আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ ইত্যাদি সকলেই মানুষ। তবে এই মানুষের মাঝেই বিভিন্ন বৈচিত্র্যতা রয়েছে এছাড়া রয়েছে জাত-পাত এবং ধর্মের বিভিন্নতা। সাধারণ জ্ঞান অর্জন করার জন্য হলেও আমাদের সকলকে এ-বিষয়ে ধারণা রাখার প্রয়োজন আছে। এ কারণে আমরা আজকের এই নিবন্ধে আদিবাসী কাকে বলে সেই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করব।
তো আপনি যদি একজন একাডেমিক শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য আদিবাসী নগরগোষ্ঠী এবং আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখা প্রয়োজন। আর আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই আজকের এই সম্পন্ন আর্টিকেলজুড়ে আদিবাসীর অদ্যপন্ত নিয়ে আলোচনা করেছি।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আদিবাসী কাকে বলে, উপজাতি ও আদিবাসীর মধ্য পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এর পাশাপাশি আদিবাসী এর উৎপত্তি, আদিবাসীদের ধর্ম কি আদিবাসী শব্দের প্রাচীনত্ব ও ব্যবহার ও বিশ্বজুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচিতি সহ আদিবাসীসম্পর্কে আরও প্রয়োজনীয় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব। এগুলো বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই পোষ্টটি শেষ অবদি পড়ুন।
আদিবাসী কাকে বলে
আদিবাসী বলতে মূলত সেসব জাতিদের বোঝায় যাদের স্বকীয় ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি ও পোশাক পরিচ্ছদ সব কিছুকে আঁকড়ে ধরে আধুনিকতার স্পর্শ ছাড়া যেসব আনাগোনা চলতে থাকে তাদেরকেই আদিবাসী বলে। তবে তাদের আদিবাসী ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভিন্ন নামে সম্বোধন করা হয়। যেমন– ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতি সত্তা, আদিবাসী মানুষ ইত্যাদি।
অতএব যারা মূলত সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী, সরাসরি একটা নির্দিষ্ট ভূগোলিক অঞ্চলের প্রাচীনতম পরিচিতি বাসিন্দাদের বংশধর হিসেবে পরিচিত এবং এর পাশাপাশি কিছু পরিমাণে সেই আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি পরম্পরায় ধরে রাখতে পারে তারাই হচ্ছে আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
আদিবাসী বলতে কি বোঝায়
আদিবাসী বলতে সেসব জাতিদের বোঝায় যারা কোন অঞ্চলের প্রাচীনতম বাসিন্দা হসিএবে পরিচিত, যারা মূলত সুনির্দিষ্ট একটি ভূমিতে বসবাসরত অবস্থায় রয়েছেন এবং সেই স্থানের প্রথম বা মূল অধিবাসী হিসেবে জায়গা দখল করেছে। এর পাশাপাশি তাদের নিজস্ব কিছু সংস্কৃত, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে একটি আলাদাভিত্তিক সামাজিকতা ধরে রেখেছে তারাই হলো আদিবাসী। আর এসব আদিবাসীর আনাগোনা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ আরও অন্যান্য দেশেও রয়েছে।
📌আরো পড়ুন 👇
তো আশা করছি আদিবাসী কাকে বলে বা কাদেরকে বলা হয় তা হয়তো এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। তবে আদিবাসী নিয়ে আরও ক্লিয়ার ধারণা পেতে আমাদের সাথে শেষ অবদি থাকুন। এবার নিচের অংশে আমরা আদিবাসী এর উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিব।
আদিবাসী এর উৎপত্তি
আদিবাসী শব্দটি মূলত ইংরেজি শব্দ indigena থেকে এসেছে। এটি একটি লাতিন শব্দ হিসেবে পরিচিত। এর অর্থ হচ্ছে ভূমি থেকে উদ্ভূত স্থানীয়। চিন্তাবিদরা অনেক ভাবনা চিন্তার পর বলেছেন– “আদিবাসী” শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে “মূলবাসিন্দা” বা “প্রাচীন জনগোষ্ঠী”। এটি আসলে সেসব জনগোষ্ঠীকে বোঝায়, যারা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মূল অধিবাসী হিসেবে বিবেচিত হয়।
“আদি” শব্দের অর্থ “মূল”, আর “বাসী” শব্দের অর্থ “বসবাসকারী”। ফলে “আদিবাসী” বলতে সেই সকল জাতিদের বোঝায়, মূলত যারা কোন ভূখণ্ডে প্রাচীনকাল বা আদিমকাল থেকে বাস করে আসছে এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও জীবনযাত্রা রয়েছে।
একইভাবে আন্তর্জাতিক ভাবে বলতে গেলে এই শব্দটির মাধ্যমে আসলে সেইসব জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলজুড়ে প্রথম জনগোষ্ঠী এবং এর পাশাপাশি যারা নিজেদেরকে প্রথা ও ঐতিহ্যর মধ্য দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে আসছে। আর আদিবাসী শব্দটিকে সমার্থক শব্দের উপর ভিত্তি করে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে “Indigenous Peoples” বা “Native Peoples”.
উপজাতি কাকে বলে
মানুষ পৃথিবীর মানব সম্প্রদায়ের উপর বিত্তি করে বিভিন্নস্থানে বিভিন্নভাবে বসবাস করে আসছে। আর তারা বসবাস করতে গিয়ে বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়। একই দেশে যেসব মানব সম্প্রদায়ের মানবজাতি বসবাস করে তাদের কিছু আচরণ ভেদে অন্যান্য মানুষ থেকে আলাদা করা হয়। উপজাতি হলো ঠিক এমনই এক মানবগোষ্ঠী যাদের আচার ও আচরণের জন্য তাদেরকে উপজাতি বলা হয়।
অন্যভাবে বা আরও পরিস্কার ভাবে বলতে গেলে, যদি দুটো শ্রেণিবাচক পদের মধ্য একটার ব্যক্ত্যর্থ অন্যটার ব্যক্ত্যর্থ অপেক্ষা কম এবং কম ব্যক্ত্যর্থযুক্ত শ্রেণি বেশি ব্যক্ত্যর্থযুক্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে কম ব্যক্ত্যর্থসম্পন্ন শ্রেণিকে বেশি ব্যক্ত্যর্থসম্পন্ন শ্রেণির ‘উপজাতি’ বলা হয়।
উপজাতি ও আদিবাসী পার্থক্য
“আদিবাসী ” এবং “উপজাতি” সম্পর্কিত এক ধরণের পদ, কিন্তু এদের মধ্যে সামান্য ভিন্নতা রয়েছে।
📌আরো পড়ুন 👇
একটি “আদিবাসী ” মানবজাতির জন্য একটি সামাজিক গোষ্ঠী যারা মূলত সংস্কৃতি, ভাষা এবং ইতিহাস ভাগ করে। আদিবাসী পুরো বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান রয়েছে এবং তাদের প্রায়শই নিজস্ব ঐতিহ্যগত রীতিনীতি, বিশ্বাস এবং জীবনযাপন করার কিছু উপায় থাকে। অতীতে, আদিবাসী বেশিরভাগ সময়ে আত্মীয়তার বন্ধনের আশেপাশে সংগঠিত হয়ে থাকে এবং ছোট, গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলিতে বসবাস করত।
আর অপরিদকে “উপজাতি” হল একটি বিশেষণ যার মাধ্যমে একটি উপজাতির সাথে বৈশিষ্ট্যযুক্ত কিছু বর্ণনা বা বিশ্লেষন করতে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, “উপজাতীয় রীতিনীতি” একটি নির্দিষ্ট উপজাতির কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী প্রথাকে নির্দেশিত এবং “উপজাতি শিল্প” একটি উপজাতির সদস্যদের দ্বারা নির্মিত শিল্পকে বোঝায়।
সহজ ভাষায় “উপজাতি ” বলতে এমন একটি গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা একটি সাধারণ সংস্কৃতি এবং ইতিহাস ভাগ করে গঠন করে, যখন “আদিবাসী” এমন একটি বিশেষণ যা সেই গোষ্ঠীর সাথে বৈশিষ্ট্যযুক্ত কিছু বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। তো আশা করছি এতক্ষণে আপনারা এই অংশ থেকে উপজাতি ও আদিবাসীর মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, আদিবাসীদের ধর্ম কি তা জেনে নেওয়া যাক।
আদিবাসীদের ধর্ম কি
আদিবাসীরা মূলত একটি সাধারন আদিবাসী ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হয়ে শামীল থাকে। আর একইভাবে তাদের ধর্ম প্রকৃতিভিত্তিক অর্থাৎ তারা নদী পাহাড়, চন্দ্র, সূর্য, পশুপাখি, প্রকৃতি, গাছ গাছালি ইত্যাদি জিনিসের পূজা করে থাকে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল তারা এগুলোকেই ঈশ্বর মনে করে।
আদিবাসী ধর্ম বলতে আপনি যদি ভারত-বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের বিভিন্ন স্থানভেদে অনুযায়ী এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রাচীন এবং নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণের কথা বলেন তাহলে সেক্ষেত্রে এদের ধর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো হবে যেমন–
- প্রকৃতি পূজা
- আত্মা এবং পূর্বপুরুষ পূজা
- বিভিন্ন ধরণের আচার অনুষ্ঠান ও
- উৎসবের মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতির চর্চা।
বাংলাদেশের আদিবাসী কারা
আপনি যদি উপরের অংশ থেকে আদিবাসী কাকে বলে বা আদিবাসী বলতে কি বোঝাত তা ইতিমধ্যে জেনে থাকেন কিংবা এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে ফেলেন তাহলে আমাদের বাংলাদেশে আদিবাসী কারা জানতে খুব একটা সমস্যা হবে না। যাই হোক বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে অবস্থান করছে তাদের একটি তালিকা বা নাম গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো–
- গারো
- মনিপুরী
- খাসিয়া
- মুরং
- বম
- চাকমা
- মারমা
- সাঁওতাল
- তঞ্চঙ্গা এবং
- পাহাড়ি ত্রিপুরা
এদের মধ্যে যাররা চাকমা আদিবাসি রয়েছেন তারা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান আদিবাসী গোষ্ঠী হিসেবে সুপরিচিত এবং যারা নিজেদের সংস্কৃতি ও ভাষায় সমৃদ্ধ। এর পাশাপাশি মারমা গোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে আগত জাতি যারা দেশের বিভিন্ন ধরণের পার্বত্য এলাকায় বসবাস করে।
- সাঁওতাল হল আমাদের দেশের উত্তর অঞ্চলে বসবাসরত বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী,
- গারো ময়মনসিংহ ও শেরপুর এলাকায় বসবাসকৃত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর অনুসারী আদিবাসী,
- মনিপুরী বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী,
- মরন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী আদিবাসী।
- অন্যদিকে বম এবং তঞ্চঙ্গা পার্বত্য এলাকার আরো দুইটি আদিবাসী জাতি।
এদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা সামাজিক প্রথা, নিজস্ব ঐতিহ্য এবং ধর্মবিশ্বাস রয়েছে, যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের একটি বিরাট অংশ।
আদিবাসী শব্দের প্রাচীনত্ব ও ব্যবহার
আদিবাসী শব্দটি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দেশে আলাদা অর্থে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত ঔপনিবেশিক শাসনের সময়কালে যারা ইউরোপীয় ছিলেন মূলত তাদের নতুন দখলকৃত অঞ্চলের স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোকে এই আদিবাসী শব্দের প্রাচীনত্ব নামে অভিহিত করত।
আজকের দিনে, জাতিসংঘের বিভিন্ন ধরণের সংগঠন রয়েছে যেগুলো মূলত আদিবাসীদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে থাকে এবং এর পাশাপাশি “আদিবাসী” শব্দটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রাগৈতিহাসিক একটি বিশেষ শ্রেণির জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। আশা করছি বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচিতি
বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলজুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেমন–
- আমেরিকার আদিবাসী – লাতিন আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন অংশে চিরাচরিত আদিবাসী হিসেবে অবস্থান করছে মায়া, ইনুইট, চেরোকি এবং নাভাহো ।
- আফ্রিকার আদিবাসী – আফ্রিকায় বেশ কয়েকটি স্থান যেমন মাদাগাস্কার, মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী অবস্থান করছে যেমন– সান এবং পিগমি।
- অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী – যারা আদীমকালের তারাই মূলত সেখানে বসবাস করছে।
তাছাড়া এশিয়া মহাদেশে অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশসহ ভারত, মায়ানমার থাইল্যান্ড ইত্যাদি আরও বিভিন্ন অংশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি বিরাজমান রয়েছে।
আদিবাসী সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমাদের আজকের আদিবাসী কাকে বলে এই নিয়ে আলোচনা এই পর্যন্তই। পরিশেষে বলা যায় সাধারনত আদিবাসী একটি বিশেষ জাতি বা সত্তা। সর্বপ্রথম ইউরোপীয়রা ডিজিটাল প্রেক্ষাপটে এই আদিবাসি শব্দটি ব্যবহার করেছিল। আর তাদেরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা সমালোচনা রয়েছে।
আর আসল কথা হল এদের উৎপত্তি স্থল থেকে শুরু করে ইতিহাস এবং জীবনযাত্রা অবদি খুব বৈচিত্র্যময়।। যেগুলো নিয়ে বর্ণনা করতে গেলে আজকের এই আর্টিকেল শেষ করা যাবে না। সুতরাং আদিবাসী হচ্ছে এমন একটি সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠী যা সরাসরি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রাচীনতম পরিচিত বাসিন্দাদের বংশধর এবং সেই আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি কিছু পরিমাণেবজায় রাখে।
আমরা ইতিমধ্যে আদিবাসী কাকে বলে এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আদিবাসী এর উৎপত্তি, বিশ্বজুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পরিচিতি, আদিবাসী শব্দের প্রাচীনত্ব ও ব্যবহার ও বাংলাদেশের আদিবাসী কারা এবং উপজাতি ও আদিবাসী পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আদিবাসী সম্পর্কে এসকল বিষয়ে ক্লিয়ার হয়েছেন।
আদিবাসী সম্পর্কিত আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত বা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো শিক্ষামূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে বা বিভিন্ন জরুরি তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।