মৌল ও যৌগ কাকে বলে – অবস্থান্তর ও নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে

মৌলিক পদার্থ কাকে বলে, মৌল ও যৌগ কাকে বলে এবং অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো আপনি কি মৌল ও যৌগ কাকে বলে সেই  সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আজকের এই ব্লগটি আপনার জন্য খুবই উপকার হতে চলেছে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা যদি কিছুটা সময় অপচয় করে আজকের এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে একেবারে শেষ অবদি পড়েন, তাহলে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে মৌল ও যৌগ কাকে বলে তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে এবং ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নামগুলো জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পরে নেয়ার অনুরোধ রইল।

উপস্থাপনা

সাধারনত পদার্থ বলতে আমরা প্রকৃতির অন্তহীন বৈচিত্র্যের মূলে লুকিয়ে থাকে মৌলকেই বুঝি। মৌল হচ্ছে মূলত প্রকৃতির মৌলিক একটি উপাদান, যা আর কোনোভাবেই বিভক্ত করা যায় না।এক ধরণের পরমাণু দিয়ে এরা গঠিত হয়, যাদের নিউক্লিয়াসে একই সংখ্যক প্রোটন বিদ্যামান রয়েছে। ইলেকট্রন বিন্যাস এর উপরেই মৌলের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়।

তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো মৌল ও যৌগ কাকে বলে, অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে এবং ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে আমরা মৌল কাকে বলে সেই সম্পর্কে জানবো।

মৌল কাকে বলে

রাসায়নের ভাষায়, মৌল হচ্ছে এমন একটি পদার্থ যা মুলত বিভক্ত করা সম্ভব হয় না। অন্যভাবে বলতে গেলে পরমাণুর মৌলিক রূপই হচ্ছে মৌল, যা মূলত একই ধরণের ইলেকট্রন ও প্রোটনের সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটনের সংখ্যার উপর মৌলের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়। এই প্রোটনের সংখ্যার যে ভিন্নতা রয়েছে সেটা বিভিন্ন মৌলকে আলাদা করে তোলে। আপনি কি জানেন প্রকৃতিতে মোট ১১৮ টি মৌল আবিষ্কৃত হয়েছে।

মৌলগুলোকে ধাতু, অধাতু, ল্যান্থানাইড, অ্যাক্টিনাইড, উচ্চ-তেজস্ক্রিয় ইত্যাদি নানান ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি বিভাগের মৌলগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্যতা ও আচরণমূলক অনুসূচনা থাকে। এই মৌলগুলো সাধারনত প্রকৃতিতে বিভিন্ন রূপে বা বিভক্তে পাওয়া যায়। কিছু মৌল রয়েছে, উদাহরণসরূপ সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতিতে খনিজ আকারে পাওয়া যায়।

অপরদিকে, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি মৌল বায়ুমণ্ডলে যৌগ হিসেবে রয়েছে। মৌল মূলত আমাদের জীবনে অপরিহার্য একটি উপাদান। আমাদের চারপাশের পানি, বায়ু খাদ্য প্রভূতি সবকিছুই মৌল দ্বারা গঠিত। আমাদের দেহেও নানান ধরণের মৌল অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। আশা করছি মৌল কাকে বলে এ বিষয়ে নিশ্চয় এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন মৌলিক পদার্থ কাকে বলে সেটা জেনে নেওয়া যাক।

মৌলিক পদার্থ কাকে বলে

যেগুলো পদার্থকে মুলত অতি ক্ষুদ্রতম অংশে ভাঙ্গলেও তা একই ধরনের পদার্থতাব্যতিত অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না, সেগুলোকেই মৌলিক পদার্থ হলে। এই মৌলিক পদার্থের অণু-পরমানু গুলো বলতে গেলে একই ধরনের এক বা একের বেশি পরমাণু দ্বারা গঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ হিসেবে, হাইড্রোজেন (H) একটি মৌলিক পদার্থ। হাইড্রোজেনের অণু (H2) দুটি একই ধরনের হাইড্রোজেন পরমাণু (H) দ্বারা তৈরি।

মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য

আপনারা অনেকেই মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য নিয়ে গুগলের কাছে প্রতিনিয়ত জানতে চান, এজন্য আমরা এই পাঠে আপনাদের সুবিধার জন্য মৌলিক পদার্থের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো —

  • প্রতিটি মৌলেরই নিজের একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য থাকে।
  • পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয় মূলত প্রতিটি মৌলের উপর ডিপেন্ড করে। এগুলো কে পরমাণু সংখ্যা বলা হয়। পরমাণু সংখ্যা মৌলের একটি মৌলকে অন্য মৌল থেকে আলাদা করে।
  • প্রতিটা মৌলের পরমাণুর গড় ভর হিসেবে নির্দিষ্ট থাকে। যা মূলত পরমাণু ভর হিসেবে বিবেচিত আছে। পরমাণু ভর মূলত নিউট্রনের সংখ্যা এবং পরমাণুতে প্রোটনের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
  • সাধারণ তাপমাত্রা ও চাপে মৌলিক পদার্থ মোট ৩ টি অবস্থায় ( যেমন কঠিন, তরল, বায়বীয়) অবস্থায় বিদ্যমান থাকে।
  • মৌলিক পদার্থ একে অপরের সাথে মিশে একটি যৌগ তৈরি করে। কিন্তু যদি মৌলিক পদার্থের সাথে অন্য কোন পদার্থ মেশানো হয় সেটা যৌগ হিসেবে গঠন করা যায় না।

উপরের উল্লিখিত মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য ছাড়াও মৌলিক পদার্থের আরও বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আশা করছি আপনারা উপরের অংশটুকু পড়ে মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো এতক্ষণে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন। এবার চলুন অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে সেটা জেনে নেওয়া যাক।

অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে

প্রকৃতিতে বেশ কয়েকটি মৌলের পরমাণু রয়েছে যেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের পর অন্য মৌলে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে অনেক সময় রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয় বলা হয়। যেসব মৌল এই রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয় হওয়ার ফলে অন্য মৌলে পরিণত হয়ে যায়, সেগুলোই অবস্থান্তর মৌল হিসেবে পরিচিত।

অবস্থান্তর মৌলের নিউক্লিয়াস মূলত স্থির থাকে না। এই স্থির না থাকার কারণে নিউক্লিয়াস থেকে এক ধরণের কণা নির্গত হয় এবং এর পাশাপাশি নিউক্লিয়াসের নিউট্রন ও প্রোটনের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়। যার ফলে এই অবস্থান্তর মৌল অন্য মৌলে অবস্থান করে। তো আশা করছি অবস্থান্তর মৌল সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে তা জেনে নেওয়া যাক।

নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে

নিষ্ক্রিয় মৌল বলতে সেসব মৌলকেই বোঝায় যেগুলো প্রকৃতিতে বিদ্যমান মৌলের পরমাণু রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয়ের মাধ্যমে অন্য কোন মৌলে পরিণত বা রূপান্তর হয় না। এই মৌলগুলোকে মূলত আমরা নিষ্ক্রিয় মৌল হিসেবে জানি। নিষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াসগুলো অবশ্যই স্থির।

রেডিওঅ্যাক্টিভ ক্ষয় হওয়ার ফলেও এর পরমানুগুলো পরিবর্তিত হয় না। নিষ্ক্রিয় মৌলের সংখ্যা মোট ৮৬ টি মৌল নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সবচেয়ে নিস্ক্রিয় ও অতি হালকা মৌল হচ্ছে হিলিয়াম (He) এবং সবথেকে ভারী নিষ্ক্রিয় মৌল হচ্ছে বিসমাথ (Bi)। আশা করছি নিষ্ক্রিয় মৌল সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন যৌগ কাকে বলে তা জেনে নেওয়া যাক।

যৌগ কাকে বলে

আমরা যৌগ নামে চিনি প্রকৃতিতে এমন মৌল নামক মৌলিক পদার্থ নানানভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ গঠন করে থাকে। রাসায়নিক বন্ধনের এর সহায়তায় দুই বা ততোধিক মৌলের পরমাণু নির্দিষ্ট অনুপাতে বিভক্ত হয়ে একটি যৌগ গঠিত হয়।

আরো পড়ুন 👇

যৌগের বৈশিষ্ট্যতা অনেক সময় মৌলের বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে। যেমন  পানি (H2O) যৌগটি মূলত হাইড্রোজেন (H) এবং অক্সিজেন (O) নামক দুটি মৌল দ্বারা গঠিত। কিন্তু পানির বৈশিষ্ট্য অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন এর বৈশিষ্ট্যের থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা হয়।

এই যৌগগুলোকে সাধারনত কয়েকটি ভাগে বিভক্তে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। যেমন,

  • জৈব যৌগ
  • অজৈব যৌগ
  • অধাতব যৌগ
  • ধাতব যৌগ
  • সমযোজী যৌগ
  • আয়নিক যৌগ ইত্যাদি।

উপরের উল্লিখিত যৌগগুলো নিজস্ব আচরণ হিসেবে প্রতিটি বিভাগের যৌগ হিসেবে বিদ্যামান। প্রকৃতিতে এই যৌগগুলো আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। খনিজ, শিলা, পানি, বায়ু, জীবন্ত প্রাণীর দেহ ইত্যাদি প্রতিটা জায়গায়ই যৌগের উপস্থিতি সবসময় দেখা যায়।

যৌগিক পদার্থ কাকে বলে

প্রকৃতিতে যেসব মৌলিক পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে তার মধ্যে বিভিন্নভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদার্থ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াকেই যৌগিক পদার্থ বলা হয়। রাসায়নিক বন্ধনের সাথে আবদ্ধভাবে মিলিত দুই বা ততোধিক মৌলের পরমাণুগুলো একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত হয়ে একটি যৌগ সংগঠিত হয়।

যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য হিসেবে একান্তই মৌলের বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ আলদা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, হিসেবে যেমন পানি (H2O) যৌগটি হাইড্রোজেন (Hydrogen) ও অক্সিজেন (Oxygen) নামক ei দুটি মৌল দ্বারা সংগঠিত হয়। তবে পানির (H2O) বৈশিষ্ট্য হাইড্রোজেন (H) কিংবা অক্সিজেনের (O) বৈশিষ্ট্যের হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। আশা করছি বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছেন।

কৃত্রিম মৌল কয়টি ও কি কি

প্রকৃতিতে মোট ১১৮ টি মৌল বিদ্যমান রয়েছে যেগুলো মৌলের মধ্যে কিছু মৌল মানুষের দ্বারা তৈরি। এই মৌল সমূহকে মূলত কৃত্রিম মৌল বলা হয়। প্রকৃতিতে এই মৌলগুলো স্থায়ীভাবে বিদ্যমান থাকে না, কারণ এগুলোর স্থায়িত্ব অত্যন্ত কম।যখন ইতালীয় বিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মি ইউরেনিয়ামকে নিউট্রন দিয়ে একটি বোমাবর্ষণ করে টেকনেটিয়াম (Tc) আবিস্কার করেছিলেন ঠিক তখন প্রথম কৃত্রিম মৌল তৈরি করা হয়েছিল।

১৯৩৪ সালে প্রথম কৃত্রিম মৌল তৈরি হয়েছিল। তবে এখন মোট ২৬ টি কৃত্রিম মৌল তৈরি হয়েছে। এই মৌলগুলোর সংখ্যা পরমাণু সংখ্যা ৯০ থেকে ১১৮ এর মধ্যে। আশা করছি কৃত্রিম মৌল কয়টি ও কি কি সেই সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নামসমূহ জেনে নেই।

১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম

প্রিয় শিক্ষার্থীরা প্রকৃতিতে মোট ১১৮টি মৌলিক পদার্থ রয়েছে এ বিষয়ে হয়তো আপনারা সকলেই অবগত রয়েছেন। তো ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম তালিকাবদ্ধভাবে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আমাদের ব্লগের এই অংশটি একটু মনযোগ সহকারে পড়ুন।  নিচে ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম উল্লেখ করা হলো —

মৌল ও যৌগ কাকে বলে, অবস্থান্তর ও নিষ্ক্রিয় মৌল কাকে বলে

  1. হাইড্রোজেন
  2. হিলিয়াম
  3. লিথিয়াম
  4. বরিলিয়াম
  5. বোরণ
  6. কার্বন
  7. নাইট্রোজেন
  8. অক্সিজেন
  9. ফ্লোরিন
  10. নিয়ন
  11. সোডিয়াম
  12. ম্যাগনেসিয়াম
  13. এলুমিনিয়াম
  14. সিলিকন
  15. ফসফরাস
  16. সালফার
  17. ক্লোরিন
  18. আর্গন
  19. পটাশিয়াম
  20. ক্যালসিয়াম
  21. স্ক্যানডিয়াম
  22. টাইটেনিয়াম
  23. ভ্যানাডিয়াম
  24. ক্রোমিয়াম
  25. ম্যাঙ্গানিজ
  26. লোহা
  27. কোবাল্ট
  28. নিকেল
  29. কপার
  30. জিংক
  31. গ্যালিয়াম
  32. জার্মেনিয়াম
  33. আর্সেনিক
  34. সেলেনিয়াম
  35. ব্রোমিন
  36. ক্রিপ্টন
  37. রুবিডিনাম
  38. স্ট্রানসিয়াম
  39. ইট্রিয়াম
  40. জিরকোনিয়াম
  41. নাইওবিয়াম
  42. মলিবডেনাম
  43. টেকনিশিয়ান
  44. রুথেলিয়াম
  45. রেডিয়াম
  46. প্যালাডিয়াম
  47. রুপা
  48. ক্যাডমিয়াম
  49. ইন্ডিয়াম
  50. টিন
  51. এন্টিমনি
  52. ট্যালুরিয়াম
  53. আয়োডিন
  54. জেনন
  55. সিজিয়াম
  56. বেরিয়াম
  57. ল্যান্থানাম
  58. সিরিয়াম
  59. প্রাসিও ডিমিয়াম
  60. নিওডিমিয়াম
  61. প্রমিথিয়াম
  62. স্যামারিয়াম
  63. ইউরোপিয়াম
  64. গ্যাডো লিনিয়াম
  65. টার্বিডিয়াম
  66. ডিস্প্রোসিয়াম
  67. হলমিয়াম
  68. ইরবিয়াম
  69. লুথিয়াম
  70. ইটারবিয়াম
  71. লুটেসিয়াম
  72. হাফনিয়াম
  73. ট্যানটালাম
  74. টাংস্টেন
  75. রেনিয়াম
  76. অসমীয়াম
  77. ইরিডিয়াম
  78. প্লাটিনাম
  79. সোনা
  80. পারদ
  81. থেলিয়াম
  82. সিসা
  83. বিসমাথ
  84. পোলোনিয়াম
  85. এস্টাটিন
  86. রেডন
  87. ফ্রান্সিয়ান
  88. রেডিয়ান
  89. এষ্টিনিয়াম
  90. থেরিয়াম
  91. প্রটেক্টিনিয়াম
  92. ইউরেনিয়াম
  93. নেপচুনিয়াম
  94. প্লটোনিয়াম
  95. আমেসিরিয়াম
  96. কুরিয়াম
  97. বারকেলিয়াম
  98. ক্যালিফোর্নিয়াম
  99. আইনস্টাইনিয়াম
  100. ফার্মিয়াম
  101. মেন্ডেলিভিয়াম
  102. নোবেলিয়াম
  103. লরেন্সিয়াম
  104. রাদারফোরডিয়াম
  105. ডুবনিয়াম
  106. সিবর্গিয়াম
  107. বহোরিয়াম
  108. হ্যাশিয়াম
  109. মাইটনেরিয়াম
  110. ডার্মস্টাটিয়াম
  111. রন্টজেনিয়াম
  112. কোপার্নিশিয়াম
  113. নিহনিয়াম
  114. ফ্লেরোভিয়াম
  115. মস্কোভিয়াম
  116. লিভারমরিয়াম
  117. টেনেসিন
  118. অগানেশন

১ থেকে ৩০ টি মৌলের প্রতীক কি কি?

আপনারা অনেকেই ১ থেকে ৩০ টি মৌলের প্রতীক জানতে চেয়েছেন তাই পোষ্টের এই অংশে আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে ১ থেকে ৩০ টি মৌলের প্রতীক কী কী তা নিম্নে তুলে ধরেছি। তো আপনি কি ১ থেকে ৩০ টি মৌলের প্রতীক কি কি তা জানুতে ইচ্ছুক? তাহলে নিচের অংশে থেকে দেখে নিন।

  • হাইড্রোজেন (H)
  • হিলিয়াম (HE)
  • লিথিয়াম (LT)
  • বেরিলিয়াম (BR)
  • বোরন (B)
  • কার্বন (c)
  • নাইট্রোজেন (N)
  • অক্সিজেন (O)
  • ফ্লোরিন (F)
  • নিয়ন (NE)
  • সোডিয়াম (NA)
  • ম্যাগনেসিয়াম (MG)
  • অ্যালুমিনিয়াম (AL)
  • সিলিকন (SI)
  • ফসফরাস (F)
  • সালফার (S)
  • ক্লোরিন (FL)
  • আর্গন (AR)
  • পটাসিয়াম (K)
  • ক্যালসিয়াম (CA)
  • স্ক্যান্ডিয়াম (SC)
  • ভ্যানিয়াম (VN)
  • টাইটানিয়াম (TI)
  • ক্রোমিয়াম (CR)
  • ম্যাঙ্গানিজ (MG)
  • আয়রন (FE)
  • কোবাল্ট (KB)
  • নিকেল (NI)
  • কপার (CU)
  • জিঙ্ক (ZN)

১০ টি যৌগিক পদার্থের নাম

এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ সগঠন হয়েই একটি যৌগিক পদার্থ গঠিত হয় এ বিষয়ে হয়তো আমরা অবগত রয়েছি। আমরা নিম্নে এমন ১০ টি যৌগিক পদার্থের নাম উল্লেখ করেছি যেমণ —

  • পানি (H2O)
  • কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)
  • সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)
  • গ্লুকোজ (C6H12O6)
  • অ্যামোনিয়া (NH3)
  • সালফিউরিক এসিড (H2SO4)
  • ইথানল (C2H5OH)
  • ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3)
  • অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al2O3)
  • সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO2)

মৌল ও যৌগ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন‌উত্তর

মৌলিক পদার্থের সংখ্যা কয়টি?

মৌলিক পদার্থের সংখ্যা হল মোট ১১৮ টি।

মৌলিক পদার্থের নাম কি?

প্রতিটি মৌলিক পদার্থের নাম ভিন্ন বা আলাদা ভাবে হয়ে থাকে। যেমন –

  • হাইড্রোজেন (H)
  • হিলিয়াম (HE)
  • অক্সিজেন (O)
  • নাইট্রোজেন(N)
  • তামা, সোনা ইত্যাদি।

পর্যায় সারণির প্রধাণ মৌল কোনটি?

হাইড্রোজেন (H2) পর্যায় সারণির প্রধাণ মৌল হিসেবে পরিচিত।

পর্যায় সারণির শেষ মৌলের নাম কি?

বর্তমানে, পর্যায় সারণির শেষ মৌলটি হল ওগানেসন (OG118)।

পর্যায় সারণিতে মোট কয়টি মৌল আছে?

পর্যায় সারণিতে মোট ১১৮টি মৌল বিদ্যমান আছে

প্রথম ১০ টি মৌল কি কি?

প্রথম ১০টি মৌল নিম্নে উল্লেখ করা হলো

  • হাইড্রোজেন
  • হিলিয়াম,
  • লিথিয়াম,
  • বেরিলিয়াম,
  • বোরন,
  • কার্বন,
  • নাইট্রোজেন,
  • অক্সিজেন,
  • ফ্লোরিন এবং নিয়ন।

উপরের উল্লিখিত মৌল ছাড়াও আরও ১০৮টি মৌল বিদ্যমান রয়েছে তা হয়তো আপনারা ইতিমধ্যে এই বল্গে উপরের অংশ থেকে জানতে পেরেছেন।

মৌল ও যৌগ সম্পর্কে লেখকের মতামত

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে মৌল ও যৌগ কাকে বলে উপস্থাপন করার পাশাপাশি ১১৮ টি মৌলিক পদার্থের নাম তুলে ধরেছি। এই পোস্টটি যদি মনযোগ সহকাড়ে পড়েন তাহলে মৌলিক পদার্থ কাকে বলে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

মৌল ও যৌগ সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধরণের প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্ন বা মতামতের উত্তর দেওয়ার যথাযথভাবে চেষ্টা করবো। এতক্ষন ধরে কাটিং টু ব্লগের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Comment