রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা

আপনারা হয়তো জানেন যে– রাষ্ট্র সমাজের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যা মূলত সমাজভুক্ত মানুষের সমগ্র জীবন পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেকেই প্রশ্ন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও, রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর উৎপত্তি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেন পড়বেন এ-সম্পর্কে।

তাই আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে– রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পর্কে এ টু জেড জানাবো। অতএব আপনি আপনার সাধারণ জ্ঞান বিকশিত করতে কিংবা আপনার পরীক্ষার খাতায় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখতে আমাদের আজকের এই নিবন্ধনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।

কেননা এই আর্টিকেলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও, রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেন পড়বেন সেই সম্পর্কে অবগত হবেন। এছাড়াও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উৎপত্তি ও মূল লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই চলুন, আর কথা না বাড়িয়ে প্রথমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে তা জেনে নেওয়া যাক।

Table of Contents

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে মূলত এক ধরণের সামাজিক বিজ্ঞান, যা সরকার, রাজনীতি, রাষ্ট্র এবং ক্ষমতার সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করে। এটি মানবসমাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত যা একটি রাষ্ট্রের কার্যক্রম এবং এর মাধ্যমে সর্বদা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থার ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকে।

📌আরো পড়ুন 👇

সহজ ভাষায় বলতে গেলে– সরকারের রাজনৈতিক কার্যক্রম, রাষ্ট্রের কাঠামো ক্ষমতার বিতরণ এবং প্রভাব নিয়ে গবেষণার একটা শৃঙ্খলা হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান। এটাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ফুটে ওঠে।

সেগুলো অবশ্য আমরা নিচে একেবারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাহলে চলুন, রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা এটাকে কি কি সংজ্ঞায়িত করেছেন তা নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও

মানুষের রাজনৈতিক জীবনের সাথে জড়িত প্রতিটা বিষয়াদি ও কার্যাবলী নিয়ে যে শাস্ত্র বিজ্ঞানভিত্তিক বিশেষ আলোচনা সভায় গবেষণা করা হয় তাকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলা হত। আর এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে একেকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্ন সংজ্ঞায়িত করেছে। নিচে কিছু রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নামসহ সংজ্ঞা উল্লেখ করছি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জর্জ ক্যাটলিন (George Catley) এর মতে– রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজে মানুষের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দান করে এবং সমাজে মানুষের বিভিন্নমুখী বিশদ বিবরণ দান করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পল জানেট (Paul Janet) এর মতে– রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সামাজিক বিজ্ঞানের সেই শাখা, যা রাষ্ট্রের ভিত্তি ও সরকারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করে।

জনপিয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক লাস্কি (Professor Lasky) এর মতে– সংগঠিত রাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে মানব জীবনের আলোচনায় হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

অতএব, উপরের উল্লিখিত প্রতিটার সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান মূলত একটি সামাজিক বিজ্ঞানের এমন একটা শাখা, যেখানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচিত হত যথাঃ

  • সর্বদা রাষ্ট্র ব্যবস্থা,
  • সরকারের কাঠামো,
  • বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
  • রাজনৈতিক আচার-আচরণ,
  • একটি রাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন,
  • একটি রাষ্ট্রের নিয়ম নীতি
  • বহুভেদ রাজনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক
  • বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা পর্যালোচনার কেন্দ্রস্থল।

আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও” এই বিষয়ে পরিক্ষায় প্রশ্ন আসলে এর সঠিক উত্তরটি যথাযথভাবে দিতে পারবেন। আর বিভিন্ন জনপিয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি দিয়েছেন সেগুলোও চাইলে উল্লেখ করতে পারবেন।

📌আরো পড়ুন 👇

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা তো জানলেন, এবার রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা কি কি সেই বিষয়েও জেনে নেওয়া যাক।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা হিসেবে এককথায় বলা যায় যে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্র যা ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্ককে অনেক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। এটি মূলত নিজ দেশের রাজনীতি, শাসন, এবং নাগরিক জীবনকে গভীর জ্ঞান প্রদান করে। যা মানবজাতির সচেতন ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত উল্লেখ করা হল:

১. রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি

রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞানকে বিকশিত করতে সহায়তা করে থাকে। এটি পাঠ করার মাধ্যমে জাতির রাজনৈতিক চেতনাগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে পারে, যা তাকে সঠিকভাবে রাজনীতি বোঝার এবং মূল্যায়ন করার মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদান করে।

২. ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বাড়াতে সহায়তা করে। এটি আমাদের সকলের প্রতি অধিকার, কর্তব্য, এবং দায়িত্ব সম্পর্কে বেশেষ সচেতন গড়ে তোলে, যা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. গণতন্ত্রের বিকাশ

গণতন্ত্র হল মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণা, সর্বোৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা, নীতি এবং প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচিত একটি পন্থা হিসবে আলোচিত যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ভোটাধিকার, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার সম্পর্কে জ্ঞান বিকশিত করতে সহায়তা করে।

৪. সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি সুসংগঠিত ও সুস্থ সমাজ গঠন করতে অনেক প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদান করে থাকে। এটি সামাজিক আইন, শৃঙ্খলা, ব্যবস্থা, এবং ন্যায়বিচার সম্পর্কে সকলকে বিভিন্ন জরুরি তথ্য প্রদান করে, যা সমাজের স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্য অপরিহার্য।

৫. নেতৃত্ব তৈরির সূতিকাগার

রাষ্ট্রবিজ্ঞান নেতৃত্বের ধারণা সূতিকাগার বলতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করে। এটি নেতৃত্বের মূল অবকাঠামো বিকাশিত করে এবং দক্ষ নেতার গুণাবলী সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান প্রদান করে, যা নেতৃত্ব গঠন করতে অনেক সহযোগিতা করে।

৬. সুনিশ্চিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ

রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদের মানবজাতির নেতাদের সু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা প্রদান করে। এছাড়াও এটি সরকার গঠনের নীতি, কার্যক্রম এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়।  যা সকলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক।

৭. কুসংস্কার দূরীকরণ

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কুসংস্কার এবং অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে। এটি আমাদের সুস্থ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে সহায়ক জ্ঞান প্রদান করে, যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে আধুনিক ও মুক্ত করে।

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উৎপত্তি

আজ থেকে হাজার বছর আগের রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের চিন্তাভাবনা থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল উৎপত্তি এসেছে। প্রাচীন গ্রিসের প্লেটো এবং এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে রচিত করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দর্শন তাদের এই আধুনিকতর দিসবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও? রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা

এর পরবর্তী সময়ে রেনেসাঁ এবং আধুনিক যুগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আরও জটিল আকার ধারণ করে। এক কথায় বলা যায় যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস ও উৎপত্তি তুলনামূলক অনেক পুরনো ও বেশ জটিল। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিকশিত হওয়ার ফলে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি, জন লক, এবং কার্ল মার্কসের মত দার্শনিকদের চিন্তা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ধারা নিয়ে ১৯শ এবং ২০শ শতকে বিভিন্ন নতুন তত্ত্ব ও গবেষণা শুরু হয়, যা আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করে। যাইহোক– এখন জানার বিষয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব ঠিক কতটুকু এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোন বিজ্ঞানের শাখা!

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেন পড়বেন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রতিটা সমাজে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। সাধারণত প্রতিটা মানুষের ও একটি সামাজিকতার মাঝে রাজনৈতিক সম্পর্ক, ন্যায় বিচার এবং সরকারের প্রভাব বিশ্লেষণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান কাজ।

আর এটি শুধুমাত্র রাজনীতি ও সরকারের ভ্যালু বোঝার প্রেক্ষিতে জরুরি নয় বরং ব্যক্তি স্বাধীনতা গণতন্ত্র এবং সুশাসনের ভিত্তি নিয়ে গবেষণা করে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের গুরুত্ব অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আমরা যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি তাহলে সেক্ষেত্রে–

  • গণতন্ত্র ও নাগরিকত্বের উন্নয়ন সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে
  • নীতির গঠন ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে বিশেষায়িত ধারণা অর্জন করা সম্ভব হবে
  • সামাজিক ন্যায় ও সুবিচার সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে
  • সেইসাথে শাসনব্যবস্থার বুঝদারির সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে

কেননা রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রতিটা জনগনের একটি অধিকার ও দায়িত্ব বুঝতে অনেক সহায়তা করে, আবার শাসন ব্যবস্থার কয়েকটি আকার ও তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়, সরকারের নীতি প্রক্রিয়া ও অর্থনৈতিক সমস্যা দূরীকরণে পন্থা বিশ্লেষণ করে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সুবিচারের ধারণাকে বুঝতে সাহায্য করে।

তো আপনারা নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন যে এর গুরুত্ব কতটুকু। আর যদি প্রয়োজনীয়তার কথা তো আমরা ইতিমধ্যে উপরের অংশে আলোচনা করেছি। তবুও সংক্ষেপে বলি যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠে সুশাসনের উন্নয়ন ঘটে, আমাদের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ে, সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব হয় ইত্যাদি।

তাই প্রতিটা মানবজাতিকে তার নিজের দেশের জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে জেনে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়, সামাজিক পরিবর্তনে এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজেরা জানি এবং অন্যদেরকেও এই বিষয়ে অবগত করি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য

আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা জেনে থাকলেও এর লক্ষ্য কি তা হয়তো জানি না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মূলত সমাজ ও রাষ্ট্রের যেগুলো স্তরে রয়েছে সেগুলো কিভাবে শক্তি, ক্ষমতা, এবং ন্যায়বিচার কাজ করে থাকে তা সতত্য যাচাই করে বিশ্লেষণ করা। অতএব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য গুলোর মধ্যে যেগুলো বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হল–

  • রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও ন্যায়বিচার পরিচালিত করা
  • বিভিন্ন ধরনের সরকারের কাঠামো ও তাদের সতত্য যাচাই সম্পাদন
  • নীতির বিশ্লেষণ নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিত করণ
  • রাজনৈতিক তত্ত্ব ও দর্শন নিয়ে বিশ্লেষণ করা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোন বিজ্ঞানের শাখা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা। এটি রাষ্ট্র সরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নীতিমালা এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিক অধ্যান করে। সাধারণত রাষ্ট্রবিজ্ঞান নীতি, প্রভাব, রাষ্ট্রের কাঠামো ও সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর প্রভাবশালী বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে থাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান। যেগুলো সামাজিক বিজ্ঞানের অংশ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত সাধারন জিজ্ঞাসা (FAQs)

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

নিকোলো মেকিয়াভেলি আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক ছিলেন।

প্রথম কে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করেন?

গ্রেট দার্শনিক অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

বাংলাদেশের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন জনক নেই। আর বাংলাদেশের সমাজ বিজ্ঞানের পথিকৃৎ মনে করা হয় মূলত ডঃ এ কে নাজমুল করিম কে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অ্যারিস্টোটল।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে লেখকের মতামত

তো পাঠক বন্ধুরা  যেহেতু উক্ত আলোচনা থেকে আপনারা এতটুকু স্পষ্ট যে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পর্ক অনেক গভীর। রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। তাই আসুন আমরা সকলেই নিজ দেশকে রক্ষার্থে, প্লাস্টার কাঠামো গত উন্নতিতে ভূমিকা বজায় রাখতে, অথবা নিজের সাধারণ জ্ঞান বিকাশিত করার জন্য হলেও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা দিকে মনোযোগ দেই।

আমরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেন পড়বেন এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে এসকল বিষয়ে ক্লিয়ার হয়েছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাঝে কোন ধরণের মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। এমন আরো তথ্যমূলক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে বা বিভিন্ন জরুরি তথ্য পেতে আমাদের এই কাটিং টু ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment