বায়ু দূষণ কি? বায়ু দূষণের প্রভাব ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উপায়

সম্মানিত পাঠক, আপনি কি বায়ু দূষণ কি? বায়ু দূষণের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে বায়ু দূষণ এর বিষয় সমূহ জানতে একেবারে সঠিক ওয়েবসাইটেই প্রবেশ করেছেন। কারণ হচ্ছে আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে বায়ু দূষণের প্রভাব গুলি বিস্তারিত আলোচনা করব।

বিশুদ্ধ বায়ু আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। সত্যি বলতে শুধুমাত্র আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং পরিবেশের সঠিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এত বেশি খারাপ যে– বিশুদ্ধ বায়ুর সংকর দেখা দিচ্ছে। মানে অতিরিক্ত হারে বায়ু দূষণ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপস্থাপনা – বায়ু দূষণ

বায়ু দূষণ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের জীবকুল-প্রাণীকুল উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল আমরা বায়ু দূষণ কি, বায়ু দূষণের প্রভাব ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন আমাদের এই পরিবেশ রক্ষার্থে, নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবনের তাগিদে বায়ু দূষণের কারণগুলো কিভাবে প্রতিকার করা যায় সেই কার্যকরী পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করি।

এই পরিবেশ আপনার, আমার এবং আমাদের সকলের। তাই আমাদের সকলেরই নিজ নিজ দায়িত্বে বায়ু দূষণ রক্ষার্থে এগিয়ে আসা জরুরি। তো আপনি যদি বায়ু দূষণের উক্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে ফেলুন।

তাহলে আশা করছি বায়ু দূষণ নিয়ে কাংখিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই বায়ু দূষণ কি তা জেনে নেওয়া যাক।

বায়ু দূষণ কি

বলা হয় যে– বায়ু দূষণ সাধারনত রাসায়নিক ক্রিয়া-কলাপ জৈব মাধ্যম দ্বারা ভেতরের বাহিরের পরিবেশের এক প্রকার দূষণ, যেটা খুব সহজেই বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য গুলোকে পরিবর্তন করে দেয়। বিশেষ করে বায়ু দূষণ দেখা দিলে মানুষ ও পরিবেশের অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্যের প্রচূর ক্ষতি হয়ে থাকে।

যাইহোক, আপনাকে যদি কেউ বলে যে বায়ু দূষণ কি অথবা পরিক্ষার প্রশ্নে আসে যে বায়ু দূষণের সংজ্ঞা লিখ, তাহলে এর উত্তরে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় বায়ু দূষণের সংজ্ঞা উল্লেখ করতে হবে।

বায়ু দূষণ কি? বায়ু দূষণের প্রভাব ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উপায়

বায়ু দূষণের বেশ কয়েকটি সংজ্ঞা রয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো–👇

  • বায়ুর মধ্যে বিদ্যমান নানান ধরণের ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা রাসায়নিক পদার্থ বা জীবাণু মিশ্রিত হলে তখন তাকে বায়ুদূষণ বলা হয়।
  • বায়ুতে যে ধরণের ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবের ক্ষতিকর কারণ হতে পারে বায়ুর এমন অবস্থাকে বায়ু দূষণ বলা হয়।
  • বায়ুর যদি এমন পরিবর্তন ঘটে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশ বা জীব বৈচিত্রের উপরে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে তখন তাকে বায়ু দূষণ বলা হয়।
  • বায়ুতে থাকা ক্ষতিকর উপাদানের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে তখন তাকে বায়ুদূষণ বলা হয়।
  • বায়ুতে থাকা অস্বাভাবিক উপাদান মিশে যাওয়ার ফলে জীব এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি হয় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।

বায়ু দূষণ কাকে বলে

বায়ু দূষণ হচ্ছে মূলত বায়ুমন্ডলের মধ্যে থাকা এক ধরণের ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি, যা পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্য উভয়কে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে অর্থাৎ যখন পরিবেশের মধ্যে বায়ুমন্ডলে ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি অনেকগুণে বেড়ে যায় তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।

📌আরো পড়ুন 👇

আমরা জানি যে– বায়ুমন্ডলে যেসব মূল উপাদান অবস্থান করে তা হচ্ছে নাইট্রোজেন ৭৮.০৯%,অক্সিজেন ২০.৯৫%, কার্বন ডাই অক্সাইড ০.০৩%, এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাস ০.৯৩%। পাশাপাশি খুবই সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস রয়েছে। যেমন সামান্যপরিমাণে রয়েছে হাইড্রোজেন, কার্বন মনোঅক্সাইড, নিয়ন, হিলিয়াম, মিথেন এবং জলীয় বাষ্প।

এই উপাদানগুলি মূলত স্বাভাবিক মাত্রায় বায়ুমন্ডলে উপস্থিত থাকে যা্র প্রভাব পরিবেশ বা প্রকৃতির জীবের উপরে পড়ে না ফলে কোন ধরনের ক্ষতি হয় না। কিন্তু যখন এই ধরনের উপাদানের সাথে ক্ষতিকর পদার্থ গুলো অনেক বেশি পরিমাণে মিশে যায় তখন বায়ু তার প্রয়োজনীয় স্বাভাবিক কার্যাবলি চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়, যার পরিবেশে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।

বায়ু দূষণের প্রকারভেদ

বায়ু দূষণ প্রধানত ২ ভাগে বিভক্ত করা হয় যথা –

  • প্রাকৃতিক বায়ু দূষণ
  • মানবসৃষ্ট বায়ু দূষণ।

এছাড়াও বায়ু দূষণের বিভিন্ন প্রকারভেদ হয়েছে যেগুলো আসলে আপনি যখন বায়ু দূষণের প্রধান কারণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিবেন তখন এই বিষয়টি পরিস্কার ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই অবহেলা না করে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বায়ু দূষণের ১০টি কারণ

বায়ু দূষণের দশটি কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো–

  1. কলকারখানার কালো ধোঁয়া,
  2. অতিরিক্ত গাছপালা কেটে ফেলা,
  3. অতিমাত্রায় জ্বালানি তেলের ব্যবহার,
  4. কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি,
  5. যানবাহনের ধোঁয়া,
  6. গৃহস্থালী জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো,
  7. কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক,
  8. আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,
  9. বন জঙ্গলে আগুন এবং
  10. প্রাকৃতিক ঝড় অথবা প্রাকৃতিক অন্যান্য ঘটনা।

বায়ু দূষণের প্রভাব

যেগুলো প্রকৃতির ওপরও খারাপ প্রভাব বিস্তার করে তা হলো-

বায়ু দূষণ কি? বায়ু দূষণের প্রভাব ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উপায়

  • স্বাস্থ্যগত প্রভাব
  • পরিবেশগত প্রভাব,
  • অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রভাব
  • প্রাণিজগতের ওপর প্রভাব

এগুলো সম্পর্কে আলাদা ভাবে সংক্ষেপে বর্ণনা করব। যার ধারণা থাকা আমাদের সকলেরই থাকা উচিত।

১। স্বাস্থ্যগত প্রভাব

বায়ু দূষণের কারণে সবচেয়ে বাজে প্রভাব পড়ে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর। বিশেষ করে– অনেকের দেহে দেখা যায় শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন এজমা, ব্রংকাইটি, হাঁপানি, হার্টের রোগ এমনকি নানান প্রকারের মরনব্যধি ক্যান্সার হতে পারে। এর পাশপাশি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল ও চোখের সমস্যা দেখা দেয়।

২। পরিবেশগত প্রভাব

অতিরিক্ত পরিমাণে বায়ু দূষণ হলে বেড়ে যায় অ্যাসিড বৃষ্টি। যে বৃষ্টি আমাদের প্রকৃতি এবং প্রাণীকুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব পড়া মানে মানুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেওয়া।

৩। প্রাণী জগতের উপর প্রভাব

দূষিত বায়ু সর্বদা বন্যপ্রাণীর স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে। যার ফলে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়, বন্যপ্রাণীদের মধ্যে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় এমনকি অতিরিক্ত মৃত্য ঘটার ফলে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যায় এমন অনেক প্রাণী।

৪। অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রভাব

স্বাভাবিকভাবে যখন বায়ু দূষণ মানুষের উপর প্রাণীকুলের ওপর এবং প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তখন দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যতা বজায় রাখা সম্ভব হবে না এটাই স্বাভাবিক। কেননা বায়ু দূষণের ফলে কৃষিও হুমকির মুখে পড়ে আবার স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তো এখন আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে যে – এই বায়ু দূষণের কারণ ও প্রভাব তো নিলাম কিন্তু এটা প্রতিকার বা প্রতিরোধ করব কিভাবে? তাহলে চলুন, আমরা এই প্রশ্নের উত্তর নিচের অংশ থেকে জেনে আসি বায়ু দূষণে আপনি কিভাবে প্রতিকার এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উপায়

আমাদের মাঝে এমন অধিকাংশ ব্যক্তি রয়েছেন যারা বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে চাই। কিন্তু কিভাবে সঠিক উপায় বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করবে সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা নেই। মূলত আমরা তাদের সুবিধার জন্যই পোষ্টের এই পাঠে বায়ু দূষণ প্রতিরোধের বেশ কয়েকটি উপায় সমূহ তুলে ধরেছি।

📌আরো পড়ুন 👇

আপনি যদি এই অংশটুকু মনযোগ সহকাড়ে পড়েন, তাহলে আপনি আপনার এলাকায় যেভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে পারবেন সেই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে যাবেন। তাহলে আসুন, আর কথা না বাড়িয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যেভাবে  বায়ু দূষণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হল–

  • জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
  • জনগণের মধ্যে বায়ু দূষণের কারণ এবং এর প্রভাবগুলো অবগত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
  • আমাদের সকলকেই বায়ু দূষণ সমস্যার মোকাবেলার জন্য পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
  • বায়ু দূষণ রোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা এর পাশাপাশি নিজ ইচ্ছাই মানে ব্যক্তিগতভাবে বায়ু দূষণ রোধে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
  • বায়ু দূষণ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা সকলের মন থেকে দূর করতে হবে ।
  • বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে ।
  • প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা হিসেবে কলকারখানা শহরের বাইরে নিতে হবে, উন্নত জ্বালানি ব্যবহার করা এবং এর পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে কারখানা গুলো থেকে যেসব ক্ষতিকর ধোয়া রয়েছে সেগুলোর মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
  • এছাড়াও গাছের চারা রোপণের দিকে বেশ নজর দিতে হবে প্রতিটা পরিবার গ্রাম, ও দেশের মানুষকে।

ব্যাস, বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করার জণ্য এতটুকুই যথেষ্ট। আমরা যদি এভাবে নিজ নিজ এলাকা, জেলা এবং দেশের মানুষের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারি এবং আমরা নিজেরা সচেতন হই তাহলে ধীরে ধীরে বায়ু দূষণ প্রতিকার করা সম্ভব হবে।

বায়ু দূষণের প্রতিকার

ইতোমধ্যে আমরা বায়ু দূষণের কারণগুলো জেনেছি। যেগুলোর মধ্যে মানব সৃষ্ট কারণ হচ্ছে কলকারখানার অতিরিক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি এবং মানুষের করা বিভিন্ন কর্মকান্ড। তাই আমরা যদি বায়ু দূষণ ঠেকাতে চাই সেক্ষেত্রে–

  • অতিরিক্ত জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে
  • এমন জিনিস পুরানো থেকে বিরত থাকতে হবে যেগুলো অতিমাত্রায় দূষক পদার্থ উৎপাদন করে। যেমন– কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস।
  • গাছপালা সব সময় আমাদের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নিজেরা শোষণ করে, ফলে এটা বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই বায়ু দূষণ ঠেকাতে গাছপালা কাঁটা বন্ধ করতে হবে।
  • বন জঙ্গল ধ্বংস করা এড়িয়ে চলতে হবে।

বায়ু দূষণ সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs)

বায়ু দূষণের প্রধান প্রাকৃতিক কারণ কোনটি?

বায়ু দূষণের প্রাকৃতিকভাবে যেগুলো কারণ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত। এছাড়াও জঙ্গলে হঠাৎ আগুন লেগে যাওয়া অথবা প্রাকৃতিক ঝড়ের কারণে বায়ু দূষণ হয়।

কোন দেশে সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণ হয়?

চীন ও ভারত উপমহাদেশে বেশ কিছু বড় শহর রয়েছে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। তবে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে প্রচূর পরিমাণে গাছ পালা কেটে ফেলা হচ্ছে যার ফলে এখানেও বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে অতিমাত্রায়।

গাছ লাগালে কি বায়ু দূষণ কমে যাবে?

হ্যাঁ অবশ্যই, গাছ বেশি বেশি লাগালে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করা যায়। এর কারণ হচ্ছে মূলত সবুজ গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া করার সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে সে সাথে অক্সিজেন উৎপাদন করে। তাই বায়ুর গুণগতমান উন্নত করতে হলে আমাদের অতিরিক্ত গাছ লাগাতে হবে এর কোন বিকল্প নেই।

বায়ু দূষণ সম্পর্কে লেখকের মতামত

পরিবেশের জন্য বায়ু আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবহার্য উপাদান। আর এই বায়ু দূষণের সমস্যা মূলত আমাদের বাংলাদেশসহ সারা সমস্যা বিশ্বব্যাপী জুড়ে তৈরিকৃত একটি সমস্যা, তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে বায়ু দূষণ প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া।

তাই আসুন আমরা সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক হই, বায়ু দূষণ প্রতিরোধে যে যত পারি বেশি আমাদের বাড়ির আশে পাশে কিংবা শহরের আংগিনায় গাছ লাগাই এবং বায়ু দূষণের কারণগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় বায়ু দূষণের পরিমান ধীরে ধীরে কমে যাবে।

আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বায়ু দূষণ সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে বা তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment