেরিকাতে যদি থাকে তাহলে সে আপনার চিকিৎসা কিংবা গুরুতর কোনো সমস্যার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবে। সেক্ষত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রমাণ স্বরূপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে দেখাতে হবে। যদি এই আবেদন গ্রহণযোগ্য হয় এবং অনুদান দেয়া হয়, তাহলে সে অনুদান আপনি বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমে আনতে পারবেন এবং খরচ করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনার সমস্যা ছাড়া যদি সামাজিক সমস্যা বা অন্য কোনো চারিটির জন্য আপনি অনুদানের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনি বাংলাদেশে বসেই আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন যে, ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করার সময় চ্যারিটি ক্যাটাগরি অনুসরণ করে আবেদন করবেন। ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন না করলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো
আমরা এখন বিদেশি অনুদান কয়েকটি সাইটের মাধ্যমে আবেদন করার মাধ্যমে পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি মনে করেন যে নিজের ব্যাক্তিগত কারণে অনুদান পাওয়ার জন্য চিন্তা করেন তাহলে একেবারেই ভুল ধারনা হবে। আপনি যদি বিদেশি অনুদান পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সব শর্ত পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার সকল বিস্তারিত তথ্য আপনাকে তাদের কে দিতে হবে।
আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিভিন্ন ভুল এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এর ফলাফল একেবারেই শূন্য এসেছে। যার ফলে বিদেশি অনুদান প্রদান করে এমন অনেক ওয়েবসাইট এই দেশ থেকে আবেদন গ্রহণ করা টোটালি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে একটা উপায় আছে সেটা হচ্ছে আপনার যদি বিদেশে আপনার কোনো বন্ধু বা আত্নীয় স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে সহজেই সাহায্য নিতে পারেন।
তারা যদি সেখান থেকে আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করে দেওয়ার পরে যাচাই বাচাই করার পর আপনাকে অনুদান পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয় তাহলেই আপনি বিদেশি অনুদান গ্রহণ করে নিতে পারবেন। বর্তমানে বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য আমরা নিম্নে কিছু উল্লেখ করেছি সেই সাইটগুলি থেকে আপনি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন –
- Go Found Me
- Charity Navigator
- Air Funding
- Global Giving
উপরের উল্লিখিত সাইট গুলোতে ভিজিট করে সকল নিয়ম কানুন মেনে এবং সেগুলো নিয়ম গুলো ভালো ভাবে পড়ার পরে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তাহলেই আপনি বিদেশি অনুদান পেতে সক্ষম হবেন। আশা করছি আপনারা বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? তা এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে তা জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা উপরের অংশ থেকে বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো তা জেনে গেছেন। এখন আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগা দিতেই পারে যে বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে? আসুন তাহলে আমরা এ অংশ থেকে আবেদন করতে কি কি তথ্যের প্রয়োজন হবে সেটা বিস্তারিত জেনে নেই।
সাধারনত বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করার আগেই কাগজ পত্র গুলো রেডি করতে হবে। কেননা আবেদন করার সময় আপনার কাগজ পত্র গুলো সেখানে সাবমিট করতে হবে। বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা নিম্নে উল্লেখ্য করে দিলাম –
- আবেদনকারী সকল ধরণের বায়ো ডাটা দিতে হবে।
- সংস্থার (organization) ব্যবসায়িক কার্ডের ফটোকপি।
- যিনি আবেদন করবেন তিনার স্বাক্ষর সহ সংস্থার ব্যাংক স্টেটমেন্টের ছবি প্রাদান করতে হবে।
- আপনার সংস্থার (organization) সঠিক অনুমোদন পত্র।
- আপনার সংস্থার (organization) সঠিক ই-মেইল এড্রেস।
- আপনার সংস্থার পরিচয় যেমন সংস্থা কি কাজ করে, ভবিষ্যতে কি করতে এবং আপনার সংস্থা থেকে সবাই মানুষ কি কি সুবিধা পেয়েছে,ইত্যাদি বিষয় গুলো বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে ও সংস্থার ওয়েবসাইট এর লিংকগুলি প্রদান করে দিতে হবে।
- সংস্থার (organization) কিছু কাজ করার ছবি বা ভিডিও।
- যেই আবেদন করতে পারবেন সেই ব্যাক্তি সংস্থার কোন অবস্থানে রয়েছেন, তার কাজ ও আগের ৩ মাসের মধ্যে যেকোনো আলোচনার ছবি দিতে হবে।
উপরের উল্লিখিত সকল কাগজ গুলো যখন জোগার হবে তখন আপনাকে প্রতিটি স্টেটনেন্ট সঠিক ভাবে দিয়ে আবেদন করতে হবে। তাহলে আশা করছি বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বিদেশি অনুদান আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশি অনুদান আবেদনের প্রক্রিয়া
বিদেশি অনুদান পেতে আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে সেটা আপনারা উপরের অংশে থেকে জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা জানবেন আবেদন কিভাবে করতে হয় এবং অনুদানের টাকা কিভাবে পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বিদেশি অনুদান আবেদনের প্রক্রিয়া নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রথমে আপনি যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদানের আবেদন করবেন সেই সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে সেখানে রেজিস্ট্রেশন ভালোভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, নিজের ফোন নম্বর ই-মেইল, ছবির প্রয়োজন হবে।
- এবার রেজিস্ট্রেসন নাম্বার অথবা ই-মেইল ঠিকানার মাধ্যমে ভ্যারিফাই করে নিতে হবে।
- এরপর আপনি যে ধরণের অনুদান পেতে আগ্রহী সেখান থেকে সেই ধরণ বাছাই করে নিতে হবে।
- আবেদন প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে অনুদান পাওয়ার আবেদন ওয়েবসাইটে দেখানো হবে। সেখান থেকে কেউ ডোনার অনুদান পাঠাতে চাইলে, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তখন বাংলাদেশ সরকার সেখান থেকে আপনার কাছে অনুদান পৌছে দিবে।
আবেদন এর কাগজপত্র দেয়ার সময় সচেতন থাকতে হবে যে প্রতিটি তথ্য যেন সঠিক দেয়া হয়। তানাহলে আপনি যদি কোন ধরণের ভুল তথ্য প্রদান করে থাকেন তাহলে কোনো ভাবেই আপনি অনুদান পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন না। তো আশা করছি বিদেশি অনুদান আবেদনের প্রক্রিয়া গুলো জানতে পেরেছেন। এবার বিদেশি অনুদান পাওয়ার কৌশল কি সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিদেশি অনুদান পাওয়ার কৌশল
বিদেশি অনুদান পেতে বেশ কয়েকটি কৌশল অবল্মবন করা করা যেতে পারে। সেই কৌশলগুলো নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো;
- স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা: আপনার প্রকল্পের উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ্য যেতাই হোক না কেন তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে। এটি দাতার কাছে আপনার এই প্রকল্পের গুরুত্ব বোঝাতে অনেক সহায়তা করবে।
- দক্ষ দল গঠন করা: প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাজেট তৈরি করতে সহায়তা পাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ দল গঠন করতে হবে।
প্রমাণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা: আগেকার সফল প্রকল্পের প্রমাণযোগ্যতা দেখাতে হবে দেখান। - যোগাযোগ বজায় রাখুন: দাতা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে এবং এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
- সময়সীমা মেনে চলুন: আবেদন প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যা চাইলে জমা দিতে হবে।
উপরের উল্লিখিত কৌশল অবল্মবন করলে আশা করা যায় আপনি বিদেশি অনুদান পেতে সক্ষম হবেন।
বিদেশি অনুদান সম্পর্কে লেখকের শেষ মতামত
বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলে বলা মাধ্যমগুলো অবলম্বন করে আপনি বিদেশি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি কখনোই মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন তাহলে অনুদান পাবেন না। যাদের অনুদান প্রয়োজন তাদের কেই শুধু মাত্র দেশের বাইরে থেকে অনুদান প্রদান করা হয়।
আমাদের মানবজাতির স্বভাবের কারণে প্রায় সকল দেশ থেকেই আবেদন নেয়া বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য আমি সবশেষে বলতে চাই যে তাই বিনা প্রয়োজনে কোন কারণ ব্যতিত মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে অযথা এই দেশের নাম খারাপ করবেন না।
বিদেশি অনুদান সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামতের উত্তর দেওয়ার যথাযথভাবে চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।